ভালো খাবার খাওয়ার সঙ্গে মানসিক তৃপ্তি, সন্তুষ্টির সম্পর্ক আছে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, শুধু পছন্দের খাবার খাওয়াই নয়, একসঙ্গে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করলেও একই ভাবে মানসিক সন্তুষ্টি লাভ হয়। সদ্য ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট, ২০২৫’ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতি বছর এই রিপোর্টে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশিত হয়। সেই সব দেশের মানুষ কতটা সুস্থ আছে তাও প্রকাশ করা হয় গবেষণা রিপোর্টে।
আগের বছরের মতো এবছরও ফের একবার বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ বলে বিবেচিত হয়েছে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। এনিয়ে পরপর ৭ বছর ফিনল্যান্ড বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ বিবেচিত হল। ভারত আছে ১১৮তম স্থানে। সামাজিক সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, স্বাধীনতা, মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সদ্ভাব, দুর্নীতি দমনে চিন্তাভাবনা, জিডিপি প্রভৃতি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। এবছর সেই সমীক্ষা রিপোর্টে খাবার শেয়ার করার সঙ্গে মানসিক তৃপ্তি ও সন্তুষ্টির সম্পর্কের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে একসঙ্গে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করলে বয়স, লিঙ্গ, সংস্কৃতি যাই হোক না কেন মানুষ সুখী ও খুশি থাকে।
একসঙ্গে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করলে কী হয়
১) একসঙ্গে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করলে যোগাযোগ দৃঢ় হয়। পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত হয়
২) কথাবার্তা বলতে বলতে,গল্পগুজব করতে করতে খেলে মন মেজাজ রিল্যাক্স থাকে
৩) ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, একসঙ্গে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে খাওয়া দাওয়া করলে সামাজিক বন্ধন ও সম্পর্ক দৃঢ় হয়। একাকীত্ব কাটে। ভারতের মতো যে সব দেশে একসঙ্গে সকলের সঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করার প্রচলন আছে সেখানে মানুষের মধ্যে একতা থাকে
৪) পরিবার, পরিজন, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে খাবার শেয়ার করে খেলে মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দূর হয়। মন খুশি হয়ে যায়।
৫) একসঙ্গে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে খাওয়া দাওয়া করলে, খাবার শেয়ার করলে ভালোবাসা, বন্ধুত্বের সম্পর্ক মজবুত হয়।
৬) দিনের একটা সময় পরিবারের সকল সদস্য একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করুন। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁ বা বাড়িতে একসঙ্গে মিলেমিশে খাওয়া দাওয়া করুন। কাজের জায়গায় সহকর্মীদের সঙ্গে খাবার শেয়ার করুন।