শরীরস্বাস্থ্য
যৌনতাকে জানতে তরুণরা সব থেকে বেশি নির্ভরশীল পর্ন ছবির উপর: সমীক্ষা
জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা বেশ উদ্বেগজনক, দাবি সমীক্ষকদের।

খবর অনলাইন ডেস্ক: তরুণ সম্প্রদায়ের যৌন সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে পর্ন ছবি। কারণ, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, অপেক্ষাকৃত কমবয়সি প্রাপ্তবয়স্করা যৌনতা সম্পর্কে জানতে পর্নকেই সব থেকে বেশি সহায়ক উৎস বলে মনে করেন।
বোস্টনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমিলি রথম্যান বলেছেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয়টা হল এই যে, পর্ন আসলে কী, তা সঠিক ভাবে বোঝেন না তরুণরা। আসলে অনলাইন পর্নগ্রাফি বিনোদনের জন্য এবং নির্মাতাদের কাছে অর্থোপার্জনের জন্য একটা মাধ্যম মাত্র”।
তিনি আরও স্পষ্ট করে বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে যৌন মিলনের সময় কী করা দরকার, সে সম্পর্কে পর্ন ছবি থেকে কোনো শেখার মতো উপাদান নেই।
‘আর্কাইভস অব সেক্সুয়াল বিহেভিয়ার’ জার্নালে প্রকাশিত এই সমীক্ষাটি ৬৮১ জন তরুণ এবং কিশোরের উপর চালানো হয়েছিল। যাঁদের মধ্যে ৩৭৫ জন তরুণের বয়স ১৮-২৪ বছরের মধ্যে এবং ৩২৪ জন কিশোরের বয়স ১৪-১৭ বছরের ভিতর। কোথা থেকে তাঁরা যৌনতা সম্পর্কে জেনেছেন, এমন প্রশ্নেই তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন সমীক্ষকরা।
১৪-১৭ বছর বয়সিরা যৌনতা সম্পর্কে যতটুকু জানে, সে সবের উৎস তাঁদের অভিভাবক এবং বন্ধুরা। তাদের মধ্যে মাত্র ৮ শতাংশ কিশোর জানিয়েছে, পর্ন থেকে তারা যৌনতা সম্পর্কে জেনেছে।
আরও পড়তে পারেন: যৌনগন্ধী স্বপ্ন দেখেন ? মনস্তাত্ত্বিকরা কি বলছেন
কিন্তু তরুণদের বেশির ভাগেরই যৌনতা সম্পর্কে শেখার উৎস হিসেবে উঠে এসেছে পর্ন ছবি। জনস্বাস্থ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে রথম্যান বলেছেন, এটা বেশ উদ্বেগজনক। কারণ তরুণ বয়সের বেশিরভাগই যৌন সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে তথ্যের উৎস হিসাবে পর্নের উপর নির্ভরশীল।
তাঁর মতে, তরুণদের কীভাবে পরিপূর্ণ, নিরাপদ, সম্মতিযুক্ত যৌনতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে বিস্তৃত যৌনশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। অন্তত গবেষণা থেকে তেমন উপসংহারই উঠে এসেছে।
আরও পড়তে পারেন: শোয়ার ধরনও প্রভাবিত করে যৌনজীবনকে, গবেষণায় উঠে এল চমকে দেওয়া তথ্য
শরীরস্বাস্থ্য
রোজ কেন খাবেন ধনেপাতা জেনে নিন

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতের শাকসবজির মধ্যে অন্যতম হল ধনেপাতা। যদিও এখন প্রায় সারা বছরই ধনেপাতা কমবেশি পাওয়া যায়। এই ধনেপাতা প্রতি দিন নিয়মিত খেতে পারলে শরীরের অনেক উপকার হয়। বাকি শাকসবজির মতোই ধনেপাতারও একাধিক গুণ আছে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি –
১। প্রতি দিন ধনেপাতার শরবত খেলে কিডনি ভালো থাকে। জমে থাকা ক্ষতিকর নুন ও বিষাক্ত পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে বেরিয়ে যায়।
২। ধনেপাতা শরীরের ভালো কোলেস্টরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। হজমে সাহায্য করে। পেট পরিষ্কার করে।
৩। সুগারের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। এটি রক্তে সুগারের মাত্রা কমায়।
৪। এর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান মুখের আলসার নিরাময় করে।
৫। ধনেপাতার ভেষজ উপাদান চোখের জন্যও ভালো।
৬। ঋতুস্রাবের সময় রক্তশূন্যতা দূর করে ধনেপাতা কারণ এতে প্রচুর আয়রন থাকে।
৭। ধনেপাতার ফ্যাটে দ্রবণীয় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি ফুসফুস ও পাকস্থলীর জন্য ভালো।
৮। রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। বাতের ব্যথা, হাড় জয়েন্টের ব্যথা কমায়।
৯। ধনেপাতায় সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল ও লিনোলিক অ্যাসিড থাকে। এগুলি অ্যান্টিরিউম্যাটিক এবং অ্যান্টিআর্থ্রাইটিক।
১০। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। মস্তিষ্কের স্নায়ু সচল রাখে।
১১। ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ফুলে যাওয়া কমায়। অ্যান্টিহিস্টামিন উপাদান অ্যালার্জি বা যে কোনো ক্ষতিকারক প্রভাব দূর করে।
১২। গুটিবসন্ত প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করে ধনেপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ডিটক্সিফাই উপাদান, ভিটামিন সি এবং আয়রন।
১৩। ধনেপাতা কাঁচা চিবিয়ে খেলে মুখের বাজে গন্ধ দূর হয়।
শরীরস্বাস্থ্য
করোনা ভ্যাকসিন: সাধারণ ও বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি কী কী
সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত…

