শরীরস্বাস্থ্য
পেটের মেদ কমাতে ৫টি খুব সহজ ব্যায়াম

ওয়েবডেস্ক : এখন দৌড়ঝাঁপ করে কাজ করার পরিমাণ প্রায় সব মানুষেরই কমেছে। উলটে বসে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করতে হয় অনেককেই। এই ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক ভাবে বসে থাকতে থাকতে পুরুষ মহিলা উভয়েরই পেটের চর্বি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। অনেকেরই অভিযোগ থাকে খাওয়া-দাওয়া তো তেমন কিছু হয় না। তা হলে মেদ এতো বাড়ছে কেন? কারণ এই একটাই। দীর্ঘ সময় ধরে শারীরিক বা কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়া। আর টানা বসে কাজ করা।
কারণ যাই হোক। পেটের মেদ কমাতে সকলেই চান। কিন্তু সময়ের অভাবে তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। নিয়ম করে জিম যাওয়া বা যোগা ক্লাসে যাওয়াও ঝক্কি। তাই ইচ্ছে থাকলেও পেটের মেদ যেমনকার তেমনটাই রয়ে যায়। তাই খুব সামান্য সময় দিয়ে যদি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে, তার জন্য প্রায় সকলেই তক্কে তক্কে থাকে।
সেই স্বল্প সময়ে বড়ো কাজ করা যেতে পারে। তার জন্য সারা দিনে যে কোনো সময় অন্তত পক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট নিয়ম করে দিতে হবে নিজের জন্য। আর সঙ্গে চাই একটু ধৈর্য। তা হলে কয়েক মাসের মধ্যে স্থূল পেট কমে গিয়ে একটি ঠিকঠাক আকার নেবে।
এই বিশেষ পদ্ধতি হল যোগ ব্যায়াম। নায়ক নায়িকারাও কিন্তু নিজেদের চেহারা ও শরীরকে ফিট রাখতে এই সমস্ত যোগাভ্যাস প্রতিদিন করে থাকেন। তা হলে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ব্যায়াম পেটের চর্বি ঝরিয়ে দিতে পারে?
সিট আপ-

প্রথমেই খুব পরিচিত একটি ব্যায়ামের নাম বলব। তা হল সিট আপ। এর নাম শোনেনি বা করতে পারে না। বা কোনো দিনও করেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। এই সিটআপ কিন্তু পেটের চর্বি কমাতে সিদ্ধহস্ত। নিয়ম করে এটি অবশ্যই করতে হবে। প্রথম প্রথম ১০ বার দিয়ে শুরু করতে হবে। ক্রমশ তার সংখ্যা বাড়াতে হবে পাঁচটি করে।
কী ভাবে করবেন?
মেঝেতে সমান জায়গায় একটি চাদর বা শতরঞ্জি জাতীয় কিছু পেতে নিলে ভালো হয়। এর পর শুয়ে পড়তে হবে চিত হয়ে। তার পর দুই পাকে ভাঁজ করে নিতে হবে। এর পর দুই হাত সামনের দিকে সোজা রেখে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে উঠে বসতে হবে। এর পর আবার শুয়ে পড়তে হবে। তার পর আবার উঠতে হবে। এই ভাবে শোওয়া-বসা মিলিয়ে একটি করে গোটা ব্যায়াম তৈরি হল। এই ভাবে এক এক বারে দশবার করে করতে হবে। তবে ধীরে ধীরে। এই হল একটি সেট। একটি সেট সম্পূর্ণ হওয়ার পর এক মিনিটের জন্য বিশ্রাম। বিশ্রাম নিতে হবে হাত পা ছড়িয়ে চোখ বুজে নিঃশ্বাস স্বাভাবিক রেখে। প্রথম দফায় দুটি করে সেট করলেও তা পরের দিকে বাড়াতে হবে।
এটি গোটা শরীরের জন্য উপকারী।
লেগ রেইস –

