শরীরস্বাস্থ্য
কফির ভালো-মন্দ, পানের আগে অবশ্যই জেনে নিন

ওয়েবডেস্ক : কেউ চা খেতে ভালোবাসেন, কেউ কফি। তবে সব কিছুরই ভালো, মন্দ দুই দিক থাকে। তা যেমন চায়ের ক্ষেত্রে আছে, তেমনই আছে কফির ক্ষেত্রেও। আজকে আলোচনা করা যাক কফির ভালোমন্দ বা গুনাগুণ নিয়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের জন্য কফি কিন্তু খুব খারাপ নয়। এতে আছে ক্যাফেইনের অনেক উপকারিতা রয়েছে।
তবে দিনে কতবার, কী ভাবে এবং কখন খাওয়া হচ্ছে তার ওপ নির্ভর করে কফির কু-প্রভাব পড়বে, না ভালো কিছু ফল পাওয়া যাবে, সেই বিষয়টি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, খালি পেটে কফি খেলে তা শরীরের পক্ষে মারাত্মক হয়ে যায়। তা যদি হয় ব্ল্যাক কফি, তা হলে ক্ষতির পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেড়ে যায়।
দেখে নেওয়া যাক কফি পানের উপকারিতা কী কী?
উদ্যম বৃদ্ধি –
কফি খেলে খেলাধুলোয় অনেক বেশি উদ্যম বা এনার্জি পাওয়া যায়। কারণ এতে ক্যাফাইন আছে তা শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে। তাই যে কোনো রকম খেলার আগে কফি পান করলে শরীরে আনে আলাদা শক্তি।
মানসিক শক্তি বৃদ্ধি –
গবেষণায় দেখা গিয়েছে কোনো রকম মানসিক চাপের সময় যদি ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরে প্রবেশ করে তাতে মনোযোগ বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
স্মৃতিশক্তি –

আলঝেইমার (স্মৃতিভ্রংশ) রোগের ক্ষেত্রে বিশেষ উপকারী পদার্থ এই ক্যাফেইন, সে ক্ষেত্রে কফি খাওয়া উপকারের।
ক্যানসারের ক্ষেত্রে –
সম্প্রতি কালে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ক্যানসারের বিরুদ্ধেও লড়াই করতে পারে কফি অর্থাৎ এর মধ্যে থাকা ক্যাফাইন। তার মধ্যে রয়েছে মুখগহ্বরের ক্যানসার, মস্তিষ্ক এবং জরায়ুর ক্যানসার। এই রোগগুলির ঝুঁকি কমাতে পারে কফি খাওয়ার অভ্যাস।
ডায়াবেটিসে –
এটি শরীরে প্রচুর পরিমাণে এডিপোনেক্টিন উৎপন্ন করে। এডিপোনেক্টিন উপাদানটি শরীরে সুগার লেভেল এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ডায়াবেটিস বিশেষ করে কফি টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। কিন্তু একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে কফি তা থেকে রক্ষা করতে পারে না।
চোখের জন্য –
কফিতে আছে ক্লোরোজেনিল অ্যাসিড। এই অ্যাসিড আমাদের চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
কলিজার রক্ষাকবজ –
গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, কোনো কোনো সময় লিভার বা যকৃতের মেদ কমাতে ক্যাফেইন কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত অ্যালকোহল সেবন ও স্থুলতা, যকৃতে মেদের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তার থেকে ব্যথার এবং লিভার সিরোসিস হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে কফি এই সব রোগের আশঙ্কা কিছুটা কমাতে পারে।
ওজন কমাতে –
কফিতে প্রচুর পরিমাণে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকে। এই ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড কার্বোহাইড্রেট বিপাকের গতিকে ধীর করে দিয়ে শরীরের ওজন বৃদ্ধিকে কমিয়ে দেয়।
তবে ভালো বলেই কিন্তু যখন তখন তা ভালো নয়। বিশেষ করে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমতে যাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে কফি খাওয়া ভালো নয়। তাতে প্রথম ক্ষেত্রে কোলেস্টেরল বাড়ে, দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ঘুম নষ্ট হয়।
এবার দেখে নেওয়া যাক কফির খারাপ দিকগুলি কী কী?
হার্টের জন্য –
আবার গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে, কফির মধ্যেকার ক্যাফেইন হৃদপিণ্ডের রক্ত সরবরাহকরী ধমনীতে রক্ত চলাচল ধীর করে দেয়। ফলে বুক ধড়ফড়ানি, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে কিন্তু অনেক সময়ই শরীরের অতিরিক্ত ক্যাফেইন দায়ী।
ঘুমের ব্যঘাত –
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি খায় তাদের ঘুম খুবই কম হয়। আবার আরেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যারা কফি পান করেন না তাদের থেকে এই পানীয় পানকারীদের ৭৯ মিনিট ঘুম কম হয়। তাই ঘুম কম হলে অবশ্যই কফি খাওয়া উচিত।

