মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ২০২-৬ (ইশান কিষান ৬২, রোহিত শর্মা ৩৬, সূর্য কুমার যাদব ৩৬, পীযূষ চাওলা ৩-৪৮)
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১০৮ (১৮.১ ওভারে) (ক্রিস লিন ২১, নীতীশ রানা ২১, ক্রুনাল পাণ্ড্য ২-১২, হার্দিক পাণ্ড্য ২-১৬)
ওয়েবডেস্ক: আইপিএলে হার অব্যাহত কলকাতা নাইট রাইডার্সের। গত সপ্তাহে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের পর বুধবার ঘরের মাঠেও তারা দুরমুশ হল মুম্বইয়ের কাছে। আইপিএলের ইতিহাসে সব চেয়ে বড়ো ব্যবধানে হার কলকাতার। ফলে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে নেমে গিয়ে প্লে-অফে কিছুটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ল নাইট রাইডার্স।
টস জিতে অবশ্য এ দিন বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালোই করে মুম্বই। সৌজন্যে, ফর্মে থাকা সূর্যকুমার যাদব এবং লুইস। যত সময় যায় বিপজ্জনক হতে থাকে এই জুটি। তবে ষষ্ঠ ওভারে এই পার্টনারশিপ ভেঙে দেন স্পিনার পীযুষ চাওলা। আউট হন লুইস। উইকেট হারিয়ে ধীর গতিতে এগোনোর চেষ্টা করে মুম্বই। অবশ্য অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি যাদব। চাওলার বলে আউট হন তিনি। তবে উইকেট হারালেও আসল মজা তখনও বাকি ছিল। নতুন আসা ইশান কিষান প্রথম থেকেই মেরে খেলার চেষ্টা করেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন রোহিতও। তৃতীয় উইকেটে পঞ্চাশ রানের পার্টনারশিপও করেন তাঁরা। ইনিংস যত এগোতে থাকে রানের ঝড় তুলতে থাকেন কিষান। ১৭ বলে দুর্ধর্ষ ৫০ করেন তিনি। যা চলতি আইপিএলের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক। এর পর অবশ্য আর পিছিয়ে থাকতে হয়নি মুম্বইকে। কিষান আউট হয়ে গেলেও। শেষ দিকে রোহিত, হার্দিক পাণ্ড্য এবং বেন কাটিংয়ের সৌজন্যে ২১০/৬ রানে নিজেদের ইনিংস শেষ করে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই সুনীল নারিনের উইকেট হারিয়ে পিছিয়ে পড়ে নাইটরা। উইকেট হারিয়েও ভালো খেলার চেষ্টা চালাচ্ছিল কেকেআর। সৌজন্যে ক্রিস লিন এবং রবিন উত্থাপা। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হন লিন। এর পর অবশ্য আর ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি কেকেআর। এর কিছুক্ষণের মধ্যে ফের উইকেট হারায় কলকাতা। আউট উত্থাপা। ক্রমাগত উইকেট হারাতে থাকে তারা। নাইটদের অবস্থা এ দিন শুধু এলাম আর ফিরলাম। কার্তিক থেকে রাসেল, নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে ব্যর্থ সবাই। এগারো বল বাকি থাকতেই ১০২ রানে পরাজিত কলকাতা নাইট রাইডার্স। ম্যাচের সেরা ইশান কিষান।