রূপচর্চা
বিয়ের আগে মুখের মেদ ঝরাতে সহজ ৫টি ব্যায়াম শিখে নিন

ওয়েবডেস্ক : সামনেই বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছে? হাতে মাত্র ক’টা দিন। তাই বিয়ের কথা শুরু হওয়ার পর থেকে নিজেকে ঝরঝরে বানানোর জন্য ব্যায়াম যোগাসন নিয়মিত করছেন। ফলও পাচ্ছেন। কিন্তু মুখটা যেমন বেলুনের মতো ফোলা সেটাই রয়ে গিয়েছে। এক কণা মেদও সেখান থেকে ঝরাতে পারেননি। তাই মনের মধ্যে একটা খারাপ লাগা কাজ করছে। বিয়ের অমন সুন্দর সাজে সব ঠিক থাকলেও আসল ব্যাপারটাই মার খেয়ে যাবে। তাই বিরক্তও লাগছে খুব। কিন্তু না আর বিরক্ত লেগে কাজ নেই। বরং সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে মুখটাকেও চিকন করে ফেলুন। তার জন্য একটু ধৈর্য এবং একাগ্রতা প্রয়োজন।
আমাদের শরীর যেমন বহু রকমের মাংসপেশির সম্বন্বয়ে তৈরি। তাদের কাজও ভিন্ন। তেমনই আমাদের মুখও নানান রকমের পেশির সম্বন্বয়ে তৈরি। নয়-নয় করে প্রায় ৫০ রকমের পেশি রয়েছে। তাই তাদের ব্যবহার স্থান কাজ এবং তাদের মেদ কমানোর পদ্ধতি সবই আলাদা।
তাই শুধু শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যায়াম করে শরীরের বিভিন্ন অংশের মেদ কমানো গেলেও মুখের মেদ কমানো সম্ভব নয়। তা কমানো যাবে শুধুমাত্র মুখের ব্যায়ামের মাধ্যমেই। সেই মুখের ব্যায়ামও করতে হবে নিয়ম করে।
এ বার বরং জেনে নেওয়া যাক ব্যায়ামগুলো কী কী? করতেই বা হবে কেমন করে?
প্রথম ব্যায়াম –
প্রথমে চোখ বন্ধ করে চোখের ওপর আঙুল রেখে চোখের পাতা নিচের দিকে নামানোর সঙ্গে ভ্রু ওপরে তোলার চেষ্টা করতে হবে। এতে কপাল টান টান হবে। রোজ ৫ মিনিট করে এই ব্যায়াম করতে হবে। এতে চোখের তলায় জমে থাকা মেদ ঝরে যায়। এ ছাড়াও চোখ বন্ধ অবস্থায় চোখের মণি ওপর থেকে নিচে নামাতে হবে, ঠিক চোখ বন্ধ অবস্থায় কিছু দেখার চেষ্টা করার মতো করেই করতে হবে। টানা ১৫ মিনিট এই ব্যায়াম করা যেতে পারে। প্রতিদিন অন্তত একবার করে এই ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যাবে।
দ্বিতীয় ব্যায়াম –
দ্বিতীয় ব্যায়ামে মুখ যতটা সম্ভব হাঁ করে খোলার চেষ্টা করতে হবে, যতক্ষণ না গালে, ঠোঁটে এবং থুতনিতে টান বা চাপ অনুভব হচ্ছে। এই ভাবে মিনিট দু’য়েক থাকার পরে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড রিল্যাক্স করতে হবে। দিনে ৫ থেকে ৬ মিনিট এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে হবে। এর ফলে মুখের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায় যা মুখের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

তৃতীয় ব্যায়াম –
এর পরের ব্যায়ামটিতে মুখের মধ্যে একটি বা দু’টি আঙুল ঢুকিয়ে যতটা সম্ভব জোরে চুষতে হবে। অথবা ওই একই ভঙ্গিতে মুখের ভেতরে হাওয়া টেনে গাল দু’টিকে যতটা সম্ভব সংকুচিত করতে হবে। সেলফি তোলার সময় অনেকেই ‘পাউট’ করে ছবি তোলে। এটা অনেকটা পাউট করার মতো। দিনে অন্তত ১০ বার যদি এই পদ্ধতিতে ব্যায়াম করা যায় তা হলে গালের ফোলা ভাব খুব তাড়াতাড়ি কমে যাবে।
চতুর্থ ব্যায়াম –
এ বার মাথাটা পেছন দিকে যতটা সম্ভব হেলিয়ে দিতে হবে। তারপরে দু’ হাত দিয়ে গালের ওপর সমান ভাবে চাপ দিতে হবে। একই সঙ্গে যতটা সম্ভব মুখ বন্ধ অবস্থাতেই হাসারও চেষ্টা করতে হবে। অন্তত ১০ মিনিট টানা এই ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত করতে পারলে গাল থেকে অতিরিক্ত মেদ সহজেই কমে যাবে।
পঞ্চম ব্যায়াম –
শেষ ব্যায়ামটিতে ধীরে ধীরে মাথা যতটা সম্ভব পেছন দিকে হেলানো যায় হেলাতে হবে। যতক্ষণ না ঘাড়ে চাপ অনুভব হচ্ছে। এ বার চোয়াল ডান দিক থেকে বাঁ দিক এবং বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ধীরে ধীরে ঘোরানোর চেষ্টা করতে হবে। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ মিনিট করে মোট ৫ বার এই ব্যায়াম করতে হবে। এই ব্যায়াম করলে ঘাড় এবং গলার পেশি টান টান হয়। একই সঙ্গে ঘাড় এবং গলার অতিরিক্ত মেদও ঝরে যায়। ফলে ডবল চিনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
তা হলে আর এক দিনও দেরি না করে শুরু করেদিন মুখের এই ব্যায়ামগুলি। কয়েকদিনের মধ্যেই সুফল নিজেই বুঝতে পারবেন।
দেখুন – পেটের মেদ কমাতে ৫টি খুব সহজ ব্যায়াম
জীবন যেমন
কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাত্র এক মাস নিয়ম করে ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত বলিরেখা থেকে মুক্তি দেবে এমনই প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে আজকের ঘরোয়া পরামর্শে।
উপকরণ রান্না ঘরেই আছে।
১। মেথির জল

মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ, ত্বকের মধ্যে সহজে ঢুকে পড়ে। বলিরেখা, ফাইন লাইনসকে দূর করে।
২ চামচ মেথি, ১ কাপ জল নিন। মেথি জলে ফুটিয়ে নিন। এ বার জল ছেঁকে তা ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করুন। দিনে দু’ বার এই জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তা ছাড়া মেথির তেলও মুখে লাগাতে পারেন।
২। কাঠবাদাম

মুখের কুঁচকানো ভাব দূর করতে কাঠবাদাম।
৫-৬টা কাঠবাদাম, ৪ চামচ কাঁচা দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা বেঁটে পেস্ট করে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কালো দাগ বলিরেখা সবই চলে যাবে। রোজ নিয়ম মেনে এটি করুন। বাদামতেলও মুখে মাখতে পারেন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মুখের যত্ন নিয়ে দেখুন এক মাসে ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল হবে। কালো দাগও চলে যাবে।
আরও মুহূর্তে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর ৬ উপায়
জীবন যেমন
চুল ঘন করতে অব্যর্থ আলুর প্যাক

খবরঅনলাইন ডেস্ক: পরিবেশ দূষণ ও ব্যস্ত জীবন কেড়ে নিচ্ছে চুলের সৌন্দর্য। ঘন, কালো, রেশমি চুল পাওয়া এখন যেন ভাগ্যের ব্যাপার। কিন্তু ক’জনের ভাগ্য এত প্রসন্ন। তাই চুলের ভাগ্য ফেরাতে ব্যবস্থা করতে হয় নিজেদেরই। সে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপায়ের কোনো তুলনা হয় না। এমনই একটি প্রাকৃতিক উপায় হল আলুর প্যাক। আলুতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, সি, জিঙ্ক, আয়রন। এই উপাদানগুলি চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। মাথায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। পাশাপাশি চুলকে করে ঝলমলে।
আলুর রসের হেয়ার প্যাক কী ভাবে তৈরি করবেন?
উপকরণ
আলুর রস, অ্যালোভেরা জেল।

প্রণালী
একটি খোসা সমেত আলু ভালো ভাবে ধুয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে নিন। টুকরোগুলো ব্লেন্ডারের সাহায্যে ভালো করে পিষে নিন। রসটি বেশি ঘন মনে হলে সামান্য জল মেশান। এতে দুই চামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

ব্যবহার
প্যাকটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। আধ ঘণ্টা রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। এক দিন ছাড়া এই প্যাক ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ হবে ও চুল ঘন কালো হবে।
আরও – পা ফাটায় জেরবার? মুক্তি পেতে মেনে চলুন পরামর্শগুলি
জীবন যেমন
মোজা পরা পায়ের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে হলে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মোজার দুর্গন্ধে প্রায় বমি উঠে আসার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু এটা একটা বিড়ম্বনা বই আর কিছুই না। এ দিকে মোজা পরলে পায়ে গন্ধ হয় অন্য দিকে শীতকালে বা বিশেষ ক্ষেত্রে মোজা না পরলেই নয়।
তা হলে উপায়? যাদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাদের জন্য রইল কয়েকটি পরামর্শ।
১। বাড়ি ফেরার পর নিয়মিত গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করুন।
২। গরম জলে নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ১৫ মিনিট পর ব্রাশ বা পিউমিস পাথর দিয়ে পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
৩। নুনের পরিবর্তে গরম জলের খাবার সোডাও দিতে পারেন। কিছুক্ষণ পরে পা ঘষে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তার পর ফুট ক্রিম ময়শ্চারাইজার লাগান।
৪। রাতে ঘুমোনোর আগে পা ভালো করে পরিষ্কার করে পাতিলেবু ও গ্লিসারিন অ্যালোভেরা জেল পায়ের তলায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। পা ফাটা যেমন কমবে, পায়ের দুর্গন্ধও আর হবে না।
৫। মোজা সব সময় কাচা পরুন। মোজা পরার আগে পায়ে ভালো করে পাউডার লাগিয়ে নিন। তা হলে আর পায়ে গন্ধ থাকবে না।
৬। এ বার যে পরামর্শটি দেওয়া হচ্ছে, তা অনেক সময়েই আমরা মানি না। কিন্তু এটিই সব থেকে জরুরি বিষয়। শরীরের যে কোনো অঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রাথমিক কারণ হল জল কম খাওয়া। তাই সব ঋতুতেই নিয়ম করে অন্তত ৩ লিটার জল খান।
৭। সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করতে হবে খাদ্যাভাসও। বাইরের খাবার, তেলমশলাদার খাবার, পেঁয়াজ, রসুন দেওয়া খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। পেট ঠান্ডা রাখুন। টমেটো, পাতিলেবু, টক দই, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি খান।
৮। পোশাক সম্পর্কে সচেতন হন। সুতির পোশাক, সুতির মোজা পরার চেষ্টা করুন। প্রতি দিন কাচা পোশাক ও মোজা পরুন। তা হলে আর দুর্গন্ধে চারিপাশ মেতে উঠবে না।
আরও পা ফাটায় জেরবার? মুক্তি পেতে মেনে চলুন পরামর্শগুলি
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার