কখনও সূর্যের প্রখর রোদ, কখনও আবার দমকা হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপোনায় ত্বকের তো বারোটা বাজছেই, বাদ যাচ্ছে না চুলও। চুলে হাত চালালেই চুল পড়ছে। রুক্ষ, শুষ্ক চুল। চুলের পিএইচ ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল ম্যাড়ম্যাড় করছে। চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে গিয়ে চুল শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। জট পড়ে যাচ্ছে। ডগা ফাটছে। মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু পুজো তো এসে গেল। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। এবার তো অবহেলা করা চলবে না নিজের চুলকে।
চুলের যে সমস্যার কথা বলা হল, তা সমাধানের উপায় আমাদের হাতের কাছে নাগালের মধ্যে রয়েছে। আমার আপনার বাড়ির বাগানে একটা গাছ পাওয়া যায় তা হল জবা। জবাফুল এবং পাতার ব্যবহারে চুলের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করা যায়।
লাল, সাদা, গোলাপি, যে কোনো রঙের জবাফুলই কার্যকর ভূমিকা নেয় চুলের পরিচর্যায়। চুলের অকাল পক্কতা, খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে জবাফুল। জবাফুলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এ ছাড়াও আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা চুলের গঠনের প্রধান প্রোটিন কেরাটিন তৈরি করে।
কীভাবে জবাফুল এবং পাতার প্যাক ব্যবহার করবেন
১) ৩টি জবাফুল এবং ৩টে পাতা আর আমলকী একসঙ্গে বেটে পেস্ট তৈরি করে সপ্তাহে ২ দিন চুলের গোড়ায় লাগান।
২) জবাফুলের পাতা আর আদা একসঙ্গে বেটে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগান।
৩) জবাফুল, পাতার পেস্টের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন।
৪) নিমপাতা বা কারিপাতা, জবাফুল এবং পাতার পেস্ট তৈরি করে নিন।
জবাফুলের পেস্ট মাথায় লাগানোর পর আধঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ঈষদুষ্ণ গরমজলে ধুয়ে নিন।
কী উপকার হবে
১) মাথার তালুতে খুশকির সমস্যা আর তৈলাক্ত ভাব কমাতে জবাফুল এবং পাতার পেস্ট মাথায় লাগান। স্মুদিং হবে। চুলের পিএইচ ভারসাম্য ফিরে আসবে।
২) রুক্ষ, শুষ্ক চুলের ডগা ফাটার সমস্যা আটকাতে নারকেলের দুধ, জবাফুল এবং পাতার পেস্ট, একচামচ মধু, একচামচ দই আর একচামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে লাগান মাথায়।
৩) চুলে জবাফুল এবং পাতার পেস্ট লেবুর রস ও মেহেন্দি মিশিয়ে লাগান। চুলের রঙও হবে আবার খুশকি থেকেও রেহাই মিলবে।
আরও পড়ুন