
পেটের ছবি তুলেছেন ? ফ্যাটি লিভার! যাঃ বাবা, এ বার কী হবে ? ডাক্তার আর ওষুধ, ওষুধ আর ডাক্তার। ভাইটি এবং বোনটি আপনার যদি শরীরের সর্বত্র ফ্যাট বা চর্বি জমে তা হলে লিভারেও জমবে। এর চিকিৎসা কিন্তু ওষুধ নয়, জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা। যে পদ্ধতিতে শরীরের মেদ ঝরাতে হবে সেই পদ্ধতিতেই লিভারের মেদ কমবে। দুঃখিত ভাইটি এবং বোনটি পয়সা খরচ করে ওষুধ কিনে এ অসুখ কমবে না। স্বাস্থ্য কেনা যায় না। দীর্ঘদিন চর্বি জমে থাকলে লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা লিভারের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। সুতরাং সুস্থ আর সুন্দর থাকতে বিউটি পার্লারে না গিয়ে শরীরের যত্ন নিন।
এর পরই যে অসুখটা সবচে’ বেশি হয়, সেটা হেপাটাইটিস। জন্ডিস লিভারের কারণ ছাড়া অন্য কারণেও হয়। যেমন থ্যালাসিমিয়া বা রক্তের বিভিন্ন রোগ।
হেপাটাইটিস সব চেয়ে বেশি হয় এ ভাইরাস থেকে। এটা চটপট সারে কিন্তু বহু পরে সিরোসিস মানে লিভার নষ্ট করে দিতে পারে। হেপাটাইটিস বি আর সি ভাইরাস সরাসরি লিভারে সিরোসিস করে দিতে পারে। সুতরাং সাধু সাবধান। যথা সময়ে ভ্যাক্সিনগুলো নেবেন পরে হাহাকার করবেন না। এই বিষয়ে নিজস্ব ডাক্তারবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পরে কপালের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সাবধান : লিভার খারাপ ? জেনে নিন
আমরা এই পর্যায়ে কেবলমাত্র সাধারণ কিছু অসুখ নিয়েই আলোচনা করব। সব রোগ আমাদের আলোচ্য নয়কো।
লিভার নষ্ট হলে যে হেতু প্রোটিন তৈরি হয় না, তাই রক্ত তরলতর হয়ে যায়, তখনই তরলতর রক্ত শরীরের ফাঁকা জায়গায় চলে আসে, ফলত পেটে জল জমে – পা ফুলে যায় । ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ।
অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও ওমনি হতে পারে। কারণটা বোঝানো এই পরিসরে শুধু মুশকিল তা নয় অপ্রয়োজনীয়ও বটে। সুতরাং বেশি মদ পান করবেন না ।
যে হেতু লিভারের রক্ত চলাচল বড্ড বেশি তাই বেশির ভাগ ধরনের ক্যানসারই ছড়ালে প্রথমে লিভারে এসে বাসা বাঁধে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। ভরসা থাকুক চিকিৎসকে।
“শুধু মনে রাখবেন লিভার আমাদের বাঁচিয়ে রাখে কিন্তু লিভারের কোনো ওষুধ নেই, সামলে থাকুন সুস্থ থাকুন।”