নয়াদিল্লি: এই বছরে বই কেনার নিরিখে শীর্ষ স্থান দখল করেছে রাজধানী দিল্লি। দ্বিতীয় আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে বেঙ্গালুরু আর মুম্বই। এমনই জানা যাচ্ছে ‘অ্যামাজন ইন্ডিয়া’র করা একটি সমীক্ষায়।
তবে এ বারই প্রথম নয়, এই নিয়ে পর পর চার বছর শীর্ষ স্থানে রইল দিল্লি। অ্যামাজন ইন্ডিয়ার সমীক্ষা, ‘অ্যানুয়াল রিডিং ট্রেন্ড রিপোর্ট ২০১৬’-এ আরও জানা যাচ্ছে, শীর্ষ ২০টি বই পাগল শহরের তালিকায় এই প্রথম ঢুকল হরিয়ানার কর্নাল, গুজরাতের বরোদা এবং পটনা। তবে কলকাতার কোন স্থানে রয়েছে, আদৌ শীর্ষ কুড়িটি স্থানের মধ্যে রয়েছে কি না সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
সমীক্ষায় জানা গেছে, গত এক বছরে সর্বাধিক বিক্রিত বই হল চেতন ভগতের ‘ওয়ান ইন্ডিয়ান গার্ল’। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেকে রাওলিং-এর ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড কার্সড চাইল্ড’। সুদীপ নাগরকরের ‘শি সোয়াইপড রাইট ইনটু মাই হার্ট’ ভারতীয় লেখকদের নিরিখে সর্বাধিক বিক্রিত বই হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাভি শর্মার ‘এভরিওয়ান হ্যাজ আ স্টরি’।
অ্যামাজন ইন্ডিয়ার ‘ক্যাটেগরি ম্যানেজমেন্ট’ বিভাগের ডিরেক্টর নুর পটেল বলেন, “সমীক্ষায় এত প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমরা অভিভূত। ভবিষ্যতে আমাদের ক্রেতাদের কাছে আরও বিভিন্ন রকম, বিভিন্ন বিভাগের বই পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ‘অ্যামাজন ইন্ডিয়া’র করা এই সমীক্ষা কতটা সার্বিক। বই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের প্রশ্ন, সব বই প্রকাশক বা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ‘অ্যামাজন ইন্ডিয়া’ কি বই বিক্রির হিসাব জোগাড় করতে পেরেছে? আর সাধারণ পাঠকের প্রশ্ন, এই সমীক্ষা শুধুমাত্র ‘অ্যামাজন ইন্ডিয়া’র কাছ থেকে বই বিক্রির নিরিখে করা হয়নি তো?