ভারতে ক্রমশ নীরব মহামারী হয়ে দেখা দিচ্ছে রক্তে ভিটামিন ডি’র অভাব। প্রতি ৫ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছেন। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে ইন্টারন্যাশনাল ইকনমিক রিলেশনের ওপর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চের করা মেটা অ্যানালিসিস সমীক্ষায়। ভারতে সব বয়সি মানুষের মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ভিটামিন ডি জনিত অসুখ। আইসিআরআইইআর ও এএনভিকেএ ফাউন্ডেশনের করা যৌথ সমীক্ষায় দেখা গেছে পূর্ব ভারতের মানুষ বিশেষ করে রক্তে ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছে। পূর্ব ভারতের প্রায় ৩৮.৮১% মানুষ ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছে।
ভারতে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ভিটামিন ডি’র চাহিদা হল ৪০০-৬০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট। প্রবীণ মানুষের দৈনিক ভিটামিন ডি’র চাহিদা হল ৮০০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট। ভিটামিন ডি’র অভাবে ভুগছেন মূলত শহুরে নাগরিক, মহিলা, শিশু ও বয়স্করা।
সূর্যের আলো ভিটামিন ডি’র প্রধান উৎস। কিন্তু গবেষকরা দেখেন, শহরে বায়ুদূষণ, উঁচু উঁচু বহুতল, বাড়িতে বেশি পরিমাণে কাটানো, সানস্ক্রিনের বেশি পরিমাণে ব্যবহারের ফলে শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে ভিটামিন ডি তৈরি করার ক্ষমতা কমছে। শক্তপোক্ত, মজবুত হাড় পেতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দরকারি ভিটামিন ডি।
ত্বকের জন্যও উপকারী ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি ফোলাভাব কমায়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি গুণ থাকায় একজিমা, সোরিয়াসিস, ভিটিলিগোর মতো ত্বকের যাবতীয় সমস্যায় ফোলাভাব কমিয়ে রোগ সারাতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
ত্বককে ক্ষতিকারক রাসায়নিক ও জীবাণু সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ভিটামিন ডি।
পরিবেশ দূষণের কারণে ভয়ানক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বক। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে ভিটামিন ডি। অকালে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া আটকায়।
ত্বকের আর্দ্র ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাভাবিক তৈলাক্ত ভাব বজায় রাখে। ত্বকের মধ্যে থাকা সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড, যা থেকে তেল বেরোয় তার নিঃসারণ ঠিক রাখে।
ব্রণ, মেচেতা, পক্স, সোরিয়াসিসের মতো রোগে ত্বকে মৃত কোষ দূর হলেও দাগ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে ভিটামিন ডি।
ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্টেরয়েড হিসেবে কাজ করে ত্বকের কোষের মধ্যে। ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
পড়ুন। চা তো অনেক খেয়েছেন, চুমুক দিয়েছেন কি বেদানার খোসার চায়ে, নিয়মিত খেলে কী উপকার হয়