ওয়েবডেস্ক : পরিবেশ নিয়ে হাজার কপচালেও কালীপুজোর মতো বিশেষ উপলক্ষ্যে বাজি পোড়ানো রোখা খুবই কঠিন। তাই নিজের সচেতনতা অবশ্যই নিজের কাছে। কারণ, পরিবেশ দূষণ থেকেই আসে নানান সমস্যার প্রকোপ। আর বাজি ফাটানোর ফলে এই কয়েক দিনে পরিবেশের দূষণের মাত্রা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই যাদের ঘন ঘন সর্দি-কাশি হয় তাঁদের খুবই সাবধানে থাকতে হবে। সঙ্গে যাঁদের অ্যালার্জির প্রবণতা তাঁদেরও সাবধান হতে হবে। কারণ এই দুই ধরনের মানুষের জন্য বাজির ধোঁয়া খুবই ক্ষতিকারক।
১) শব্দ বাজি হোক বা আলোর বাজি, সব ক’টিতেই ব্যবহার করা হয় অনেক রকমের বিষাক্ত যৌগ। তার মধ্যে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যাডমিয়াম, বেরিয়াম অক্সাইড, নাইট্রেট, সালফার-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি। এই সবগুলিই মানুষের জন্য সাংঘাতিক। কোনোটিই মানব বা জীব তথা পরিবেশ বান্ধব নয়।
২) এই সব বাজির গন্ধে ও ধোঁয়ায় চোখের ওপর কুপ্রভাব বেশি পড়ে। চোখ লাল হয়ে যাওয়া। জল পড়া। জ্বালা করা ইত্যাদি। তাই পারত পক্ষে এই ধোঁয়া থেকে যতটা দূরে থাকা ভালো। নিজেকে বাঁচানোর জন্য সানগ্লাস বা চশমা ব্যবহার করলে সামান্য প্রতিরোধ করা যায় ঠিকই, তবে সবটা নয়। বাতাসে এই দূষণ কণাগুলি চোখের মধ্যেকার লিপিড স্তর নষ্ট করে দেয়। তাই চোখ জ্বালা ও জল পড়া শুরু হয়। চোখের সমস্যার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই ভালো। প্রয়োজনে আইড্রপও দিতে হবে পারে।
৩) এই চোখ জ্বালা, জল পড়া থেকেই তা ক্রমশ অ্যালার্জির দিকে মোড় নেয়। তাই সাবধান হন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে কোনো ভাবেই বাজির হাত নিজের চোখ বা মুখ বা শরীরের বাকি অংশে না লাগে। বাজি পোড়ানো শেষ হলে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত মুখ পা ধুয়ে নিতে পারলে ভালো।
৪) শুধু চোখই নয়। বাজির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্বাসনালীও। এমনকি ফুসফুসও। তাই যারা ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, আইএলডি, সিওপিডি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগে ভুগছে বা ভুগেছে বা সর্দি-কাশিতে প্রায়ই ভোগে তাদের অবশ্যই বাজি ও তার বিষক্রিয়া থেকে দূরে থাকা উচিত। কারণ বিষক্রিয়ার পরে শুরু হতে পারে শ্বাস কষ্টও। তাই মুখ ও নাকের জন্য রুমাল বা মাস্ক ব্যবহার করতে পারা যায়।
৫) বলে রাখা ভালো বাজি পোড়ানোর এই দিনগুলিতে সন্ধ্যার পর থেকে একটি লম্বা সময় বিশেষ করে রাত আটটা থেকে বারোটা বাতাসে ধোঁয়াশার পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। তাই এই সময়টা বাড়ির বাইরে বিশেষ না থাকাই ভালো।
কালীপুজোর আরও অজানা কথা জানতে ক্লিক করুন
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।