এই পদ্ধতি মাটিতে শুয়েই করতে হবে। এতে দুই হাত শরীরের পাশে সোজা টানটান করে রাখা থাকবে। দুই পাকে জোড়া করে নিশ্বাস ছাড়তে ছাড়তে ৯০ ডিগ্রি সোজা করে তুলে রাখতে হবে। এর পর নিঃশ্বাস নিতে নিতে পা জোড়া অবস্থায় নামাতে হবে। এই সময় মাথা পিঠ কোমর মাটি থেকে একটুও উঠবে না। এই ভাবে পা তুলে নামিয়ে আবার তুলতে হবে। এই ভাবে মোট দশ বার করে একটি সেট সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রথমে এটিও দুই বার, পরে তা বাড়াতে হবে।
এতে তল পেটের মেদ কমে।
ক্রাঞ্চেস –

এই ব্যায়ামটিও শুয়ে করতে হয়। প্রথমে শুয়ে পড়তে হবে। তারপর পা দু’টিকে সামান্য ফাঁক রেখে ভাঁজ করতে হবে। এবার মাথার দুই পাশে দুই হাত রাখতে হবে। এবার ঘাড়ে কোনো রকম চাপ না দিয়ে উঠতে হবে। মনে রাখতে হবে এই সময় মুখদিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়তে থাকতে হবে। মুখ উপরের দিকে থাকবে নীচের দিকে নয়। চোখ থাকবে উপরের দিকে। এই ব্যায়াম করার সময় পেটের মাঝের দিকটিতে চাপ পড়বে। পিঠটি মাটি থেকে মাঝখান পর্যন্ত উঠবে তার বেশি নয়। এই হল ক্রাঞ্চ। এটিও প্রথমে ১০-এর সেট দুই বার করতে হবে। কিছু দিন পর থেকে তা সংখ্যায় বাড়াতে হবে।
পেটের সম্পূর্ণ অংশের মেদ কমতে সাহায্য করে।
প্ল্যাঙ্ক –

এ বার করতে হবে উপুড় হয়ে একটি ব্যায়াম। এর নাম প্লাঙ্ক। এটি অনেকেই দেখে থাকবে। উপুড় হয়ে শুয়ে হাত দু’টি ভাঁজ করতে হবে। এর পর পায়ের আঙুল মাটির ওপর সোজা করে রাখতে হবে। এ বার কনুই আর পায়ের আঙুলের ওপর ভর করে শরীরকে সমান্তরাল ভাবে তুলে রাখতে হবে। এই অবস্থায় থাকতে হবে এক থেকে দশ গোনা পর্যন্ত। এর পর শরীর নামিয়ে নিয়ে আবার তুলতে হবে। এই তুলে রাখার ব্যাপারটি পরে ৩০ সেকেন্ড বা ৪০ সেকেন্ড পর্যন্ত করতে হবে। এই ভাবে কয়েক বার করতে হবে। মাঝে এক মিনিট করে বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে।
এতে পেটের সঙ্গে পিঠ ও হাতের মেদ কমে।
এবস টুইস্ট –

এ বার আর শুয়ে নয়। বসে। সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসতে হবে। এবার পা দু’টি ভাঁজ করে পায়ের পাতা দু’টি মাটি থেকে একটু ওপরে তুলে রাখতে হবে। এই অবস্থায় কোমর থেকে শরীরকে পেছনের দিকে একটু হেলাতে হবে। এই অবস্থায় এবার হাতে নমস্কার মুদ্রা করতে হবে। এই নমস্কার করে থাকা অবস্থাতে কোমরের ওপরের অংশ কোমার থেকে একবার ডান দিকে ঘোরাতে হবে এক বার বাঁ দিকে ঘোরাতে হবে। তারপর সামনের দিকে আসতে হবে। এই ভাবে টানা দশ বার করার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার করতে হবে।
এই ব্যায়ামে কোমরের পাশের দিকে আর তল পেটের মেদ কমে।
তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এই ব্যায়ামগুলি এক দিন ছাড়া ছাড়া করলে ভালো ফল দেবে। প্রথমে দিকে শরীরের বিভিন্ন পেশিতে ব্যথা হবে। তাতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। ব্যথা হওয়ার অর্থ হল ব্যায়ামের পদ্ধতি ঠিক আছে ও তা কাজ করছে। এই ভাবে তিন থেকে চার মাস টানা করতে হবে। এর পর আবার নতুন ব্যায়াম করতে হবে। তবে এই ক’মাসে সুফল মিলবেই।
দেখুন – যৌবন ধরে রাখতে চান? এই ৯টি খাবার অবশ্যই খান
শরীরস্বাস্থ্য
মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই দাঁতের মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, তার ওপর শীতকাল বলে শিরশিরানি ভাবও বেশ সমস্যায় ফেলছে। এই সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
১। নুন জলে স্বস্তি
দাঁতের ক্ষেত্রে নুনের উপকারিতা অসীম। দাঁতের সমস্যায় খুবই সহজ একটি পদ্ধতি হল নুনজলে কুলকুচি করা। এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১/৩ চা চামচ নুন ফেলে দিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ বার কুলকুচি করলে উপকার হবেই। এতে মুখে মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস হয়। ফলে ব্যথা কমে। ফোলা ভাব হলে তা-ও কমে।
২। লেবুর রসে কমবে ব্যথা
লেবুতে ঔষধি গুণ প্রচুর। তারই মধ্যে একটি হল দাঁতের সমস্যায় এর উপকারিতা। এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ। এই যৌগ সংক্রমণকারী জীবাণু মেরে ফেলে। মাড়িকে স্বস্তি দেয়, মুখের পিএইচ ভারসাম্যও বজায় রাখে। এক গ্লাস গরম জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দু’ বার করে কুলকুচি করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত।
৩। গ্রিন টির প্রভাব
কমবেশি অনেকেই জানেন, গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল প্রদাহ কমানো, ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধ করা। এই কাজটি মাড়ির ক্ষেত্রেও করে। ফলে গ্রিন টিতে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। ব্যথায় গরম গরম গ্রিনটি পান করে দেখতে পারেন।
৪। হলুদ দিয়ে ব্যথা দূর
দাঁতের ব্যথা হলে হলুদ ব্যবহার করুন। ১/৪ চা চামচ হলুদবাটা বা হলুদগুঁড়ো নিন। মাড়িতে যেখানে ব্যথা সেখানে মোটা করে প্রলেপ লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। এর পর গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত প্রতি দিন হলুদ পেস্ট ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। মাড়ির ব্যথা, ফোলা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫। গরম ও ঠান্ডা সেঁক
মাড়ির ব্যথায় আর একটি সহজ ঘরোয়া ও উপকারী উপায় হল ঠান্ডা গরম সেঁক। খুবই আরামদায়ক একটি উপায়। মাড়ির ফোলা বা ব্যথা অংশে পরিষ্কার গরম কাপড় ও বরফ পুঁটলি দিয়ে সেঁক দিন। এক বার ঠান্ডা এক বার গরম এই ভাবে ৪ বার করুন। দিনে ২ বার করতে পারলে ভালো। ব্যথা না কমা পর্যন্ত করে পদ্ধতিটি করতে পারলে ভালো।
এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আরও – জেনে নিন, নাক-কান-দাঁতের সমস্যায় কী ভাবে কাজ করে জোয়ান?
শরীরস্বাস্থ্য
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: থাইরয়েডের সমস্যা খুব সহজ কথা নয়। থাইরয়েডকে অনেকেই সাইলেন্ট কিলারও বলেন। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকাবাসীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬০% বোঝেনই না তাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর নিউট্রিয়েন্টস শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। আবার ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড ডায়েট বুঝে নিলে সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
১। ভাত, পাউরুটি, পাস্তা
এই তিনটি খাবারে গ্লুটেন থাকে। ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই তিন খাবার না খাওয়াই ভালো। গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ। এতে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তবে ভাত পাউরুটি ছাড়া বাঙালি খাবেই বা কী। অনেকেই দু’ বেলা ভাত খান। সে ক্ষেত্রে পরিমাণ যতটা কম করা যায় ততই ভালো।
২। সোয়াবিন
থাইরয়েড থাকলে সোয়াবিন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এর আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডে সমস্যার কারণ হয়। এটি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩। ব্রকোলি, ফুলকপি
এই দু’টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে তা ক্ষতিকর। এর ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ব্রকোলি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় যাবতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪। বিন, ডাল
ফাইবারও শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার থাইরয়েডের সমস্যাকে জটিল করে। তা হজমের সমস্যা তৈরি করে, থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তাই ডাল, বিন অল্প করে খান।
৫। মাখন, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড
ফ্যাট থাইরয়েড হরমোনের ওষুধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ডায়েট থেকে মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা ফাস্টফুড ইত্যাদি যতটা সম্ভব বাদ দিন।
৬। কফি
কফিতে থাকে ক্যাফেইন। এটিও ওষুধের কাজে বাধা দেয়। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে ফেলতে হবে।
৭। মিষ্টি খাবার
মিষ্টি খাওয়াও কমাতে হবে। কারণ থাইরয়েড শরীরের মেটাবলিজমকে ধীরে করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার ভয় বাড়ে। মিষ্টি খেলে বাড়তি ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। তাই মিষ্টির ব্যাপারে সংযত হতে হবে।
৮। প্রসেসড ফ্রোজেন ফুড
প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। প্রিজারভেটিভ মানেই সোডিয়াম। থাইরয়েডে সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। বেশি সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এটি থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৯। অ্যালকোহল
অ্যালকোহল থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও বাধা দেয় এটি।
১০। কোল্ডড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ডড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে তা ক্ষতিকর। তাই থাইরয়েড থাকলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই উচিত।
আরও – থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকে উপশমে যে ছ’টি খাবার আপনার জরুরি
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা

