গরমের মরসুমি ফল তরমুজ খাওয়া হয় প্রায় সব বাড়িতেই। গরম বাড়লেই তরমুজের চাহিদা বেশি হয়। কারণ, জলীয় পদার্থ, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন সমৃদ্ধ তরমুজ খেলে শরীর ঠান্ডা ও আর্দ্র থাকে। রোজ বাজার থেকে দেখেশুনে রসে টইটম্বুর লাল টুকটুকে তরমুজ কিনে আনছেন। কিন্তু তরমুজে যে ভেজাল মেশানো হয়নি, টুকটুকে লাল রঙ যে প্রাকৃতিক ভাবে আসল, নকল নয় তা বুঝবেন কী ভাবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করে অনেক সময় তরমুজে লাল রঙ করা হয় যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তরমুজ কেনার সময়ই ক্রেতারা ঠকে যান। কারণ এ সব রাসায়নিক-ব্যবহৃত তরমুজ বাইরে থেকে দেখতে ভালো কোয়ালিটির মনে হলেও সে ভাবে মিষ্টি হয় না আর তরতাজা টাটকাও নয়। দ্য ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া মানুষকে এরকম রাসায়নিক মিশ্রিত তরমুজ কেনা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে।
মিষ্টি, ক্যান্ডি, সফট ড্রিংকসে ব্যবহৃত ক্ষতিকর এরিথ্রোসিন নামক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় এ সব তরমুজে লাল রঙের জন্য। তরমুজের লাল রঙ আসল না নকল তা চিহ্নিত করতে দ্য ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তরমুজ কেনার আগে তরমুজের ওপর তুলোর বল বুলিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। নকল লাল রঙ হলে তুলোর বল লাল রঙ হয়ে যাবে। রঙিন না হলে তরমুজের লাল রঙ প্রাকৃতিক।
দীর্ঘসময় ধরে ভেজাল তরমুজ খেলে কী হয়
ক্ষতিকর টক্সিন রাসায়নিক এরিথ্রোসিন পেটে গেলে বমি, তীব্র পেটের যন্ত্রণা, ডায়রিয়া, বমিবমি ভাব, থাইরয়েডের সমস্যা, খিদে ভাব হারানো। অত্যন্ত বিপজ্জনক এই রাসায়নিক শরীরে ঢুকলে মাথার যন্ত্রণা, ত্বকের র্যাশ, এমনকি ফুসফুস ও স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রোগী কোমাতেও চলে যেতে পারে। এরিথ্রোসিন ছাড়াও কার্বাইড দিয়ে অকালে পাকানো হয় তরমুজ। এরিথ্রোসিন হল গোলাপি রঙ যা ফুড কালার হিসাবে ব্যবহার করা হয়।