গত সাড়ে চার বছর ধরে নিজের স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে বাংলা থেকে দূরে। কিন্তু বাংলা থেকে দূরে থেকেও বাঙালিয়ানা আমাকে দূরে করতে পারেনি। প্রতিযোগিতা আর এই ইঁদুর দৌড়ের হাজার ব্যস্ততার মাঝেও কোথাও যেন নিজের ভেতরের সেই ‘বাঙালিয়ানা’কে আজও খুঁজে পাই।
বাঙালিয়ানা কি শুধুই ভজহরি মান্নার ডাব-চিংড়ি খাওয়া বা পয়লা বৈশাখে শাড়ি পরে সক্কলকে তাক লাগিয়ে দেওয়া ? আমার কিন্তু তা মনে হয় না…
আমার মতে বাঙালিয়ানাটা একটু অন্য রকমের। যেমন ধরা যাক, ক্যান্ডি ক্রাশ খেলার বদলে ময়দানের সবুজ ঘাসের ওপর খালি পায়ে চলতে পারাটা বাঙালিয়ানা। নিজের পরিবারের জন্য একটু সময় বার করে বৃষ্টির দিনে চপ-মুড়ি খাওয়াটা বাঙালিয়ানা। পয়লা বৈশাখে মা-বাবাকে ফোনে প্রণাম নিও না বলে তাদের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে তাদের আশীর্বাদ পাওয়াটা বাঙালিয়ানা।
আমাদের এই যান্ত্রিক জীবনে ফেসবুক আর হোয়াটস অ্যাপের আড়ালে কত সুন্দর অনুভূতি, ভাব প্রকাশের কত ভাষা যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সেই হারিয়ে যাওয়া অনুভূতিগুলো, সেই ভাষাগুলোই বাঙালিয়ানা।
শ্রেয়া রায়চৌধুরী, মুম্বই
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।
khub valo lekha.satti pae hath die pranam bolte gele uthe geche.duraovas jantra amader matha khey che. ekhono mone pare durodarsone baisakher prmtham sakaler programme. Lunche maer hather peancha banjon.sandhye halkhata korte jaoa ma babar hath dhore.paripurna bangaliana.