খবর অনলাইন ডেস্ক: অনেক যন্ত্রপাতিই আমরা বিস্তারিত না জেনে ব্যবহার করতে শুরু করে দিই, তা সে ইলেকট্রনিক হোক বা অন্য কিছু। কিন্তু এটা করা অনুচিত। আগে পরে করণীয় কী বিস্তারিত না জেনে ব্যবহার শুরু করলে মাঝ পথে গিয়ে বিপদে পড়তে হতে পারে। তাই ভালো করে সব জেনে তার পর এগোনোই ভালো।
ঠিক তেমনই একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র রোজকার ব্যবহারের ওয়াশিং মেশিনটি। ক’ জন ভালো করে এর ব্যাপারে জানে। হাতেগোনা কয়েক জন। আজ সেই ব্যাপারেই বিস্তারিত তথ্য রইল।
প্রথম
কেনার আগে ওয়াশিং মেশিনের ক্ষমতা সম্পর্কে জানা দরকার। অর্থাৎ কোন মেশিন কত বেশি কাজ করতে পারে। শুধু দুই জনের সংসার হলে ৫ কেজির ওয়াশিং মেশিনই যথেষ্ট। একটু বড়ো সংসার ৪-৫ জনের যেমন, বাবা-মা এবং ছেলে-মেয়ে নিয়ে থাকলে ৭ থেকে ৮ কেজির মেশিন কেনা ভালো। যৌথ পরিবার হলে আরও বড়ো অর্থাৎ ৯.৫ কেজির মেশিন কিনুন।
দ্বিতীয়
ওয়াশিং মেশিন দুই রকমের হয়। একটি হল, অটোমেটিক। অন্যটি সেমি অটোমেটিক।
প্রথমেই ভাবতে হবে কোনটি কিনবেন?
কর্মরতা হলে, হাতে সময় কম থাকলে, অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিন কেনাই ভালো। এতে কাচাকুচি তাড়াতাড়ি ও সহজে হয়। নিজেকেও এর জন্য কম সময় দিতে হয়।
দাম অবশ্য সেমির থেকে ফুল অটোমেটিকের একটু বেশি।
তৃতীয়
টপ নাকি ফ্রন্ট লোড?
কোনোটির সামনে কোনোটির ওপরের দিকে মুখ থাকে। ওপরের দিকে অর্থাৎ টপ লোডার মেশিনে কাচা অনেক সহজ। কিন্তু সমস্যা হল সময় লাগে অনেক বেশি। শব্দও অনেক বেশি। কিন্তু ফ্রন্ট লোডার মেশিনে দ্রুত কাচাকাচি করা যায়। তবে এতে সমস্যা হল এটি আকারে বড়ো হয় এবং দাম তুলনায় বেশি হয়।
চতুর্থ
পরিষ্কারের পদ্ধতি
ভিনিগার দিয়ে ওয়াশিং মেশিন পুরোপুরি পরিষ্কার করা যায়। দরকার শুধু ২ চামচ ভিনিগার। এটি ওয়াশিং মেশিনে ঢেলে কিছুটা জল দিয়ে জামাকাপড় ছাড়া কিছুক্ষণ ঘুরিয়ে নিন।
পঞ্চম
গরম জল ব্যবহার। ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু মেরে ফেলতে জামাকাপড় ও বিছানার চাদর গরম জলে কাচা যায়। তবে গরম জল ব্যবহারের আগে ম্যানুয়ালটি ভালো করে পড়ে নিন।
পড়ুন – নিজের পছন্দের কসমেটিক্স কেনার আগে দেখে নিন ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।