বাঙালি রসনার খ্যাতি বিশ্ব জুড়ে। সুস্বাদু মিষ্টি বা মাছের পদ ভালোবাসে না এমন বাঙালি সত্যি বিরল। অনলাইন ফুড প্লাটফর্ম ‘টেস্টঅ্যাটলাস’ (TasteAtlas) সম্প্রতি পূর্ব ভারতের সেরা খাবারের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সুস্বাদু মিষ্টি খাবার রসমালাই। দ্বিতীয় স্থানে আছে গোবি বা ফুলকপির ম্যাঞ্চুরিয়ান। ম্যাঞ্চুরিয়ান আদতে চিনা খাবার হলেও এটি ধীরে ধীরে ভারতীয় খাবারের তালিকাতেও জায়গা করে নিয়েছে। মুরগির মাংসের পাশাপাশি নিরামিষও হয় ম্যাঞ্চুরিয়ান।
সেরা খাবারের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছে চালের বা সিমুই বা সাবুর পায়েস বা ক্ষীর। এর পরই রয়েছে বাঙালির প্রিয় রসগোল্লা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে রসে টইটম্বুর সুস্বাদু ছানার তৈরি রসগোল্লা। ওড়িশার সঙ্গে লড়ে রসগোল্লার জিআই ট্যাগ অর্জন করেছে বাংলা। রসগোল্লার পরেই সেরা খাবারের তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছে ওড়িশা বা বলা ভালো পুরীর বিখ্যাত খাজা।
আড্ডাপ্রিয় বাঙালির মুড়ি-তেলেভাজা না হলে ঠিক চলে না। জিভে জল আনা তেলেভাজার অন্যতম আলুর চপও জায়গা করে নিয়েছে সেরা খাবারের তালিকায়। আলুর চপ ষষ্ঠ স্থানে আছে। গরমকালে ভেতো বাঙালির তৃষ্ণা নিবারণ হয় কাঁচা আম দিয়ে তৈরি সুস্বাদু টকমিষ্টি আম-ডালে। সেই আম-ডালও জায়গা করে নিয়েছে সেরা খাবারের তালিকায়। এটি সেরা খাবারের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে।
মাছেভাতে থাকা বাঙালির মাছ ছাড়া মুখে রোচে না। বাঙালি ঘরের ঘরোয়া মাছের ঝোলও জায়গা করে নিয়েছে সেরা খাবারের তালিকায়। সেটি রয়েছে অষ্টম স্থানে। বাঙালির আরেক প্রিয় খাবার মোগলাই পরোটা রয়েছে নবম স্থানে। মোগলসম্রাট জাহাঙ্গীরের খাস বাবুর্চি আদিল হাফিজ উসমানের হাত ধরেই মোগলাই পরোটার জন্ম। খাবার খেয়ে খুশি হয়ে মোগলসম্রাট জাহাঙ্গীর খাস বাবুর্চিকে এক হাজার একটি স্বর্ণ মুদ্রা উপহার দেন বলে জানা যায়।
সেরা খাবারের তালিকায় দশম স্থানে আছে ওড়িশার মিষ্টি ছানাপোড়া। একাদশতম স্থানে আছে বাঙালির প্রিয় চিংড়ি মাছের মালাইকারি। এর আগেও টেস্ট অ্যাটলাসের সেরা খাবারের তালিকায় নাম ছিল চিংড়ি মাছের মালাইকারির। চিংড়ি থাকলে আরেক প্রিয় মাছ ইলিশ তো বেশি পেছনে থাকতে পারে না। সর্ষেবাটা দিয়ে তৈরি ইলিশ মাছের পদ রয়েছে সেরা খাবারের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে। বিহারের ঠেকুয়া রয়েছে ১৩তম স্থানে। এর পরই রয়েছে ওড়িশার আরিশা পিঠে।
বাঙালির প্রিয় ঘি ভাত ১৫তম স্থানে আছে। বিহারের লিট্টি চোখা আর কলকাতার বিখ্যাত চিকেন কাঠি রোল রয়েছে যথাক্রমে ১৬তম ও ১৭তম স্থানে। কলকাতার সন্দেশও সেরা খাবারের তালিকায় আছে। ১৮তম স্থানে আছে সন্দেশ। এর পরই রয়েছে ওড়িশার পান্তাভাত বা পাখালা। ২০তম স্থানে আছে বিহারি কাবাব। ২১তম স্থানে আছে পান্তুয়া। ২২তম স্থানে আছে আলুপোস্ত। ২৩তম স্থানে আছে বিহারের আলুর চোখা। ২৪ ও ২৫তম স্থানে আছে বাঙালির প্রিয় মিষ্টি দই ও রাজভোগ।
টেস্ট অ্যাটলাসের বিশ্বের সেরা একশো খাবারের তালিকায় সপ্তম স্থানে আছে ভারতের বাটার গার্লিক নান। ৪৩তম স্থানে আছে মুর্গ মাখানি বা বাটার চিকেন আর টিক্কা রয়েছে ৪৭তম স্থানে। তন্দুরি রয়েছে ৪৮তম স্থানে।
আরও পড়ুন
দীর্ঘ সময় ধরে বসে বসে একটানা কাজ, পিঠের ব্যথায় কাতর? কী খাবেন, কী বলছে গবেষণা