জীবন যেমন
মেকআপ করে কী ভাবে ঢাকবেন ডবল চিন?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ডবল চিনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তাঁদের এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস যেমন উপযুক্ত দিশা, তেমনই আরও একটি চটজলদি ও সাময়িক উপায় হল মেকআপ। ডবল চিনের সমস্যায় যে ব্যায়ামগুলি করলে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বেরোবে তেমন কয়েকটির কথা আগেই আলোচনা হয়েছে। এই পর্বে মেকআপ।
ব্যায়াম করে যত দিন সময় লাগবে ডবল চিন কমাতে তার মাঝেও তো সমস্যা হতে পারে। তাই এই মাঝের সময়টুকুর জন্য মেকআপের টিপগুলি কাজে লাগানো যেতে পারে।
মেকআপ পদ্ধতি
১। বেস
মুখটা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। তার পর বেস মেকআপ করুন। বেস মেকআপ নিখুঁত হলে গোটা মেকআপটাই খুব সুন্দর হবে।
২। ফাউন্ডেশন ও ব্রোঞ্জার
ফাউন্ডেশন এবং ব্রোঞ্জার বাছার ক্ষেত্রে ত্বকের স্বাভাবিক রঙের চেয়ে দু’ শেড গাঢ় নিতে হবে। ফর্সা হলে গোলাপি ঘেঁষা, মাঝারি বা চাপা গায়ের রং হলে একটু সোনালি ঘেঁষা ব্রোঞ্জার নিন।
৩। গাল ও চিবুক কাটা
চিবুকে ফাউন্ডেশন লাগানো হয়ে গেলে অল্প একটু ব্রোঞ্জার আঙুলে নিয়ে চোয়ালের হাড় বরাবর লাগান। এর পর হালকা হাতে ছোটো স্ট্রোকে তা গালের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।
৪। ব্লেন্ড
মেকআপ করলেই হল না। তা ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে। স্পঞ্জ দিয়ে ভালো ভাবে ব্লেন্ড করুন।

৫। গলায়
চোয়ালের হাড়ের নীচে চিবুকের নরম অংশেও ব্রোঞ্জার লাগান তাতে গলা ও চিবুক এক রকম লাগবে।
৬। পাউডার
ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিন।
৭। ঠোঁট
ঠোঁটের মেকআপও জরুরি। গাঢ় রঙের লিপস্টিকও চেহারা একদম বদলে দেয়। তাই লোকের নজর ঘোরাতে চকচকে লিপ গ্লস, গাঢ় লাল, গাঢ় খয়েরি শেডের লিপস্টিক লাগান। ঠোঁটের দিকে নজর গেলে চিবুকে আর নজর ঘুরবে না।
৮। গাল ও চোখ
গাল আর চোখের মেকআপও জরুরি। চোখে হালকা রঙের আইশ্যাডো ও আইলাইনার লাগান। গালের উপরের দিকে ছোটো ছোটো টানে ব্লাশার লাগান। চিবুকে নজর যাবে না।
৯। চুলের স্টাইল
হেয়ারস্টাইলের ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। চিবুকের ঠিক নীচে বা ঘাড় পর্যন্ত লম্বা চুলের কোনো রকম স্টাইল না করাই ভালো। বরং চিবুকের দিকটা বেশি নজরে পড়বে না এমন হেয়ারস্টাইল করুন। এ ক্ষেত্রে সাইডে কোনো হেয়ার স্টাইল করা যেতে পারে।
আরও – ডবল চিনের সমস্যা? ম্যাজিকের মতো কাজ করবে এই ৬টি ব্যায়াম
পড়ুন – ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ১০টি ঘরোয়া টোটকা
জীবন যেমন
কেমিক্যাল বা হেনা নয়, চুল কালো করার ২টি ঘরোয়া উপায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক : বয়স ছাড়াও বহু মানুষেরই ছোটোবেলাতেই চুল পেকে যায়। ফলে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়। জানেন কি ফলিকেলের মেলানিন তৈরির ক্ষমতার ওপর চুলের রং কালো হওয়া নির্ভর করে, বেশি বয়সে চুলের ফলিকেলে মেলানিন তৈরির ক্ষমতা কমে আসে, তাই চুল সাদা কিংবা ধূসর হয়।
কিন্তু কম বয়সে চুল পাকলে তার পেছনে আরও অনেক কারণ থাকে।
১। জিনগত বা বংশগতির প্রভাব
২। ভিটামিন বি ১২-র অভাব
৩। থাইরয়েডের সমস্যা
৪। স্ট্রেস
৫। অতিরিক্ত ধূমপান বা আরও অনেক কিছুই।
সে যা-ই হোক চুল পাকলে তো সমস্যায় পড়তে হবেই। তার জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করা মোটেই উচিত নয়। রইল ২টি ঘরোয়া উপায় –
১। আলুর খোসার প্যাক
আলুর খোসায় স্টার্চ থাকে, তা চুলে রঙিন রঞ্জক ধরে রাখে এবং চুলকে সাদা হওয়া থেকে বাঁচায়।
