রান্নার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মশলা। বিশেষ করে ভারতীয় খাবারে হলুদের ব্যবহার করা হয় ভীষণ ভাবে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গুঁড়োহলুদ রান্নায় ব্যবহার করা হয়। আমেরিকার বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত, নেপাল, পাকিস্তানের বাজারে বিক্রিত হলুদগুঁড়োতে উচ্চ মাত্রায় সিসা মেশানো হচ্ছে। নিয়ম হল, প্রতি গ্রামে প্রতি ডোজে ১ হাজার মাইক্রোগ্রাম সিসা থাকলে কোনো ক্ষতি নেই। কিন্তু স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষতিকর সিসা মেশানো হচ্ছে।
ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি বা এফএসএসআই হলুদের গুঁড়োয় গ্রামপিছু ১০ মাইক্রোগ্রাম সিসা থাকার অনুমতি দিয়েছে। ‘সায়েন্স অফ দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’-এর গবেষণাতেও বলা হয়েছে, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার বাজারে বিক্রি হওয়া গুঁড়োহলুদে প্রচুর পরিমাণে সিসা মেশানো হচ্ছে।
স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পিওর আর্থ ও ইন্ডিয়া’জ ফ্রিডম এমপ্লয়েবেলিটি অ্যাকাডেমি নামক সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে গবেষণা চালান। গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতের পটনা, গুয়াহাটি ও চেন্নাই, পাকিস্তানের করাচি, ইসলামবাদ ও পেশোয়ার আর নেপালের কাঠমান্ডুতে হলুদগুঁড়োয় বেশি পরিমাণে সিসা মেশানো হচ্ছে। প্যাকেটজাত ব্র্যান্ডেড গুঁড়োমশলার থেকে খোলা বাজারে মেলা হলুদগুঁড়োয় বেশি পরিমাণে সিসা মেশানো হচ্ছে। হলুদের মধ্যে বেশি পরিমাণে সিসা মেশানো থাকলে তাতে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। বৃদ্ধির হার কমে যায়। হলুদের গুঁড়োয় চকচকে ভাব আনতে সিসা মেশানো হয়।