রুক্ষ শুষ্ক শীতের মরসুমে ঠান্ডার মধ্যে আবহাওয়ার কারণে ত্বকও হয়ে পড়ে শুষ্ক। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও জেল্লা কমে যায়। তাই ত্বকের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে শুধু ময়েশ্চারাইজার, সেরাম, ক্রিম লাগালেই হবে না, খেতে হবে সঠিক খাবার যা ত্বকের পুষ্টি জোগাবে। পালং শাক, বিট, গাজরের মতো মরসুমি শাকসবজি ভিটামিন, খনিজ পদার্থ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে যাতে ত্বক নরম, মসৃণ হয়। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা ও জেল্লা বজায় থাকে।
শীতে জেল্লাদার, মসৃণ নরম ত্বক পেতে অবশ্যই খাবেন –
(১) বিট: প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বিটে যা ফোলা ভাব কমায়। ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালস দূর করে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বিট কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ত্বকের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় রাখে।
(২) রাঙা আলু: রাঙা আলুতে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন নামে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে বলে ডার্মাটোলজিক্যাল সায়েন্সের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ রাঙা আলু ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।
(৩) পালং শাক: ভিটামিন এ ও সি সমৃদ্ধ পালং শাক খেলে ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া আটকানো যায়। লোহা আর ক্লোরোফিল থাকে বলে পালং শাক রক্ত শোধন করে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা ফিরিয়ে আনে। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ পালং শাক ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।
(৪) গাজর: সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ গাজর। ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখে।
(৫) কমলালেবু: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কমলালেবু কোলাজেন প্রোটিন তৈরি করতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় রাখে।