ওয়েবডেস্ক: এ বারের কলকাতা বইমেলায় অনেকগুলি বই প্রকাশ করেছে রূপালী প্রকাশন সংস্থা। সেগুলির বিষয় বৈচিত্রে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই রয়েছে রকমারি স্বাদ। যে কোনো মননের পাঠক এই পরিচিত প্রকাশন সংস্থায় হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন নিজের সংগ্রহে রাখার মতো বইটি। ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় রূপালীর স্টল নম্বর ২৪৯। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রূপালীর নজরকাড়া আটটি বই-
পান্থজনকথা
প্রবন্ধ-নিবন্ধ-রম্য, কোনো নামেই সংজ্ঞায়িত করা যাবে না রজত চক্রবর্তীর এই তথ্যনিষ্ঠ লেখাগুলি। সরস ও স্বচ্ছন্দ গদ্যে ছোটোগল্পের নাটকীয়তায় পাঠক তথ্যের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে অনুভব করেন শিকড়ের টান। বাঙালির জাত্যাভিমান জড়িয়ে রয়েছে পরতে পরতে।

পেশাগত ভাবে ইঞ্জিনিয়ার হলেও অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেশা ভ্রমণ। ঘুরে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। তুলে নিয়ে আসেন অজানা তথ্য। ব্রিটিশ শাসনকালের আগে-পরে নাড়াজোল রাজবাড়ির ইতিবৃত্ত তিনি তুলে ধরেছেন এই সংকলনে।

শাহী বুরহানপুর
লেখক নেশার টানে হরেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে তথ্য সঞ্চয় করেন। তবে লুকিয়ে রাখেন না, বানিয়ে ফেলেন ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র। ঐতিহাসিক স্থানগুলির প্রতি লেখকের তীব্র আকর্ষণ তৃপ্তি দেবে পাঠককে।

স্বপ্ন আর মৃত্যুর কথোপকথন
যদি এমনটা হতো। মুখোমুখি বসে কথা বলত স্বপ্ন আর মৃত্যু। কথার মায়াজালে অর্ণব সাহার টানটান লেখনীতে মুগ্ধ হতে বাধ্য সচেতন পাঠক।

চিকিৎসক জীবনের নানা ভাঁজে ঘটে চলা বেশ কিছু বাস্তবধর্মী কাহিনি নিয়ে জমাট বেঁধেছে মানদা সুন্দরী এবং মাতাল ডাক্তারের গল্প। ছোটোগল্পে দীপঙ্কর ঘোষের মুনসিয়ানার মূল কেন্দ্রবিন্দু সহজ-সাবলীল শব্দচয়ন এবং অনাবিল হাস্যরস। কোনোটারই খামতি নেই এখানেও।

অশরীরী
বাস্তব অস্তিত্ব না থাকলেই কি অশরীরী? দেহহীনরাও তো অশরীরী।ভালো লাগার মতো সংকলনটি উপহার দিয়েছেন কস্তুরী দাশগুপ্ত।

পর্যটনের গুজরাত
প্রাচীন শিল্পশহর গুজরাতের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক স্থান। সাধ্য মতো সেগুলিকে এক মলাটে বন্দি করেছেন ভ্রমণপিপাসু গীতি পালিত এবং সুপ্রিয় কর। নতুন করে গুজরাত ভ্রমণের আশা জাগাবে বইকি!

কাঞ্চনজঙ্ঘা, অন্তরঙ্গ শৃঙ্গের মুখোমুখি
পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষের রোমাঞ্চকর এবং সুপাঠ্য ভ্রমণকাহিনি।
