শীতের মরসুমে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ত্বকও আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। মলিনতা দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ও মসৃণ ভাব ফিরিয়ে আনতে রাসায়নিক মিশ্রিত কসমেটিকস নয়, ভরসা রাখুন ঘরোয়া উপাদানেই। ৫টি ফেসপ্যাকেই ত্বকের ময়েশ্চারাইজিং করুন। ফিরিয়ে আনুন স্বাভাবিক জেল্লা ও আর্দ্রতা।
(১) মধু ও অ্যাভোকাডো মেশানো ফেসপ্যাক ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফ্যাট আছে অ্যাভোকাডোতে আর মধু প্রাকৃতিক ভাবে আর্দ্রতা জোগায় ত্বককে। অ্যাভোকাডোর তেল ত্বকের ভেতরে ঢুকে পুষ্টি জোগায় আর মধু আর্দ্রতা বজায় রাখে। অর্ধেক অ্যাভোকাডো হাত দিয়ে চটকে নিন। এক চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন মুখ। ত্বক মসৃণ ও নরম হয়।
(২) পটাশিয়াম ও প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ পাকা কলা আর ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগায়। ময়েশ্চারাইজ করে। শুষ্ক ভাব কমায়। একটা অর্ধেক পাকা কলা হাত দিয়ে চটকে নিন। ২ চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। ত্বক উজ্জ্বল ও টানটান হবে।
(৩) দুই টেবিল চামচ ওটমিল গুঁড়ো আর দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। ত্বকের মরা কোষ দূর হয়। কারণ ওটমিল গুঁড়োতে রয়েছে ফ্যাট ও ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
(৪) অ্যালোভেরায় রয়েছে কুলিং ও ময়েশ্চারাইজিং গুণ। গ্লিসারিন ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে। শীতে শুষ্ক ও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই প্যাক উপকারী। ২ চামচ টাটকা অ্যালোভেরা জেল ও কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন মুখে। অ্যালোভেরা শুষ্ক ত্বকে পুষ্টি জোগায়। গ্লিসারিন ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।
(৫) আমন্ড বাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড আর তা জলে ভিজিয়ে রেখে পেস্ট করে মালাই বা দুধের সর মিশিয়ে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঈষদুষ্ণ গরম জলে ধুয়ে নিন মুখ। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ফিরে আসবে। ত্বক নরম ও মসৃণ হবে।