গ্লিওব্লাস্টোমা (Glioblastoma) হল মস্তিষ্কের এক প্রকার প্রাণঘাতী ক্যানসার। এই ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগ নির্ণয়ের ১২-১৮ মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় রোগীর। এই রোগ শেষ পর্যায়ে গেলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয় বলে সেভাবে চিকিৎসার সুযোগ মেলে না। কিন্তু আশার আলো দেখিয়েছেন নত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Notre Dame) একদল গবেষক। তাঁরা এমন এক রক্তপরীক্ষার কিট তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে বাড়িতে বসেই মাত্র একঘণ্টার মধ্যে গ্লিওব্লাস্টোমা নামক প্রাণঘাতী মস্তিষ্কের ক্যানসার চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
নত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ও বায়োমলিক্যুলার বিভাগের ‘বেয়ার প্রফেসর’ হুসেহ-চিয়া চ্যাং (Hsueh-Chia Chang) জানান, এই নয়া রক্তপরীক্ষার কিটের দাম খুব কম। আমাদের আসল উদ্দেশ্য হল আগেভাগে গ্লিওব্লাস্টোমাকে চিহ্নিত করা যাতে চিকিৎসার সুযোগ মেলে আর রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়। কত তাড়াতাড়ি রোগ ছড়াবে তা জানা সম্ভব এই কিটের মাধ্যমে।
সাধারণত এখন টিস্যুর নমুনার ইনভেসিভ বায়োপ্সি করে গ্লিওব্লাস্টোমা চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু নতুন রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়েই এই প্রাণঘাতী ক্যানসার চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
নতুন পদ্ধতিতে সামান্য রক্তের নমুনা লাগবে। বলপয়েন্ট পেনের বলের আকারের ছোট্ট বায়োচিপে ইলেকট্রোকাইনেটিক সেন্সর লাগানো থাকবে। এই সেন্সর এক্সট্রাসেলুলার ভেসিকল্স-কে (extracellular vesicles) চিহ্নিত করবে।
নত্র দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক গবেষক সত্যজ্যোতি সেনাপতি জানান, এক্সট্রাসেলুলার ভেসিকল্স-এ এপিডার্মাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর নামক প্রোটিন ভিত্তিক বায়োমার্কার থাকে। গ্লিওব্লাস্টোমা নামক প্রাণঘাতী ক্যানসারে তা বেশি পরিমাণে থাকে। বায়োচিপ অত্যন্ত সেনসিটিভ তাই তা সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয় প্রোটিন ভিত্তিক বায়োমার্কারকে চিহ্নিত করতে পারে। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘কমিউনিকেশনস বায়োলজি’ (Communications Biology) নামক জার্নালে।
আরও পড়ুন
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তরুণ যে দেশে সেই ভারতেই ৬-৭% কমবয়সি মানসিক অবসাদগ্রস্ত