আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির করা সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে, জেন এক্স আর মিলেনিয়ালদের ১৭ রকমের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
The Lancet Public Health জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট। ৩৪ রকমের ক্যানসারে আক্রান্ত ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের রোগের ইতিহাস পর্যালোচনা করেন গবেষকরা। ২৫ রকমের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৭০ লাখ মানুষের রোগের ইতিহাসও পর্যালোচনা করা হয়। ১৯২০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ৫ বছর অন্তর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার ও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার পর্যালোচনা করেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা দেখেন, ক্ষুদ্রান্ত্র, কিডনি ও প্যানক্রিয়াসের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার জেন এক্স আর মিলেনিয়ালদের মধ্যে ২-৩ গুন বেশি। এছাড়াও নবীন প্রজন্মের মধ্যে লিভার, মুখগহ্বর ও গলার ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। নয়ের দশকে জন্ম হওয়া পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে মুত্রনালির ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে ১৬৯%।
আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার উইলিয়াম দাহুট জানান, ৩৪ রকমের ক্যানসার নিয়ে আমরা গবেষণা করেছি। এরমধ্যে নবীন প্রজন্মের মধ্যে ১৭ রকমের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলে আমরা দেখেছি। ৫০ বছরের নীচে বয়সিদের মধ্যে ৫ রকমের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ছে। মহিলাদের মধ্যে যে সব ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে তারমধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিক কার্ডিয়া, ক্ষুদ্রান্ত্র, ব্রেস্ট, জরায়ু, লিভার, মুখগহ্বর, ফ্যারিঙ্কস ও বাইল-ডাক্ট ক্যানসার। পুরুষদের মধ্যে অ্যানাস, কোলোন, রেক্টাল, ইউটেরিন কর্পাস, গলব্লাডার, কিডনি, প্যানক্রিয়াস, রেনাল পেলভিস, মাইলোমা, নন-কার্ডিয়া গ্যাস্ট্রিক, টেসটিস, লিউকেমিয়া ও কাপোসি সারকোমা ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়েছে। লিভার, গলব্লাডার, কোলোন, রেক্টাল, টেসটিস ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার বেড়েছে। ১৭ রকমের মধ্যে ১০ রকমের ক্যানসারের জন্য দায়ী স্থুলতার সমস্যা।’
নিয়মিত প্লাস্টিকের বোতল থেকে জলপান করেন, কী হতে পারে জানেন? কী বলছে গবেষণা?
এদিকে, ভারতকে বিশ্বের ক্যানসারের রাজধানী বলে বলা হয়েছে অ্যাপলো হাসপাতালের হেলথ অফ নেশন রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ভারতে ক্যানসার আক্রান্তর সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ। ২০২৫ সালের মধ্যে সেটা বেড়ে হতে পারে ১৫ লাখ ৭০ হাজারে। ভারতে ক্যানসার আক্রান্তর সংখ্যা বাড়ার কারণ হিসাবে ধূমপানের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অলস জীবনযাত্রা আর হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসের সংক্রমণকে দায়ী করা হয়েছে।