ওয়েবডেস্ক: মানুষের সৌন্দর্যের অন্যতম আকর্ষণ হল চুল। সাম্প্রতিক কালে চুল পড়ার সমস্যা বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যায় ভুগেছেন অনেকেই।
মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়ার কারণে পাতলা হয়ে যাচ্ছে মাথার চুল। এতে সৌন্দর্য হারাচ্ছেন আপনি। নানা রকম শ্যাম্পু ও তেল ব্যবহার করেছেন। আর শেষমেশ ডাক্তারের কাছে গিয়েও মিলছে না সমাধান।
যারা এই সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তাদের জন্য রয়েছে ঘরোয়া সমাধান। ঘরোয়া কিছু নিয়ম মানলেই ৭ দিনেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
এছাড়া প্রতিনিয়ত এই নিয়ম মেনে চললে চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই।
আসুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধের ঘরোয়া উপায়-
১. চুলের গোড়ায় গরম তেল ম্যাসেজ-
গরম তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। এ ক্ষেত্রে নারকেল ও বাদামের তেলের জুড়ি নেই। তেল গরম করার পরে ধীরে ধীরে মাথায় ম্যাসাজ করুন।
২. পেঁয়াজ রস
পেঁয়াজে উচ্চ মাত্রায় সালফার থাকে। পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও চুল পড়া বন্ধে সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
পেঁয়াজের রস মাথায় লাগান। ৩০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। পেঁয়াজের রস একটানা সাতদিন ব্যবহারের পরেই আপনি এর কার্যকারিতা দেখতে পাবেন।
৩. গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা চুল পড়া রোধ ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এক কাপ গরম জলে গ্রিন টি মিশিয়ে নিন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় মাথায় লাগান। এক ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন।
৪. আমলকি-
চুল পড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে ভিটামিন সি’র অভাব। আমলকিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকি চুল পড়া বন্ধ, চুলের খুশকি দূর করে। আমলকির রস নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
৫. নিমপাতা-
নিমপাতাকে বলা হয় সকল রোগের মহৌষধ। তেমনি এই চুল পড়া বন্ধ ও নতুন চুল গজাতে নিমপাতার জুড়ি নেই। নিম পাতা পেস্ট করে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ২ সপ্তাহের মধ্যেই দেখবেন আপনার চুল পড়া অনেক কমে গেছে।
৬. ডিমের সাদা অংশ পেস্ট করে লাগান
ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন এবং ভিটামিন চুলের পুষ্টি জোগায়। পাতলা চুলের সমস্যা দূর করে চুল ঘন ও মসৃণ করে। দুটি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে মাস্ক তৈরি করে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। ৩০ মিনিট অপেক্ষা পর জল দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।