মেজাজের জন্য –
ক্যাফেইন শরীরের অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে টানটান উত্তেজনা বাড়ায় তেমনই ঘাবড়িয়ে যাওয়ার অনুভুতিও বাড়িয়ে দেয়।
সন্তান ধারণে –
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনিক পাঁচ কাপের বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই গর্ভধারণ করতে চাইলে এবং গর্ভধারেণের পর কফি খাওয়া বাদ দেওয়াই ভালো। কারণ তাঁরা বলছেন, দৈনিক ২০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হয়।
কয়েকটি পরামর্শ –
১। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা হরমোনের সমস্যায় ভুগছে তাদের কফি এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন শরীরের কয়েকটি হরমোন ক্ষরণে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন জটিল সমস্যা সৃষ্টি হয়।
২। গবেষণা করে লক্ষ্য করেছেন, ঠাণ্ডা অবস্থায় কফি পান করা গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্য ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে। কারণ, ঠাণ্ডা অবস্থায় এই পানীয়র ৬৭% অ্যাসিডিটি কমে যায়। ঠাণ্ডা কফিতে ক্যাফেইন ঘনীভূত অবস্থায় থাকে।
৩। কফি পান করতে হলে অবশ্যই ভরা পেটে, এবং ঘুমতে যাওয়ার প্রায় ছয় ঘণ্টা আগে পান করাই শ্রেয়। এতে খালি পেটে কফি খাওয়ার সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে এবং ঘুমের ব্যাঘাতও হয় না।
দেখুন- জানেন মুড়ি, তেল-সহ বিভিন্ন খাবারে ভেজাল হিসাবে কোন কোন ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে?
শরীরস্বাস্থ্য
মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? ব্যথা কমাতে ৫টি পরামর্শ

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাঝেমধ্যেই দাঁতের মাড়ির ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন, তার ওপর শীতকাল বলে শিরশিরানি ভাবও বেশ সমস্যায় ফেলছে। এই সমস্যা অনেক কারণেই হতে পারে। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ঘরোয়া উপায়। এই উপায়গুলি অবলম্বন করলে স্বস্তি পেতে পারেন।
১। নুন জলে স্বস্তি
দাঁতের ক্ষেত্রে নুনের উপকারিতা অসীম। দাঁতের সমস্যায় খুবই সহজ একটি পদ্ধতি হল নুনজলে কুলকুচি করা। এক গ্লাস হালকা গরম জলে ১/৩ চা চামচ নুন ফেলে দিনের মধ্যে ৩ থেকে ৪ বার কুলকুচি করলে উপকার হবেই। এতে মুখে মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা হ্রাস হয়। ফলে ব্যথা কমে। ফোলা ভাব হলে তা-ও কমে।
২। লেবুর রসে কমবে ব্যথা
লেবুতে ঔষধি গুণ প্রচুর। তারই মধ্যে একটি হল দাঁতের সমস্যায় এর উপকারিতা। এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ। এই যৌগ সংক্রমণকারী জীবাণু মেরে ফেলে। মাড়িকে স্বস্তি দেয়, মুখের পিএইচ ভারসাম্যও বজায় রাখে। এক গ্লাস গরম জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দু’ বার করে কুলকুচি করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত।
৩। গ্রিন টির প্রভাব
কমবেশি অনেকেই জানেন, গ্রিন টিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ হল প্রদাহ কমানো, ব্যাকটিরিয়া প্রতিরোধ করা। এই কাজটি মাড়ির ক্ষেত্রেও করে। ফলে গ্রিন টিতে দাঁতের ব্যথা কমানো যায়। ব্যথায় গরম গরম গ্রিনটি পান করে দেখতে পারেন।
৪। হলুদ দিয়ে ব্যথা দূর
দাঁতের ব্যথা হলে হলুদ ব্যবহার করুন। ১/৪ চা চামচ হলুদবাটা বা হলুদগুঁড়ো নিন। মাড়িতে যেখানে ব্যথা সেখানে মোটা করে প্রলেপ লাগিয়ে ৫ মিনিট রাখুন। এর পর গরম জলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত প্রতি দিন হলুদ পেস্ট ব্যবহার করুন। হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান সমৃদ্ধ। মাড়ির ব্যথা, ফোলা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৫। গরম ও ঠান্ডা সেঁক
মাড়ির ব্যথায় আর একটি সহজ ঘরোয়া ও উপকারী উপায় হল ঠান্ডা গরম সেঁক। খুবই আরামদায়ক একটি উপায়। মাড়ির ফোলা বা ব্যথা অংশে পরিষ্কার গরম কাপড় ও বরফ পুঁটলি দিয়ে সেঁক দিন। এক বার ঠান্ডা এক বার গরম এই ভাবে ৪ বার করুন। দিনে ২ বার করতে পারলে ভালো। ব্যথা না কমা পর্যন্ত করে পদ্ধতিটি করতে পারলে ভালো।
এই সমস্ত ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করা ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন।
আরও – জেনে নিন, নাক-কান-দাঁতের সমস্যায় কী ভাবে কাজ করে জোয়ান?
শরীরস্বাস্থ্য
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: থাইরয়েডের সমস্যা খুব সহজ কথা নয়। থাইরয়েডকে অনেকেই সাইলেন্ট কিলারও বলেন। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকাবাসীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬০% বোঝেনই না তাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর নিউট্রিয়েন্টস শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। আবার ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড ডায়েট বুঝে নিলে সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
১। ভাত, পাউরুটি, পাস্তা
এই তিনটি খাবারে গ্লুটেন থাকে। ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই তিন খাবার না খাওয়াই ভালো। গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ। এতে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তবে ভাত পাউরুটি ছাড়া বাঙালি খাবেই বা কী। অনেকেই দু’ বেলা ভাত খান। সে ক্ষেত্রে পরিমাণ যতটা কম করা যায় ততই ভালো।
২। সোয়াবিন
থাইরয়েড থাকলে সোয়াবিন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এর আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডে সমস্যার কারণ হয়। এটি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩। ব্রকোলি, ফুলকপি
এই দু’টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে তা ক্ষতিকর। এর ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ব্রকোলি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় যাবতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪। বিন, ডাল
ফাইবারও শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার থাইরয়েডের সমস্যাকে জটিল করে। তা হজমের সমস্যা তৈরি করে, থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তাই ডাল, বিন অল্প করে খান।
৫। মাখন, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড
ফ্যাট থাইরয়েড হরমোনের ওষুধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ডায়েট থেকে মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা ফাস্টফুড ইত্যাদি যতটা সম্ভব বাদ দিন।
৬। কফি
কফিতে থাকে ক্যাফেইন। এটিও ওষুধের কাজে বাধা দেয়। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে ফেলতে হবে।
৭। মিষ্টি খাবার
মিষ্টি খাওয়াও কমাতে হবে। কারণ থাইরয়েড শরীরের মেটাবলিজমকে ধীরে করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার ভয় বাড়ে। মিষ্টি খেলে বাড়তি ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। তাই মিষ্টির ব্যাপারে সংযত হতে হবে।
৮। প্রসেসড ফ্রোজেন ফুড
প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। প্রিজারভেটিভ মানেই সোডিয়াম। থাইরয়েডে সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। বেশি সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এটি থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৯। অ্যালকোহল
অ্যালকোহল থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও বাধা দেয় এটি।
১০। কোল্ডড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ডড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে তা ক্ষতিকর। তাই থাইরয়েড থাকলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই উচিত।
আরও – থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকে উপশমে যে ছ’টি খাবার আপনার জরুরি
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা

