ওয়েবডেস্ক: ডায়াবেটিস মানেই নানা রকমের ‘এটা করুন আর সেটা করবেন না’-র ফর্দ! সঙ্গে খাদ্যতালিকাতেও ঘটে যায় বড়োসড়ো রদবদল। তা বলে কি না খেয়ে থাকবেন নাকি? বরং যদি ওজন কমাতেই হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য, তবে খেয়ে কমানোই ভালো! এমন নিদান দিচ্ছেন খোদ চিকিৎকরাই! তবে যা খুশি নয়। যদি খেয়ে ওজন কমাতেই হয়, তবে রোজকার পাতে প্রোটিন আর ফাইবার থাকে, এমন খাবার না রাখলেই নয়। তা হলেই আর কোলেস্টেরলের পাল্লায় পড়তে হবে না। সঙ্গে অবশ্য মিষ্টি খাওয়া নিয়ে বিধিনিষেধ থাকছেই।
ওটার ব্যাপারে কিছু করা যাবে না। পাশাপাশি কোন ৫ টিপস মেনে চললে ওজন ঝরে যাবে তাড়াতাড়ি?
১. ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না:
ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে খিদের চোটে সারা দিনে অনেক বেশি কিছু খাওয়া হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আর যাই হোক, ওজন কমানো যাবে না। বরং, হাই প্রোটিন যুক্ত সিরিয়াল আর দুধের যুগলবন্দি বেছে নিন না! পেটও ভরবে, মিষ্টিও পেটে যাবে না, শরীরও ফিট থাকবে।
২. ক্যালোরির পরিমাণ কমান:
প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি আছে, এমন খাবার একদমই খাওয়া যাবে না। বয়স, ওজন, উচ্চতা এ সবের উপরে নির্ভর করে একজন মানুষ দিন পিছু কতটা ক্যালোরি খেতে পারেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে তা গড়ে ১৪০০ থেকে ২০০০ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৮০০! এ বার সেই মতো খাবার বেছে নিন!
৩. হাই ফাইবার যুক্ত খাবার খান:
শরীরে ফাইবারের পরিমাণ বাড়লে তা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে তাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ক্যালোরি আর কোলেস্টেরল জমার ভয়টাও থাকে না।
৪. নিয়ম করে খাবার খান:
যে কোনো সময়েই, বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সময় মেপে খাওয়াটা খুবই জরুরি। মানে, রোজ একই সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার করুন। আজ এক সময়ে তো কাল আরেক সময়ে নয়।
৫. প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ান:
যতটা পারা যায়, খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। তা যেমন শরীরকে পুষ্টি দেবে, তেমনই মেদ জমতে দেবে না।