আজ বাদে কাল জন্মাষ্টমী। পরের দিনই নন্দোৎসব। তালের নানা পদ খাওয়ার উৎসব – তালের বড়া, তালের ফুলুরি, তালের পাল্প তথা মাড় থেকে নানা মিষ্টি, পায়েস, আরও হরেক রকমের পদ। বাজারহাটে সকলের নজর এখন পাকা তালের দিকে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা মেলে তালগাছের। সব গাছকে ছাড়িয়ে কবির ভাষায়, ‘এক পায়ে দাঁড়িয়ে’ থাকে তালগাছ। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীরাও নির্ভয়ে অনায়াসে খেতে পারেন ফসফরাস, ক্যালসিয়ামে সমৃদ্ধ তাল। নানা রকম ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ তাল। ফ্যাট একেবারে নেই। প্রোটিনের মাত্রা কম। ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ও ভিটামিন সি, লোহা, পটাশিয়াম, দস্তা, থায়ামিন ও রাইবোফ্লেভিন আছে তালে।
তালের পাল্প ত্বকের লালচে হয়ে যাওয়ার জায়গায়, চুলকানির জায়গায় লাগালে উপশম মেলে। ত্বকের যাবতীয় সমস্যায় উপশম মেলে তালের পাল্প লাগালে। এ ছাড়াও গরমে তাল খেলে শরীর আর্দ্র ও ঠান্ডা থাকে। ডিহাইড্রেশন হলে খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তাল বা তালশাঁস খেলে উপকার হয়। এ ছাড়াও তাল খেলে হজমশক্তি বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়। অপুষ্টিতে ভুগলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি মেলে তাল খেলে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তালের পাল্প ও রসে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে বলে তা রক্তে মেশে ধীরে ধীরে। রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় না। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। রক্তে ফ্যাট ও ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন
দিনের কোন সময় ওটস খেলে মিলবে উপকার, কী বলছে গবেষণা