শরীরস্বাস্থ্য
খালি পেটে কলা খাওয়া কি উচিত?

ওয়েবডেস্ক: দিনের সমস্ত খাবারের মধ্যে প্রাতঃরাশ সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক ভাবেই সকালের খাবার ভালো মতো খাওয়া উচিত। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে প্রাতঃরাশের কোনো পৃথক বন্দোবস্থ থাকে না। তবে স্বাস্থ্য সচেতন হলে অবশ্যই সকালের খাবার নেওয়া উচিত।
কলা অবশ্যই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এই ফলের উপাদানগুলি স্বাস্থ্যকর। হার্ট সুস্থ রাখতে এবং দেহে ক্লান্তি হ্রাস করার জন্য, রক্তচাপ বজায় রাখা, হতাশা, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল এবং আলসারকে হ্রাস করতে এবং শরীরে শীতল প্রভাব সরবরাহ করার জন্য কলার অবদান রয়েছে। এতে আয়রনের পরিমাণও বেশি রয়েছে যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে এবং রক্তাল্পতা নিরাময়ে সহায়তা করে। তবে কলা খালি পেটে খাওয়া উচিত কি না, তা এখনও বিতর্কের বিষয়।
ম্যাক্রোবায়োটিক হেলথ কোচ (ইউকে)-এর পুষ্টিবিদ ডা. শিল্পা অরোরা জানান, “কলা পটাসিয়াম, ফাইবার এবং ম্যাগনেসিয়ামের উৎস, এটি আপনার দেহের বিভিন্ন পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে। এটি শক্তি বাড়ায় এবং ক্ষুধার্ত বেদনা হ্রাস করে। একটা কলা প্রতিদিন অবশ্যই খাওয়া উচিত”।
বেঙ্গালুরু-ভিত্তিক পুষ্টিবিদ ডা. অঞ্জু সুদের মতে, “কলা প্রকৃতিতে অ্যাসিডযুক্ত এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। ফলে সকালে খালি পেটে কলা না খাওয়াই ভালো”। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, রক্তে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মধ্যে উচ্চ ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ ভারসাম্যহীনতা তৈরি করতে পারে, যা কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমে আরও বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

কলায় প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা উপস্থিত থাকে, যা শক্তি বাড়ায়।
কলা অস্থায়ীভাবে নিদ্রাহীন এবং ক্লান্তিহীন থাকতে সহায়তা করে।
কলার প্রকৃতি অম্লযুক্ত; সুতরাং, খালি পেটে এটি গ্রহণ করলে অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে
আয়ুর্বেদের মতে, সকালে খালি পেটে ফল খাওয়া এড়ানোর কথা বলা হয়েছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ, ডা. বি এন সিনহার ব্যাখ্যা, “বর্তমান সময়ের নিরিখে খালি পেটে শুধু কলা নয়, ফলমূল এড়ানো উচিত। আজকাল প্রাকৃতিক ফল পাওয়া খুব শক্ত। এই ফলগুলিতে আমাদের ভাবনার থেকেও বেশি ক্ষতিকারক পদার্থ থাকতে পারে। ফলে উপায় হল, এটি অন্য খাবারের সঙ্গে নিতে হবে, যাতে এগুলির মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক প্রভাব হ্রাস পায় “।
শরীরস্বাস্থ্য
কেন খাবেন মেথি?

খবর অনলাইন ডেস্ক : ইতিমধ্যেই অনেক কিছুরই উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়ে গিয়েছে। আজ রইল মেথি প্রসঙ্গে। সকালে এক গ্লাস মেথির জল খেলে শরীর হয় রোগমুক্ত। শারীরিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে চুল ও ত্বকের যত্নেও এর তুলনা হয় না।
মেথির পুষ্টিগুণ
এক টেবিল চামচ মেথির মধ্যে আছে- ফাইবার ৩ গ্রাম, প্রোটিন ৩ গ্রাম, ফ্যাট ১ গ্রাম, ক্যালরি ৩৫ ক্যালোরি, লোহা ২০ শতাংশ, ম্যাঙ্গানিজ ৭ শতাংশ, ম্যাগনেসিয়াম ৫ শতাংশ।
মেথির উপকারিতা
১। রোগ প্রতিরোধ
বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুব দরকার। মেথিতে প্রচুর প্রোটিন ও খনিজ থাকে, তা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
২। ডায়াবেটিসে
ম্যাঙ্গানিজ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। মেথিতে ম্যাঙ্গানিজ আছে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত হয়। রোজ সকালে মেথি ভেজানো জল পান করলে ডায়াবেটিস কমানো সম্ভব।
৩। কোলেস্টেরলে
মেথিতে ফ্যাট আছে। ফলে তা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এতে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, মেথির খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল নির্মূল করতে সক্ষম।
৪। পাচন তন্ত্র
হজম ভালো করতে ফাইবার প্রয়োজন। মেথিতে ফাইবার আছে। অন্ত্রের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। পাচন তন্ত্র ভালো রাখতে নিয়মিত মেথি খাওয়া প্রয়োজন।
৫। ওজন নিয়ন্ত্রণ
মেথির উপাদানগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মেথি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রিত হয়।
৬। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মেথি উপযুক্ত। নিয়মিত মেথি খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭। হাড়শক্ত ও শক্তি সঞ্চয়ে
হাড় শক্ত করতেও মেথির উপকারিতা অনেক। কারণ ম্যাগনেসিয়াম হাড় গঠনে প্রয়োজনীয়। মেথিতে এটি আছে। ক্যালোরি দেহে শক্তির জোগান দেয় ও ফ্যাট শক্তি সঞ্চয় করে।
৮। ত্বকের জন্য
ত্বক, চুল, নখ, হাড় গঠন, বৃদ্ধি ও শক্ত হতে প্রোটিন প্রয়োজন। তা মেথিতে আছে। ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে মেথি অতুলনীয়। মেথির দানা এবং মেথি পাতা খুব সহজেই ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগ ছোপ দূর করে।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
শরীরস্বাস্থ্য
অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন

