মৌ বসু
বয়স যা-ই হোক না কেন আমরা সকলেই কমবেশি সৌন্দর্য-সচেতন। নিজেকে সুন্দর দেখাতে বাজারচলতি প্রচুর দামি দামি রাসায়নিক মিশ্রিত কসমেটিক্স আমরা ব্যবহার করে থাকি। এই পরিস্থিতিতে ব্রিটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি যুগান্তকারী গবেষণা করেছেন। তাঁদের গবেষণায় তাঁরা দেখিয়েছেন, নন-স্টিকি অর্থাৎ তেল চিটচিটে হবে না এবং ওয়াটারপ্রুফ বা ঘামে গলে যাবে না এমন কসমেটিক্সে পাওয়া গেছে অত্যন্ত বিষাক্ত ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ ‘ফরএভার কেমিক্যাল’। ‘ফরএভার কেমিক্যাল’-এর রাসায়নিক নাম হল পিএফএএস (PFAS) বা ‘পার- অ্যান্ড পলিফ্লোরোঅ্যালকিল সাবস্ট্যান্সেস’ (per-and polyfluoroalkyl substances)। এই ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ ত্বকের মাধ্যমে রক্তে মিশে যেতে পারে। ‘এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল’ (Environment International) নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি পড়ুয়া ডক্টর ওডনি রাগনার্সদত্তির নেতৃত্বে একদল গবেষক এই গবেষণা চালান। তিনি থ্রি ড্রি হিউম্যান স্কিন মডেলের ওপর গবেষণা চালান। গবেষণায় দেখা হয় কীভাবে ক্ষতিকর টক্সিন পদার্থ ফরএভার কেমিক্যাল বা পিএফএ প্রভাব ফেলছে ত্বকের ওপর। গবেষকরা দেখেন ১৭টি সাধারণ ভাবে ব্যবহৃত পিএফএ রাসায়নিকের মধ্যে ১৫টি ফরএভার কেমিক্যাল মাত্র ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে মিশে যেতে সক্ষম।
প্রধান গবেষক ডক্টর ওডনি রাগনার্সদত্তি বলেন, ‘আগে যত গবেষণা হয়েছিল তাতে দাবি করা হয়েছিল ফরএভার কেমিক্যাল ত্বকে মিশে যেতে পারে না। কারণ এর যৌগগুলো আয়োনাইজড থাকে। কিন্তু আমাদের গবেষণায় আমরা দেখিয়েছি এই তত্ত্ব সব সময় সঠিক নয়। এমনকি, ক্যানসার সৃষ্টিকারী নিষিদ্ধ পদার্থ ‘পিএফওএ’ (PFOA, perfluorooctanoic acid) খুব সহজে ত্বকে মিশে যেতে পারে।’
আরও পড়ুন
চাঁদিফাটা রোদে ত্বকের জেল্লা গায়েব, নিমেষে ফিরবে জেল্লা যদি করেন এই ৪ কাজ