ওয়েবডেস্ক: এখন কিন্তু এ রকমই গরম চলবে! জুনে বর্ষা নামলেও। মাঝে মধ্যে হয়তো কালবৈশাখী ঝড় আর তার ডেকে আনা বৃষ্টি এবং বর্ষার বৃষ্টি প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের শরীরটাকেও কিছু স্বস্তি দেবে। কিন্তু বাদ বাকি সময়টা?
সে-ও না হয় এ রকম ভাবে সহ্য করে নেওয়া যাবে। কিন্তু আসল সমস্যাটা দেখা দেবে ঘুমের সময়ে। দিনের শেষে সব কাজকর্ম থেকে অব্যাহতি নিয়ে শরীর যখন বিশ্রাম চাইছে, নিজেকে ছুড়ে দিতে চাইছে ঘুমের গভীরে, অসহ্য গরম তখন বাধ সাধতে পারে। কেন না, গরমে যে ঘুমের অসুবিধা হয়, সে আর কে না জানে! আমরা সবাই তো ব্যাপারটা নিয়ে কম বেশি ভুক্তভোগী।
কিন্তু এটাও ঠিক, সমস্যা থাকলে তার একটা সমাধানও থাকে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা বলতে শীততাপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের কথা কেউ বলছে না। বরং, সাধারণ পাখাওয়ালা ঘরেই উপভোগ করুন শান্তির ঘুম। কিন্তু এই পাঁচটি বিষয় মাথায় রেখে!
১. মদ্যপান এবং বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন:
মদ্যপানে শরীর গরম হয়ে ওঠে। বেশি মশলাদার খাবার খেলেও সেটাই হয়। সঙ্গে এই দু’টিই শরীরে জলের ঘাটতি ডেকে আনে। এ রকম হলে ঘুম আসা এমনিতেও কঠিন। তাই গরমে এই দু’টোই যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন!
২. বাড়তি পাখার ব্যবস্থা:
গরমে ঘুমের সময়ে গায়ে একটু হাওয়া খেলাটা খুব দরকার। তাই বিছানার পাশে একটা টেবিল ফ্যান বা বিছানার দেওয়াল লাগোয়া ওয়াল ফ্যান লাগিয়ে নিন না! খরচ এমন কিছু নয়, কিন্তু স্বস্তি নিশ্চিত!
৩. সম্ভব হলে একা ঘুমোন:
গরমের মধ্যে যদি একই বিছানায় অনেকে ঘুমোন, তা হলে পরস্পরের শারীরিক তাপমাত্রা ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হবেই! বিশেষ করে পরিবেশের তাপমাত্রাও যখন অনেকটাই। তাই সম্ভব হলে খুব গরমের রাতে একাই ঘুমোন!
৪. ঘুমের আগে স্নান:
রাতে মাথা ভেজানো নিয়ে অনেকেরই অস্বস্তি থাকে। সে ক্ষেত্রে সেটা করার দরকার নেই। কিন্তু গা ধুয়ে নেওয়া বা ভালো করে তোয়ালে ভিজিয়ে মুছে নেওয়া – এটুকু তো করা যেতেই পারে! তাতে শরীর যেমন আরাম পাবে, তেমনই ঘুমটাও সহজে আসবে!
৫. সুতির চাদর মুড়ি দেওয়া:
এই পরামর্শ কেবল তাঁদের জন্য, যাঁরা গায়ে কোনো চাদর না দিয়ে ঘুমোতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে এই অসহ্য গরমের দিনে ভালো করে পাখা চালিয়ে, ঘরের জানলা খুলে, হালকা সুতির চাদরে শরীর ঢাকুন। গরম কম লাগবে!
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।