খবর অনলাইন ডেস্ক মহিলাদের শরীরে স্তন ক্যানসারের মতোই জরায়ু ক্যানসারও একটি আতঙ্কের অসুখ। গোটা বিশ্বে বহু মহিলা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত। এই রোগে অনেকেরই মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই মৃত্যুর মূল কারণ অনেক ক্ষেত্রেই প্রথমাবস্থায় চিকিৎসা না হওয়া। প্রথম থেকে চিকিৎসা হলে বেঁচে থাকার সম্ভবনা ৯৫%।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর গোটা বিশ্বে প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার মহিলা জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত হন।
একটি ভুল ধারনা অনেকের মধ্যেই আছে, যে প্রাপ্ত বয়স্কদেরই জরায়ু ক্যানসার হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, যে কোন বয়সেই জরায়ু ক্যানসার হতে পারে। তবে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলারা এই ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হন।
জরায়ু ক্যানসারকে ‘সাইলেন্ট কিলার’ বলা হয়। কারণ, এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি অনেক ক্ষেত্রেই বুঝতে পারা যায় না। পেটের কোনো সমস্যা খুব বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে তা জরায়ু ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
জরায়ু ক্যানসারের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ এখানে আলোচনা করা হল –
১। প্রায়ই গ্যাস, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য।
২। অল্প খাওয়ার পরই পেট ভরতি লাগা।
৩। পেটে অস্বস্তির ভাব।
৪। পেট ফুলে থাকা।
৫। পেটে অতিরিক্ত ব্যথা।
৬। নিম্নাঙ্গের চারপাশে চাপ ভাব।
৭। বার বার মূত্রত্যাগ।
৮। সারাক্ষণ বমি বমি ভাব হওয়া অথবা, ঘন ঘন বমি হওয়া।
৯। হঠাৎ খিদে কমে যাওয়া।
১০। অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি কিংবা হঠাৎ ওজন অনেক কমে যাওয়া।
১১। যৌনমিলনের সময় ব্যথা লাগা।
১২। সারাক্ষণ অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ।
১৩। মেনোপজ হওয়ার পরেও ব্লিডিং।
এই লক্ষণগুলির কোনোটি একটানা বেশ কয়েকদিন চললেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফেলে রাখবেন না। তবে এই লক্ষণের কোনোটি হওয়া মানেই যে জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত এমন ভাবারও কোনো কারণ নেই। একই উপসর্গ বিভিন্ন রোগের হতে পারে, বা খুব সাধারণ কারণও হতে পারে। তাই নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শই একান্ত কাম্য।
আরও – কোন কোন ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে জানেন? পর্ব -১
শরীরস্বাস্থ্য
এই সব রোগে দোপাটি দারুণ কাজের

খবর অনলাইন ডেস্ক : শুধু শাকসবজি বা ফলেরই যে মানব দেহে উপকারিতা আছে তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন ফুলের উপকারিতাও কিন্তু এ ক্ষেত্রে কম নয়। জবা, গোলাপ, দোপাটি ইত্যাদি ফুলেরও শারীরিক সমস্যায় উপকারিতা প্রচুর।
আজ জানা যাক দোপাটির উপকারিতা নিয়ে –
আঁচিলে
পাতার রস আঁচিল খসাতে কাজে লাগে।
শ্বেতীরোগে
শ্বেতী হওয়া ত্বকের ওপর দোপাটি গাছের ছালের রস প্রলেপ দিলে তা ভালো হয়।
চুলের বৃদ্ধিতে
দোপাটি ফুলের নির্যাস দিয়ে চুল ধুলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয়। এই পদ্ধতি ভিয়েতনামের মানুষ অনুসরণ করে থাকে।
শ্বাসের সমস্যায়
দোপাটি ফুল গাছের শিকড়ের ছাল গুঁড়ো করে তা চুরুটের মতো খেলে শ্বাসের সমস্যা ভালো হয়।
ছ্যাঁকাপোড়ায়
দোপাটি পাতার রস ছ্যাকা লাগলে বা পুড়ে গেলে তাতে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যে
কোরিয়ায় এই গাছের ব্যবহার হয় ব্যাপক ভাবে। তারা বদহজম কমাতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে এই গাছের প্রয়োগ করে থাকে।
অর্শ্বরোগে
দোপাটি গাছের পাতা সিদ্ধ করে খেলে অর্শ্বরোগ ভালো হয়।
জ্বরে
দোপাটি গাছের মূল সেদ্ধ করে চাল ধোওয়া জলের সঙ্গে খেলে জ্বর কমে।
হাত-পা জ্বালায়
দোপাটির পাতা বেটে প্রলেপ দিলে হাত-পা জ্বালা কমে।
আরও – স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কালোজিরের প্রয়োগ কীভাবে করবেন?
-
রাজ্য5 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়