বাংলা ছবির বক্স অফিসে এখন তাঁর দারুণ চাহিদা। সোহিনী সরকারকে কিছু সময়ের জন্য পেয়ে আড্ডা জমলো। লিখেছেন রাকা রায়।
প্রশ্ন: সব পরিচালক প্রযোজকের কাছে তোমার চাহিদা তো এখন তুঙ্গে।
উত্তর: দর্শকরা আমার কাজ পছন্দ করছেন। তাই আমিও কাজ করে মজা পাচ্ছি ।
প্রশ্ন: সব ভূতুড়ে মুক্তি পেয়েছে। দর্শকদের থেকে কি ফিডব্যাক পাচ্ছো?
উত্তর: আমি এখন হল ভিজিট করছি। দর্শকরা খুব পছন্দ করছে। বিশেষ করে ছোটো বাচ্চারা খুব আনন্দ করছে।
প্রশ্ন: ভয় পাচ্ছে? কি বলছে তারা ?
উত্তর: আসলে এটা কিন্তু হরর সিনেমা নয়। এই গল্পটা অনেকটা লীলা মজুমদারের ভূতের গল্পের মতো। সত্যজিতের লেখা ভূতের গল্পের মতো। একটা শিরশিরানি ছমছমে ভাব আছে। তবে ভয়ঙ্কর কিছু নেই, যাতে বাচ্চারা ভয় পাবে। যে কারণে ছবিটি ইউ সার্টিফিকেট পেয়েছে। তাই বাচ্চা নিয়ে ছবিটা দেখা যাবে ।
প্রশ্ন: সোহিনী কি ছবিতে ভূত?
উত্তর: সেটা বলা খুব মুসকিল। না আসলে মেয়েটা ভূত দেখতে পায়। তাই ওকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । তবে বেশ কিছুটা সিনেমা দেখতে হবে।
প্রশ্ন: ভূতের ভয় পাও ?
উত্তর: সেই ভাবে পাইনা । তবে আমি যে বাড়িতে থাকতাম, সেখানে চারিদিকে এতো গাছ গাছালি। রাতে একবার ভয়ের ছবি দেখে ভয় পেয়ে শেষে মাকে ফোন করে কিছুক্ষণ গল্প করে তারপর ঘুমোতে গেছি। আমার ভয় আসলে সাময়িক।
প্রশ্ন: সামনেই পূজো। তুমি তো ট্রেকিং পছন্দ করো ?
উত্তর: অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয়নি। পর পর ছবির কাজ চলছে। আমার কাছে নর্থ বেঙ্গল খুব পছন্দের জায়গা। মানুষগুলো খুব সরল হয়।
প্রশ্ন: আচ্ছা সোহিনী কে আগে কখনো এতো গোছানো দেখা যেতোনা।
উত্তর: আমি মানুষ হিসেবে একই আছি। তবে সত্যি আগে এতোটা গোছানো ছিলাম না। ইন্টারভিউ- এ যখন নিজেকে দেখেছি তখন মনে হয়েছে একটু ঠিকঠাক হয়ে দিলেই হতো। অনেক সময় বন্ধুরা বলেছে। তাই এখন আমাকে একটু সাজুগুজু করে দেখতে পান।
প্রশ্ন: সামনেই পুজো, তোমার প্ল্যান কী?
উত্তর: পুজের কদিন অনেক মন্ডপের ঠাকুর দেখতে পাই, কারণ জাজ হয়ে যেতে হয়। এরপর শুধুই আড্ডা। আমার অনেক বন্ধু বাইরে থাকে, তাঁরা কলকাতায় এলে আমার বাড়িটা আড্ডাজোন হয়ে ওঠে।
প্রশ্ন: ছোটোবেলায় মন্ডপে গিয়ে প্রেমে পড়েছো?
উত্তর: সে আর বলতে(হাসি)। একবার বন্ধুর দাদার সঙ্গে কথা বলব বলে লুকিয়ে দেখা করতে গিয়েছিলাম। সে কি উত্তেজনা । সেই দিন গুলো ভালো ছিল। খুব স্পেশাল ছিল দিনগুলো । এখনও মনে পড়লে ব্লাশ করি।
প্রশ্ন: সব ভূতুড়েতে সবাই কি ভূত?
উত্তর:ছবিটা দেখলেই বুঝতে পারবে। অবশ্যই ছোটোদের দেখা উচিত। আজকাল তো ছোটোদের জন্য ছবি হয় না। এটা আসলে মিষ্টি মা মেয়ের সম্পর্কের গল্প। এবার পূজোয় সাতটা ছবি আছে । সবাই দেখবেন। দারুণ মজা করে দিনগুলো কাটান। তুমিও তোমার ছেলে নিয়ে সব ভূতুড়ে দেখে এসো।