শেষ উইকেটে ৭৮-এর ৭২ কুশলের, ঐতিহাসিক জয় পেল শ্রীলঙ্কা

0
kushal after victory
জয়ের পর কুশল। ছবি সৌজন্যে ইন্ডিয়া টুডে।

শ্রীলঙ্কা: ১৯১ (পেরেরা ৫১, স্টেইন ৪-৪৮) এবং ৩০৪-৯ (পেরেরা ১৫৩ নট আউট, মহারাজ ৩-৭১)

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৩৫ (ডি কক ৮০, বিশ্ব ৪-৬২) এবং ২৫৯ (দু প্লেসিস ৯০, এম্বুলদেনিয়া ৫-৬৬) 

কিংসমিডে প্রথম টেস্টে শ্রীলঙ্কার ১ উইকেটে জয় 

ওয়েবডেস্ক: ‘অসম্ভব’ শব্দটা একমাত্র মূর্খের অভিধানেই পাওয়া যায়। নেপোলিয়ন বোনাপার্টের এই আপ্তবাক্যটি সত্যি প্রমাণ করলেন কুশল পেরেরা। দেখিয়ে দিলেন এ ভাবেও জেতা যায়!

২২৬ রানে নবম উইকেটের পতন। জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কাকে শেষ উইকেটে করতে হবে ৭৮ রান। উইকেটে রয়েছেন কুশল পেরেরা। নিজের সংগ্রহে তখন ৮৬ রান। তাঁর সঙ্গী হলেন বিশ্ব ফার্নান্ডো, শ্রীলঙ্কার বাঁ হাতি মিডিয়াম পেস বোলার। অতিবড়ো আশাবাদীও সেই মুহূর্তে শ্রীলঙ্কার হয়ে বাজি ধরতে রাজি হননি।

জয়ের জন্য ৩০৪ রান তাড়া করতে গিয়ে ২২৬ রানের মধ্যে যে দলের ৯ উইকেট পড়ে যায়, সেই দলের হয়ে বাজি ধরা? তার ওপর আবার শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের বর্তমান হাল এবং প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

কিন্তু ভাগ্যদেবী তখন অলক্ষ্যে হাসছেন।

বল করতে এলেন কে মহারাজ। কুশল তাঁকে উড়িয়ে দিলেন লং অনের ওপর দিয়ে – ৬ রান। তার পর ওই একই বোলারের একটা বল রিভার্স সুইপ করে কুশল পৌঁছে গেলেন ৯৯-এ। পরের বলে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি।

আরও পড়ুন ইরানি কাপে নজির গড়লেন এই ভারতীয় ক্রিকেটার

তখনও শ্রীলঙ্কার দরকার ৬৪ রান। এই ম্যাচ যে জেতা যায়, সেই অসম্ভব ভাবনা তখনও কুশলের মাথায় আসেনি। বিশ্ব তখনও খাতা খোলেনি। এর পর অলিভারের বলে ৬ মেরে এবং কভারের পাশ দিয়ে সুইপ করে ২ রান নিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রানকে ৫০-এর নীচে নামিয়ে আনলেন কুশল।

ও দিকে বিশ্ব অবিচল। খাতা খুলছেন না, কিন্তু এঁটুলির মতো উইকেটে পড়ে আছেন। নিজের প্রথম রানটি নেওয়ার আগে ২২টি বল খেলে ফেলেছেন বিশ্ব। ২৩তম বলে ফিল্ডারের দোষে বিশ্ব ১-এর বদলে পেয়ে গেলেন ৫ রান। ততক্ষণে শ্রীলঙ্কা পৌঁছে গিয়েছে ২৭৫-এ।

শেষ পর্যন্ত আর ফিরে তাকাতে হয়নি কুশল পেরেরাকে। বিশ্বকে সঙ্গী করে তুলে ফেললেন ৭৮ রান। নিজের রান ১৫৩ নোট আউট, টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সর্বোচ্চ রান। উইকেটে সেঁটে থেকে যোগ্য সঙ্গত করলেন বিশ্ব, তাঁর সংগ্রহ ৬ রান।

টেস্ট ক্রিকেট একটি ঐতিহাসিক ম্যাচ পেল। সাধে কি আর বলে ক্রিকেট মহান অনিশ্চয়তার খেলা!

 

বিজ্ঞাপন