নয়াদিল্লি: গত ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে শুরু হয়েছে করোনা টিকাকরণ। স্বাস্থ্যকর্মী এবং প্রথম সারির করোনাযোদ্ধাদের দেওয়া হচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি প্রতিষেধক। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৩০৫ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫৮০ জনের শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সাইড এফেক্ট এবং বিরূপ প্রভাব বা এডিআর এক বিষয় নয়। আবার সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ((common side effects) এবং বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ারও (uncommon side effects) রকমফের রয়েছে। এখানে দেখে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কয়েকটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*ইনজেকশনের জায়গাটি লাল ভাব অথবা ফুলে থাকা এবং ব্যথা
*দুর্বল অথবা অসুস্থ হওয়ার অনুভূতি
*ক্লান্তি
*মাথাব্যথা
*ঠান্ডা লাগা বা জ্বরের মতো অনুভূতি
*বমি বমি ভাব
*পেশি, গায়ে অথবা জয়েন্টে ব্যথা
*অন্যান্য জ্বরের মতো লক্ষণ, নাক দিয়ে জল গড়ানো
কয়েকটি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
*মাথা ঘোরা
*খিদে কমে যাওয়া
*পেট ব্যথা
*অতিরিক্ত ঘাম দেওয়া
*ত্বকে চুলকানি বা ফুসকুড়ি
প্রতিকূল ঘটনা (AE)
ভ্য়াকসিন নেওয়ার পর যে কোনো চিকিৎসা সংক্রান্ত ঘটনা, যার সঙ্গে ভ্যাকসিনের সরাসরি সম্পর্ক নাও থাকতে পারে। এগুলি ভ্যাকসিনের সঙ্গে সম্পর্কিত বা কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে।
ওষুধের বিরূপ প্রভাব (ADR)
যদি কোনো প্রতিকূল ঘটনা দেখা দেয়, তখন তাকে এডিআর বলা হয়। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর দিন শিশুর জ্বর এলে সেটা এক ধরনের ‘এই’, কার্যত এটা একটা এডিআর-ও।
মারাত্মক ‘এই’ এবং মারাত্মক এডিআর
‘এই’ যদি মারাত্মক আকার নেয় এবং সেটা যদি ভ্যাকসিনের প্রভাবেই প্রমাণিত হয়, তা হলে সেটাই একটা মারাত্মক এডিআর।
আরও পড়তে পারেন: কারা টিকে নিতে পারবেন না, জানিয়ে দিল ভারত বায়োটেক
শরীরস্বাস্থ্য
হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণগুলি জেনে নিন
সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের ধারণা, বয়সকালেই হার্ট অ্যাটাক হয়। কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের কোনো নির্দিষ্ট বয়স নেই। হৃদযন্ত্রের কোনো শিরায় রক্ত চলাচলে বাধা এলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এর পেছনে অনেক কারণ কারণ কাজ করে – বয়স, উচ্চ রক্তচাপ, অতিরিক্ত উত্তেজনা, মানসিক চাপ, শরীরে বেশি মাত্রায় কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত মেদ, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি।
অনেক সময় বুকে ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হয়। তা আদপে হার্ট অ্যাটাক কি না বোঝা যায় না। তবে কিছু না কিছু লক্ষণ তো থাকেই। যেগুলি থেকে বোঝা যায় যে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কি না।
সেই সব লক্ষণ
১। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আভাস পাওয়া যায় প্রায় ১ মাস আগে থেকেই। সেই সময় অকারণে দুর্বল ভাব, ঘন ঘন শ্বাসের সমস্যা, হাঁপানি শুরু হয়। এমন হলে সতর্ক হোন। হতে পারে হৃদপিণ্ডকে বিশ্রাম দেওয়া দরকার। পরামর্শ নিন চিকিৎসকের।
২। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের আগে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বদহজম, বুক জ্বালা, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, বমি হওয়া সহ নানা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা হয়। এগুলি একদম স্বাভাবিক সমস্যার মতো। কিন্তু হতে পারে এটা হার্ট অ্যাটাকের পুর্বাভাস।
৩। যদি কারণ ছাড়াই বেশি ঘাম হয় ও তা বেশ ঠান্ডা হয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তা অবহেলা করবেন না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। কারণ হার্ট ব্লক হলে রক্ত সঞ্চালনের জন্য হৃদপিণ্ডকে অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই পরিশ্রমের জন্য ঘাম হয়। এমন হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
৪। অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত না হলেও অস্বস্তি হয়, চাপ ধরা, ভারী ভাব লাগে, শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। এমন হলে দেরি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
৫। চিকিৎসকরা বলেন, শুধু বুকে নয়, শরীরের আরও কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভূত হলেও হতে পারে সেটা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। যেমন দাঁত, চোয়াল, গলা, কাঁধ, পিঠ, পেটের উপরের অংশ এবং বাঁ হাতে হঠাৎ বেশ ব্যথা বা চাপ ভাব বা অস্বস্তি বা আড়ষ্ট ইত্যাদি।
তাই এমন কোনো সমস্যা বুঝলে দেরি না করে ব্যবস্থা নিন।
আরও – অবহেলা করবেন না, জরায়ুর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলি জেনে নিন
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
কলকাতা3 days ago
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
-
দেশ3 days ago
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
-
প্রবন্ধ2 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য