উপকরণ
৫-৬টা আলুর খোসা, দু’ কাপ জল।
পদ্ধতি
একটি পাত্রে দু’ কাপ জল নিয়ে আলুর খোসা দিন। জল ফুটে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফুটে গেলে নামিয়ে নিন।
চুল শ্যাম্পু করার পর এই খোসার জল মাথায় ঢালুন। এর পর আর ধোবেন না। এই ভাবে সপ্তাহে দু’ বার করুন।
২। আমলকী এবং মেথির প্যাক
আমলকীতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি। মেথিতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি। মেথিগুঁড়ো ও আমলকীর ভিটামিন-সি-র প্যাক চুল পাকা রোধ করে। চুলের গোড়াও মজবুত করে।
উপকরণ
৬-৭ টুকরো আমলকী, ১ টেবিল চামচ মেথি, ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল
পদ্ধতি
একটি পাত্রে তেল ভালো ভাবে গরম করে তাতে আমলকী দিয়ে নাড়ুন। কিছুক্ষণ পরে মেথি গুঁড়ো দিয়ে মিশিয়ে নামিয়ে নিন। তেলটি শিশিতে তুলে রাখুন। ঠান্ডা হলে রাতেরবেলায় চুলে লাগান। সারা রাত প্যাকটি লাগিয়ে রেখে সকালে শ্যাম্পু করুন।
পরের পর্বে আরও কয়েকটি উপায় নিয়ে আলোচনা করব।
আরও বাড়ির যত্নে মখমলি চুল পান এই পদ্ধতিতে
ঘরদোর
এই ৭টি মিথ্যে বাঁচিয়ে দিতে পারে আপনার সম্পর্কটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আমাদের চার পাশের প্রত্যেক মানুষই কোনো না কোনো সম্পর্কের ভিত্তিতেই আমাদের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটাই বড়ো কথা। তা যদি হয় স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিকপ্রেমিকার সম্পর্ক তা হলে তো আরও জটিল, আবার ভঙ্গুরও। তাই ভালোবাসার গভীরতা থাকা সত্ত্বেও সামান্য অভিমানের কারণে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
তাই সম্পর্ক মজবুত করতে অনেক কিছুই করতে হয়, তেমনই একটি উপায় হল এক আধটা মিষ্টি মিথ্যে বলা। বিশেষ করে দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কে এই মিথ্যে বেশ উপকারী। তবে মনে রাখবেন মিথ্যে বলাটাও কিন্তু একটি আর্ট। মিথ্যে বলুন সত্যির মতো করেই –
১। প্রশংসা শুনতে সকলেই ভালোবাসে। তাই সঙ্গী বা সঙ্গিনীর চেহারা বা সাজগোজ হাসি ইত্যাদি নিয়ে বেশি বেশি প্রশংসা করুন, দারুণ লাগছে বলুন।
২। রান্না খারাপ হলেও বলুন ভালো হয়েছে। সাধ করে রেঁধে খাওয়াচ্ছে যখন, মুখের ওপর খারাপ নাই বা বললেন। তাই প্রথম কয়েক বার মিথ্যে বলাই ভালো। তবে খারাপ রান্না সহ্যের বাইরে গেলে অন্য ভাবে বুঝিয়ে বলুন।
৩। অনেকেই উপহার দিতে এবং পেতে ভালোবাসেন। তেমন উপহার আপনি পেলে তা পছন্দ না হলেও বলুন সুন্দর হয়েছে, খুব পছন্দ হয়েছে। এতে তার মন খারাপ হবে না। ঝগড়াও এড়ানো যাবে। পারলে আপনিও মাঝে মধ্যে এক আধটা উপহার দিন।
৪। অনেকেই ঠিকমতো হাসাতে পারে না। আপনার সঙ্গের মানুষটি যদি রসিকতা করেন কিন্তু কারোর হাসি না পায় তা হলেও আপনি হাসুন। খুব মজা লেগেছে বলুন। তাতে তিনি খুশি হবেন। তাঁর বুদ্ধিমত্তাকেও আঘাত করা হবে না। তাই মিথ্যে মিথ্যে হলেও হাসুন।
৫। আপনার পছন্দের না হলেও সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনো ছবি এক সঙ্গে দেখার আবদার করলে দেখুন। বারণ করবেন না। বরং আগ্রহ দেখান।
৬। সকলের সব কথা সব সময় সঠিক হয় না। কিন্তু সেটি মুখের ওপর বলা সব সময় ঠিক হবে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিষয়টি এড়িয়ে যান। কিছু ক্ষেত্রে হালকা ভাবে বুঝিয়ে মত পরিবর্তন করান। অথবা কিছু ক্ষেত্রে মনমতো না হলেও বিষয়ের গুরুত্ব বুঝে হ্যাঁয়ে হ্যাঁ মেলানোই ঠিক হবে।
৭। পরিবারের কাউকে পছন্দ না হলেও তাকে নিয়ে নিন্দে না করাই ভালো।
আরও – সন্তানের সঙ্গে এই ৫টি ভুল কখনওই করবেন না

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে