ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে গেলে হার্টের রোগ, স্ট্রোক, ওবিসিটি, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ শর্করার মাত্রা, অস্বাভাবিক কোলেস্টরাল বাড়া, কোমরে মেদ জমার সম্ভাবনা বাড়ে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা হাইপোথায়রোডিজমের সমস্যা থাকলে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ে।
কেন বাড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড?
অতিরিক্ত মদ খেলে ও ধূমপান করলে। হাই কোলেস্টেরলের ইতিহাস আছে পরিবারে। লিভার বা কিডনির অসুখ আছে। মেনোপজ হয়ে গেলে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে। ওবিসিটি আর থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে বাড়ে ট্রাইগ্লিসারাইড।
কোন কোন ওষুধে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ে
স্টেরয়েড, রেটিনয়েড, বিটা ব্লকার, ইস্ট্রোজেন, প্রজেস্টিন, এইচআইভি, ডাইরুটিকসের মতো ওষুধ খেলে ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়ার সম্ভাবনা থাকে।
কীভাবে কমবে ট্রাইগ্লিসারাইড?
নিয়মিত সপ্তাহে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করুন।
চিনি আর ময়দার মতো রিফাইন্ড সিম্পল কার্বোহাইড্রেট খাবার থেকে বাদ দিন।
প্রচুর ফাইবার আছে এমন খাবার খান।
অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরানোর দিকে নজর দিন।
অলিভ অথবা ক্যানোলা তেল ব্যবহার করুন।
মাংসের বদলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অয়েল সমৃদ্ধ মাছ খান। তবে বেশি পরিমানে মাছের তেল খেলে রক্ত জমাট বেঁধে যায় তাই ডাক্তারের পরামর্শ মতো মাছের তেল খাবেন।
মদে প্রচুর শর্করা ও ক্যালরি থাকে তাই মদ খাবেন না বা খেলেও নিয়ন্ত্রিত ভাবে খান।
রক্তচাপ আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করুন।
ঘুম খুব জরুরি। অত্যাধিক ওজন হলে ওজন কমান। দুশ্চিন্তা কমান। ধূমপান বন্ধ করুন।
কোলা,ফ্রুট জুস, আইসড টি, লেমোনেডের মতো কৃত্রিম সুগার-ফ্রি বা ডায়েট সফট ড্রিঙ্ক খাবেন না।
চকোলেট, ক্যান্ডি, চিনি, ব্রাুউন সুগার খাবেন না। চিনি দেওয়া গাম, চিনিগোলা সিরাপ মেশানো প্যানকেক, কুকি, কেক, পেস্ট্রি, আইসক্রিম, মিষ্টি, পুডিং, দই, ইয়োগার্ট খাবেন না। মনে রাখবেন ফ্যাট-ফ্রি তকমা দেওয়া ডেজার্টে বেশি শর্করা থাকে।