খবরঅনলাইন ডেস্ক : মটরশুঁটির উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। মটরশুঁটিকে নিউট্রিশনের পাওয়ারহাউজ বলে।
জেনে নিন মটরশুঁটির ৯টি উপকারিতা –
১। পেটের ক্যানসার রোধে
মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল কাউমেস্ট্রল আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে মাত্র ২ মিলিগ্রাম ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে পৌঁছোলে তা পেটের ক্যানসার রোধ করতে পারে। এক কাপ মটরশুঁটিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম কাউমেস্ট্রেল থাকে।
২। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাবিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফেনলিক অ্যাসিড, পলিফেনল আছে। ফলে এটি অ্যান্টি এজিং‚ সঙ্গে প্রচুর এনার্জির জোগান দেয়।
৩। সুগার নিয়ন্ত্রণে
কত তাড়াতাড়ি রক্তের সঙ্গে চিনি মিশবে তা নিয়ন্ত্রণ করে ফাইবার ও প্রোটিন। এতে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার আছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদানও প্রচুর আছে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। হৃদরোগ আটকাতে
এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। মটরশুঁটির ভিটামিন বি, ফোলেট‚ বি১, বি৩, বি৬ শরীরের হোমোসিস্টাইন লেভেল কমায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
৫। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে
শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় মটরশুঁটি। এর নিয়াসিন শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড ও লাইপো প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে। ফলে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কমে।
৬। হাড় মজবুত করতে
ক্যালসিয়ামকে হাড়ের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। মাত্র এক কাপ মটরশুঁটিতে ৪৪% ভিটামিন কে থাকে। তা ছাড়া ভিটামিন বি-ও আছে, এটি অস্টিওপোরোসিস হতে দেয় না।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মটরশুঁটিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। হজম শক্তি বাড়ায় সহজেই পেট পরিষ্কার করে।
৮। ওজন নিয়ন্ত্রণে
মটরশুঁটিতে ফ্যাট সামান্য। এক কাপ মটরশুঁটিতে ১০০ ক্যালোরিরও কম ফ্যাট আছে। সঙ্গে এতে ভরপুর প্রোটিন‚ ফাইবার, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস আছে।
৯। বহু রোগে
মটরশুঁটি শরীরের ব্যথা বেদনা কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হৃদরোগ, ক্যানসার ইত্যাদিতে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। সঙ্গে অ্যালজাইমারস‚ আর্থারাইটিস‚ ব্রাংকাইটিস এবং অস্টিওপোরসিস রোধ করে। ত্বকে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
আরও – এই শীতে কেন খাবেন মুলো? জেনে নিন ২০টি কারণ
-
বিনোদন3 days ago
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, ভোটে কি দাঁড়াবেন?
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৮ লক্ষ যুবক-যুবতীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজের সুযোগ করে দিচ্ছে কেন্দ্রের এই প্রকল্প, জানুন বিস্তারিত
-
রাজ্য3 days ago
বিজেপিকে রুখতে তৃণমূলকে সমর্থন, স্পষ্ট জানালেন তেজস্বী যাদব
-
রাজ্য2 days ago
৯২ আসনে লড়বে কংগ্রেস, জানালেন অধীর, আব্বাসকে নিয়ে জট অব্যাহত