ঘরে বাইরের কর্মব্যস্ত জীবনে বাড়ছে মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। সমস্যা দূর করতে গেম চেঞ্জার হয়ে উঠতে পারে এমন হবি যাতে অবসর সময় শৈল্পিক চেতনার উন্মেষ ঘটে আবার একইসঙ্গে রিল্যাক্সও হয়। সেলাই হল এমনই এক হবি যাতে শান্ত নিরিবিলি ভাবে মেডিটেশন করা সম্ভব। আসুন দেখে নিই প্রতিদিন অল্প সময়ের জন্য সেলাই করলে কী উপকার হয়
১) নিয়মিত রোজ সেলাই করলে অল্প সময়ের জন্য নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে। এই ‘মি টাইম’ উৎসাহ জোগায় কাজেকর্মে।
২) সেলাই শুরু করতে কম দামি, সহজে করা যায় এমন কাপড়ের ওপর সেলাই করুন। ভালো সেলাই না জানলেও চিন্তা করবেন না। কোনো স্থানীয় ব্যক্তির কাছ থেকে নানান রকম স্টিচ শিখে নিন। অথবা অনলাইনেও শিখে নিন বিভিন্ন রকমের স্টিচ বা সেলাইয়ের ফোঁড়।
৩) দিনে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সেলাই করলে শুধু সেলাইয়ের দক্ষতাই বাড়বে না পাশাপাশি তা মনঃসংযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা কাটিয়ে উঠে মন মেজাজ শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
৪) সাধারণ কাপড় বা জামার ওপর আপনার করা এক সুন্দর সেলাইয়ের ডিজাইন দেখে আপনারই মন ভালো হয়ে যাবে। নিজের দক্ষতা দেখে নিজেরই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। পারফেকশন নয় কাজের আনন্দই আসল। এতে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বাড়বে।
৫) সেলাইকে সামান্য টেকনিক ভাববেন না। এতে সামগ্রিক ভাবে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। মনঃসংযোগ, ধৈর্য্য বাড়ে। বিশেষ করে মন খারাপ থাকলে সেলাই করলে একদিকে যেমন ইতিবাচক চিন্তাভাবনা বাড়ে, তেমনই নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে।
৬) মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ কাটিয়ে উঠে শৈল্পিক চেতনার বিকাশ ঘটায় সেলাই। হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন বাড়ে।