খবরঅনলাইন ডেস্ক : মটরশুঁটির উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। মটরশুঁটিকে নিউট্রিশনের পাওয়ারহাউজ বলে।
জেনে নিন মটরশুঁটির ৯টি উপকারিতা –
১। পেটের ক্যানসার রোধে
মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল কাউমেস্ট্রল আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে মাত্র ২ মিলিগ্রাম ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে পৌঁছোলে তা পেটের ক্যানসার রোধ করতে পারে। এক কাপ মটরশুঁটিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম কাউমেস্ট্রেল থাকে।
২। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাবিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফেনলিক অ্যাসিড, পলিফেনল আছে। ফলে এটি অ্যান্টি এজিং‚ সঙ্গে প্রচুর এনার্জির জোগান দেয়।
৩। সুগার নিয়ন্ত্রণে
কত তাড়াতাড়ি রক্তের সঙ্গে চিনি মিশবে তা নিয়ন্ত্রণ করে ফাইবার ও প্রোটিন। এতে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার আছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদানও প্রচুর আছে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। হৃদরোগ আটকাতে
এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। মটরশুঁটির ভিটামিন বি, ফোলেট‚ বি১, বি৩, বি৬ শরীরের হোমোসিস্টাইন লেভেল কমায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
৫। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে
শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় মটরশুঁটি। এর নিয়াসিন শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড ও লাইপো প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে। ফলে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কমে।
৬। হাড় মজবুত করতে
ক্যালসিয়ামকে হাড়ের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। মাত্র এক কাপ মটরশুঁটিতে ৪৪% ভিটামিন কে থাকে। তা ছাড়া ভিটামিন বি-ও আছে, এটি অস্টিওপোরোসিস হতে দেয় না।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মটরশুঁটিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। হজম শক্তি বাড়ায় সহজেই পেট পরিষ্কার করে।
৮। ওজন নিয়ন্ত্রণে
মটরশুঁটিতে ফ্যাট সামান্য। এক কাপ মটরশুঁটিতে ১০০ ক্যালোরিরও কম ফ্যাট আছে। সঙ্গে এতে ভরপুর প্রোটিন‚ ফাইবার, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস আছে।
৯। বহু রোগে
মটরশুঁটি শরীরের ব্যথা বেদনা কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হৃদরোগ, ক্যানসার ইত্যাদিতে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। সঙ্গে অ্যালজাইমারস‚ আর্থারাইটিস‚ ব্রাংকাইটিস এবং অস্টিওপোরসিস রোধ করে। ত্বকে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
আরও – এই শীতে কেন খাবেন মুলো? জেনে নিন ২০টি কারণ
-
রাজ্য3 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য3 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল3 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
বিনোদন1 day ago
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, ভোটে কি দাঁড়াবেন?