মৌ বসু
অনেকেই রাতে ঘুমোনোর সময় নাক ডাকেন। কিন্তু অনেকের নাসিকাগর্জন সিংহের গর্জনকেও লজ্জায় ফেলে দেয়। নিয়মিত জোরে জোরে নাক ডাকলে এখন থেকেই সাবধান হন। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, নাক ডাকার সমস্যা থাকলে ভালো করে ঘুম হয় না। প্রতি ৪ জনের মধ্যে একজন নাক ডাকার সমস্যার কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার সমস্যায় আক্রান্ত। ভারতে প্রায় ১২ কোটি মানুষ অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যায় ভুগছেন। নাক ডাকার সমস্যার কারণে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
তীব্র নাক ডাকার কারণে কোন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়
স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, শর্করার মাত্রা ওঠানামা করা, রক্তচাপ ওঠানামা করা, ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
নাসিকাগর্জনে কোন কোন প্রাণঘাতী রোগের আশঙ্কা থাকে
১) রাতে ভীষণ জোরে নাক ডাকার সমস্যার জেরে উচ্চ রক্তচাপ ও হাইপারটেনশনের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। ৮৩% পুরুষ এবং ৭১% মহিলার মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়।
২) হালকা বা মাঝেমধ্যে নাক ডাকার অভ্যাস থাকলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে রোজ যদি জোরে নাক ডাকেন তা হলে স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩) নাক ডাকার সমস্যায় ঘুম কম হয়। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব গোটা শরীরের ওপর পড়ে। ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্রেন স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৪) স্থুলকায় বা দেহের ওজন বেশি থাকলে জোরে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়।
৫) টনসিল ও সাইনাসের সমস্যা থাকলে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়।
কী ভাবে নাক ডাকার সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করবেন
দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন। মুখ আর গলার এক্সারসাইজ করুন। মুখ আর গলার মাংসপেশির কসরত করলে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা দূর হয়। নাক ডাকার সমস্যা কমে। গলা, কাঁধ, মুখ ও জিভের মাংসপেশিতে সমস্যা থাকলে নাক ডাকার প্রবণতা দেখা যায়। তাই এ সব পেশির এক্সারসাইজ করুন। ঘুমোনোর আগে মদ্যপান করবেন না। চিত হয়ে শুলে জিভ আর সফট প্যালেট বাতাস প্রবাহে বাধা দেয়। নাক ডাকার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এক পাশ ফিরে শুলে বাতাস প্রবাহে বাধা থাকবে না। নাক ডাকার সমস্যা কম হবে। ঘুমের জায়গা রিল্যাক্স রাখুন। কম আলো ও আওয়াজহীন পরিবেশ থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন
কর্নাটকে পানি পুরিতে মিলল ক্যানসারের বিষ, বাংলার ফুচকার কী হাল
কায়িক পরিশ্রম না করার ফলে বাড়়ছে রোগ, পুরোপুরি সুস্থ নন অর্ধেক ভারতীয়, বলছে রিপোর্ট