এমন চিংড়ি সচরাচর দেখাই যায় না। গায়ের রঙ টকটকে কমলা। অত্যন্ত বিরল প্রজাতির চিংড়ি মাছ। সেই চিংড়ি কোনোভাবে চলে এসেছিল আমেরিকার রেস্তোরাঁয়।
আমেরিকার কোলোরাডোর পুয়েবলোর রেড লবস্টার (Red Lobster) রেস্তোরাঁ চিংড়ি মাছের বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের জন্য বিখ্যাত। এই রেস্তোরাঁয় লাল চিংড়ির পদ বিক্রি হয়। প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করে এই সুস্বাদু খাবারের পদে রসনা তৃপ্তি করতে।
এই রেস্তোরাঁয় চিংড়ি মাছ পাঠানোর আগে ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। যদি সেই চিংড়ি মাছের মধ্যে কোনো বিরল প্রজাতির চিংড়ি পাওয়া যায় তা হলে তাকে উদ্ধার করে সরিয়ে রেখে রেস্তোরাঁয় বাকি চিংড়ি পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে সেখানে গাফিলতি থেকে গিয়েছিল। ফলে কোনো ভাবে কলোরাডোর রেস্তোরাঁয় বিরল কমলা রঙের চিংড়ি চলে আসে।
প্রথমে রেস্তোরাঁর দীর্ঘদিনের এক কর্মীর নজরে পড়ে সেটি। তিনিই উজ্জ্বল কমলা রঙের চিংড়ি মাছ দেখে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার কেন্দ্রা কাস্টেনডিয়েককে তা জানান। বিরল প্রজাতির চিংড়ির নাম দেওয়া হয় ‘ক্রাশ’ (Crush)। কলোরাডোর রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ফোন করেন ডেনভারের ডাউনটাউন অ্যাকুয়ারিয়াম (Downtown Aquarium) কর্তৃপক্ষকে। ম্যানেজার নিজেই খুব সাবধানে আইসপ্যাকের সাহায্যে প্লাস্টিকের ফোমের কন্টেনারে রাখেন চিংড়ি মাছটি। তার পর চিংড়ির কন্টেনার অ্যাকুয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চাইলে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ খাবারের টেবিলে চিংড়ি সাজিয়ে দিতে পারত কিন্তু তারা তা করেনি। বিরল প্রজাতির কমলা রঙের চিংড়ি বহাল তবিয়তে আছে অ্যাকুয়ারিয়ামে। পশু চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখছেন নিয়মিত। ৩০ দিন কোয়ারান্টাইনে রাখা হবে। তার পর সেটিকে বড়ো জায়গায় ছাড়া হবে।
ডেনভার ডাউনটাউন অ্যাকুয়ারিয়ামের জেনারেল কিউরেটর রায়ান হেরম্যান জানান, টেনেসির এক মাছের আড়তদারের কাছ থেকে বিরল প্রজাতির কমলা রঙের চিংড়ি কলোরাডোর রেস্তোরাঁয় এসে পোঁছোয়। কানাডা উপকূলে এটি মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে।
জিনগত মিউটেশনের জন্য গলদা চিংড়ির গায়ের রঙ কখনো কমলা, নীল বা হলুদ হয়। বিরল প্রজাতির চিংড়ি ৩ কোটিতে একটা হয়। ডাউনটাউন অ্যাকুয়ারিয়ামে এর আগে একটা কমলা রঙের চিংড়ি মাছ ছিল। এখানে ৩টি সুমাত্রান টাইগার ছাড়া ৭০০ প্রজাতির মাছ রয়েছে।
আরও পড়ুন
দীর্ঘ সময় ধরে বসে বসে একটানা কাজ, পিঠের ব্যথায় কাতর? কী খাবেন, কী বলছে গবেষণা