শরীরস্বাস্থ্য
শীতের মরশুমে কাশি থেকে মুক্তি পেতে এই ৫টি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখুন
প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই কাশি থেকে মুক্তি মিলতে পারে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শীতকালে কাশি সাধারণ একটি সমস্যা। এর বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করে সহজেই মুক্তি মিলতে পারে।
যে কারণেই কাশি হোক না কেন, প্রথমেই সে দিকে নজর দেওয়া উচিত। গলা জ্বালার কারণে না কি এর সঙ্গে ফুসফুসের কোনো সরাসরি সংযোগ রয়েছে, সে সব ভাবগম্ভীর বিষয় ভেবে ওঠার আগেই যদি যত্ন নেওয়া শুরু করা যায়, তা হলে জল বেশি দূর না গড়াতেও পারে।
কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৫টি উপায়
মধু

মধু আপনার গলার জন্য খুব ভালো। এটা গলা ব্যথায় তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। এমনকী গলা ব্যথার সেরা প্রতিকার হিসাবেও বিবেচিত হয়। মধু কাশি দমনকারী হিসাবে কাজ করে। আপনি গরম চা বা গরম জল দিয়ে মধু খেতে পারেন। আবার সরাসরিও খেতে পারেন।
নুন-জলের গারগল

এটা একটা সহজ প্রতিকার, যা গলার চুলকানির এবং শুকনো কাশি থেকে মুক্তি দেয়। জলে কিছুটা নুন মিশিয়ে গরম করে নিন এবং তার পরে কমপক্ষে ৫ মিনিটের জন্য গারগল করুন। কাশি থেকে মুক্তি পেতে এটি অন্যতম ঘরোয়া প্রতিকার।
আদা

আদার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। আপনি চা বা জলের সঙ্গে আদা ফুটিয়ে পান করতে পারেন। এটি অপরিষ্কার গলা এবং কফের কারণে সৃষ্টি হওয়া কাশি থেকে মুক্তি দিতে পারে। আদা গলা শিথিল করে এবং তাৎক্ষণিক ভাবে কাশি হ্রাস করে।
তুলসী পাতা

তুলসী পাতা কাশি নিরাময়ের জন্য সুপরিচিত। এটি শ্লেষ্মা ভেঙে দেয়। ফুটন্ত জলে তুলসী পাতা ফেলে দিয়ে বাষ্প নিলেই উপশম পাওয়া যায়। চা এবং হালকা গরম জলের সঙ্গেও তুলসী পাতা বা এর ফল ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
হলুদ

