দামি দামি রাসায়নিক মেশানো কসমেটিকস নয়, রান্নাঘরে থাকা সাধারণ উপাদানেই ত্বক ও চুলের স্বাভাবিক পরিচর্যা করা সম্ভব। রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল লবঙ্গ। ঝাঁঝালো এই ছোট্ট মশলা নানান পুষ্টিতে ভরা। ভিটামিন এ, কে, সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, লোহা, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামে সমৃদ্ধ লবঙ্গ। বিটা ক্যারোটিনে সমৃদ্ধ লবঙ্গ ভেজানো জল মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে। চুলকে গোড়া থেকে মজবুত করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও পরিবেশ দূষণের হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে লবঙ্গ ভেজানো জল।
চুলের যত্নে লবঙ্গ ভেজানো জলের উপকারিতা
(১) ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ জুগিয়ে চুলের পুষ্টি বৃদ্ধি করে লবঙ্গ ভেজানো জল। ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ লবঙ্গ পরিবেশ দূষণের হাত থেকে চুলকে রক্ষা করে। গোড়া থেকে মজবুত করে চুলকে। চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে।
(২) অ্যান্টিসেপ্টিক, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে বলে লবঙ্গ ভেজানো জলে চুল থেকে খুশকির সমস্যা দূর করে।
(৩) মাথার তালুতে ব্যাক্টেরিয়া ও ফাঙ্গাসের সংক্রমণ থেকে খুশকির সমস্যা তৈরি হয়। চুলের গোড়া আলগা হয়ে গিয়ে চুল পড়তে শুরু করে। অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে বলে লবঙ্গ ভেজানো জলে চুল ও মাথার তালু ধুলে, তালু পরিষ্কার থাকে। চুলের গোড়া মজবুত করে লবঙ্গ ভেজানো জল।
(৪) রুক্ষ, শুষ্ক চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ও প্রাণ ফিরিয়ে আনে লবঙ্গ ভেজানো জল। উজ্জ্বল ও মসৃণ হয় চুল। ভেতর থেকে চুলকে কন্ডিশনিং করে লবঙ্গ ভেজানো জল।
(৫) অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে চুল অকালে বুড়িয়ে যায়। লবঙ্গতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে যা চুলের স্বাভাবিক রঙ বজায় রাখে।