গলা ব্যথা ও কাশিতে হলুদ খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, গলা পরিষ্কার রাখতে দিনে কমপক্ষে দু’বার হলুদ বাটা মেশানো হালকা গরম জল পান করা উচিত। হলুদের মধ্যে রয়েছে কাশি নিরাময়ের বৈশিষ্ট্য।
আরও পড়তে পারেন: শীতের সময় ঠান্ডা লাগা, গলা ব্যথা এবং জ্বর রুখতে ৪টি ঘরোয়া প্রতিকার
শরীরস্বাস্থ্য
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: থাইরয়েডের সমস্যা খুব সহজ কথা নয়। থাইরয়েডকে অনেকেই সাইলেন্ট কিলারও বলেন। ‘অ্যামেরিকান থাইরয়েড অ্যাসোসিয়েশনে’র মতে প্রায় ২০ লক্ষ অ্যামেরিকাবাসীই থাইরয়েডের সমস্যায় ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬০% বোঝেনই না তাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে।
থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটও নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। কারণ এমন অনেক খাবার আছে যেগুলোর নিউট্রিয়েন্টস শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যকে নষ্ট করে। আবার ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে থাইরয়েড ডায়েট বুঝে নিলে সমস্যা অনেকটা কমানো যায়।
১। ভাত, পাউরুটি, পাস্তা
এই তিনটি খাবারে গ্লুটেন থাকে। ‘অ্যাকাডেমি অফ নিউট্রিশন অ্যান্ড ডায়েটেটিক্সে’র বিশেষজ্ঞ রুথ ফ্রেচম্যানের মতে, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে এই তিন খাবার না খাওয়াই ভালো। গ্লুটেন নামক প্রোটিন ক্ষুদ্রান্ত্রে সমস্যার কারণ। এতে থাইরয়েড হরমোন রিপ্লেসমেন্ট মেডিসিনের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তবে ভাত পাউরুটি ছাড়া বাঙালি খাবেই বা কী। অনেকেই দু’ বেলা ভাত খান। সে ক্ষেত্রে পরিমাণ যতটা কম করা যায় ততই ভালো।
২। সোয়াবিন
থাইরয়েড থাকলে সোয়াবিন খাওয়া কমাতে হবে। কারণ এর আইসোফ্ল্যাভিন থাইরয়েডে সমস্যার কারণ হয়। এটি খেলে থাইরয়েডের সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
৩। ব্রকোলি, ফুলকপি
এই দু’টি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু থাইরয়েড থাকলে তা ক্ষতিকর। এর ফাইবার, নিউট্রিয়েন্টস থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার কারণ। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ব্রকোলি, শালগম, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় যাবতীয় খাবার খাওয়া কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪। বিন, ডাল
ফাইবারও শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার থাইরয়েডের সমস্যাকে জটিল করে। তা হজমের সমস্যা তৈরি করে, থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতায় বাধা দেয়। তাই ডাল, বিন অল্প করে খান।
৫। মাখন, ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড
ফ্যাট থাইরয়েড হরমোনের ওষুধের কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাই ডায়েট থেকে মাখন, মেয়োনিজ, তেলেভাজা ফাস্টফুড ইত্যাদি যতটা সম্ভব বাদ দিন।
৬। কফি
কফিতে থাকে ক্যাফেইন। এটিও ওষুধের কাজে বাধা দেয়। তাই থাইরয়েডের ওষুধ খেলে কফি খাওয়া বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে ফেলতে হবে।
৭। মিষ্টি খাবার
মিষ্টি খাওয়াও কমাতে হবে। কারণ থাইরয়েড শরীরের মেটাবলিজমকে ধীরে করে দেয়। ফলে মোটা হওয়ার ভয় বাড়ে। মিষ্টি খেলে বাড়তি ক্যালোরি ওজন বাড়ায়। তাই মিষ্টির ব্যাপারে সংযত হতে হবে।
৮। প্রসেসড ফ্রোজেন ফুড
প্রসেস করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। প্রিজারভেটিভ মানেই সোডিয়াম। থাইরয়েডে সোডিয়াম খাওয়া উচিত নয়। বেশি সোডিয়াম উচ্চ রক্তচাপের কারণ। এটি থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।
৯। অ্যালকোহল
অ্যালকোহল থাইরয়েড হরমোনের সামঞ্জস্যকে নষ্ট করে দিতে পারে। শরীরে স্বাভাবিক থাইরয়েড উৎপাদনকেও বাধা দেয় এটি।
১০। কোল্ডড্রিঙ্কস
সফট ড্রিঙ্কস বা কোল্ডড্রিঙ্কসগুলোতে প্রচুর চিনি থাকে তা ক্ষতিকর। তাই থাইরয়েড থাকলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না খাওয়াই উচিত।
আরও – থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা থেকে উপশমে যে ছ’টি খাবার আপনার জরুরি
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা

খবরঅনলাইন ডেস্ক : মটরশুঁটির উপকারিতা অনেক। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। মটরশুঁটিকে নিউট্রিশনের পাওয়ারহাউজ বলে।
জেনে নিন মটরশুঁটির ৯টি উপকারিতা –
১। পেটের ক্যানসার রোধে
মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল কাউমেস্ট্রল আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিনে মাত্র ২ মিলিগ্রাম ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট শরীরে পৌঁছোলে তা পেটের ক্যানসার রোধ করতে পারে। এক কাপ মটরশুঁটিতে প্রায় ১০ মিলিগ্রাম কাউমেস্ট্রেল থাকে।
২। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। মটরশুঁটিতে প্রচুর পরিমাণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্যাবিনয়েড, ক্যারোটিনয়েড, ফেনলিক অ্যাসিড, পলিফেনল আছে। ফলে এটি অ্যান্টি এজিং‚ সঙ্গে প্রচুর এনার্জির জোগান দেয়।
৩। সুগার নিয়ন্ত্রণে
কত তাড়াতাড়ি রক্তের সঙ্গে চিনি মিশবে তা নিয়ন্ত্রণ করে ফাইবার ও প্রোটিন। এতে প্রচুর প্রোটিন ও ফাইবার আছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি উপাদানও প্রচুর আছে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪। হৃদরোগ আটকাতে
এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। মটরশুঁটির ভিটামিন বি, ফোলেট‚ বি১, বি৩, বি৬ শরীরের হোমোসিস্টাইন লেভেল কমায়। ফলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে।
৫। খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে
শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল কমায় মটরশুঁটি। এর নিয়াসিন শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড ও লাইপো প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে। ফলে খারাপ কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড কমে।
৬। হাড় মজবুত করতে
ক্যালসিয়ামকে হাড়ের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করে ভিটামিন কে। মাত্র এক কাপ মটরশুঁটিতে ৪৪% ভিটামিন কে থাকে। তা ছাড়া ভিটামিন বি-ও আছে, এটি অস্টিওপোরোসিস হতে দেয় না।
৭। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মটরশুঁটিতে প্রচুর ফাইবার থাকে। হজম শক্তি বাড়ায় সহজেই পেট পরিষ্কার করে।
৮। ওজন নিয়ন্ত্রণে
মটরশুঁটিতে ফ্যাট সামান্য। এক কাপ মটরশুঁটিতে ১০০ ক্যালোরিরও কম ফ্যাট আছে। সঙ্গে এতে ভরপুর প্রোটিন‚ ফাইবার, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস আছে।
৯। বহু রোগে
মটরশুঁটি শরীরের ব্যথা বেদনা কমাতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান হৃদরোগ, ক্যানসার ইত্যাদিতে প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলে। সঙ্গে অ্যালজাইমারস‚ আর্থারাইটিস‚ ব্রাংকাইটিস এবং অস্টিওপোরসিস রোধ করে। ত্বকে বলিরেখাও পড়তে দেয় না।
আরও – এই শীতে কেন খাবেন মুলো? জেনে নিন ২০টি কারণ
শরীরস্বাস্থ্য
রোজ কেন খাবেন ধনেপাতা জেনে নিন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতের শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হল ধনেপাতা। যদিও এখন প্রায় সারা বছরই ধনেপাতা কমবেশি পাওয়া যায়। এই ধনেপাতা প্রতি দিন নিয়মিত খেতে পারলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বাকি শাকসবজির মতোই ধনেপাতারও একাধিক গুণ আছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি –
১। প্রতি দিন ধনেপাতার শরবত খেলে কিডনি ভালো থাকে। জমে থাকা ক্ষতিকর নুন ও বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২। ধনেপাতা শরীরের ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। হজমে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার করে।
৩। সুগারের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়।
৪। এর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান মুখের আলসার নিরাময় করে।
৫। ধনেপাতার ভেষজ উপাদান চোখের জন্যও ভালো।
৬। ঋতুস্রাবের সময় রক্তশূন্যতা দূর করে ধনেপাতা কারণ এতে প্রচুর আয়রন থাকে।
৭। ধনেপাতার ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি ফুসফুস ও পাকস্থলীর জন্য ভালো।
৮। রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। বাতের ব্যথা, হাড় জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
৯। ধনেপাতায় সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল ও লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলি অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক।
১০। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখে।
১১। ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমায়। অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান অ্যালার্জি বা যে কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব দূর করে।
১২। গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে ধনেপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ডিটক্সিফাই উপাদান, ভিটামিন সি এবং আয়রন।
১৩। ধনেপাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে মুখের বাজে গন্ধ দূর হয়।
-
শরীরস্বাস্থ্য3 days ago
থাইরয়েড ধরা পড়েছে? এই খাবারগুলি সম্পর্কে সচেতন হন
-
রাজ্য2 days ago
তৃণমূলে যোগ দিলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়, প্রিয়া সেনগুপ্ত
-
ফুটবল2 days ago
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও চার ফুটবলারের
-
রাজ্য2 days ago
উন্নয়ন দেখাতে ‘ছানিশ্রী’ প্রকল্প করবে সরকার, বিজেপিকে কটাক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের