জীবন যেমন
পা ফাটায় জেরবার? মুক্তি পেতে মেনে চলুন পরামর্শগুলি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতকাল মানেই মাথায় খুসকি, চুল পড়া, গোড়ালি ফাটা, ঠোঁট ফাটা নিয়ে সমস্যার অন্ত নেই। পা, গোড়ালি ফাটা তার মধ্যে একটি খুবই বিরক্তিকর ও লজ্জাজনক সমস্যা। সঙ্গে যন্ত্রণাও সহ্য করতে হয় অতিরিক্ত হলে। ঘরোয়া এই উপায় অবলম্বন করলে পা ফাটা থেকে মুক্তি মিলতে পারে সহজে।
১। পায়ের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সব সময় ক্রিম বা লোশন লাগান।
২। গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে পায়ের গোড়ালিতে লাগালে চামড়া নরম থাকবে। ফাটবে না।
৩। হালকা গরম জলে অল্প শ্যাম্পু দিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এর পর গোড়ালি ব্রাশ বা মিউনিস স্টোন দিয়ে ধীরে ধীরে ঘষুন। ফাটার ময়লা পরিষ্কার হয়ে গেলে জল দিয়ে পা ধুয়ে আলতো হাতে মুছে নিন। ফাটা অংশে বেশি করে ক্র্যাক ক্রিম বা ভেসলিন লাগিয়ে নিন।
৪। হালকা গরম জলে আধ চামচ নারকেল তেল ও সামান্য নুন দিয়ে ৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এর পর দুধের সর, আটা ও গ্লিসারিন মিশিয়ে পেস্ট বানান তা পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এর পর ক্রিম লাগিয়ে নিন।
৫। ফাটা জায়গায় ময়লা হলে নুন ও ঘিয়ের মিশ্রণ দিয়ে পরিষ্কার করুন। পায়ের ফাটায় পেঁয়াজের রস লাগিয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুড়ে রাখুন। মধুও দিতে পারেন ফাটা অংশে।
৬। বেশির ভাগ সময় বিশেষ করে পা পরিষ্কার করে ক্রিম লাগানোর পর চেষ্টা করুন মোজা পরে থাকতে। তা হলে সহজে পা ময়লা হবে না। নরমও থাকবে গোড়ালি।
৭। খালি পায়ে না থেকে চটি পায়ে থাকুন।
আরও – পা ফাটছে? কোমল গোড়ালি পেতে ট্রাই করতে পারেন সহজ এই ৫টি পদ্ধতি
ঘরদোর
বাড়িতে ধনেপাতার চাষ করতে চান? দেখে নিন পদ্ধতি পদ্ধতি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ধনেপাতার অনেক গুণ। খেতেও ভালো। তাই এর অনুরাগীর সংখ্যা অসংখ্য। কাঁচা, রান্না করা, বাটা – সব রকমেরই তুলনা নেই। কিন্তু মরশুম চলে গেলে দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। তখন এটি খাওয়া ও ব্যবহার কমাতে বাধ্য হতে হয়। তাই যদি নিজের ছাদ বা বারান্দার বাগানে এটি সারা বছর চাষ করা যায় সুবিধে অনেক হয়।
উপযুক্ত মরশুম – সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর। তবে সারা বছরই টবে চাষ করতে পারেন।
ধনেপাতা সব মাটিতেই হয়। তবে এঁটেল ও দো-আঁশ মাটি বেশি ভালো। মাটিতে গোবর সার, পাতা পচা সার, বা রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া সবজির খোসাও সার হিসেবে দিতে পারেন।

দোকান বা কোনো নার্সারি থেকে ধনের বীজ কিনে রাত্রিবেলা জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন বীজ মাটিতে ফেলুন। বলে রাখা ভালো, ট্রের মতো বা থালার মতো ছড়ানো টব হলে ভালো হয়।
বীজগুলি ছড়িয়ে হালকা মাটি চাপা দিয়ে দিন। জল ছিটিয়ে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন মাটিতে পিঁপড়ে না হয়। তার জন্য টবের চারপাশে পিঁপড়ের ওষুধ ছড়িয়ে দিন।
অল্প সময়ের মধ্যেই চারা জন্মাবে। একটি টবে অনেক গাছ হলে তা তুলে অন্য একটি টবে লাগান।
গাছের গোড়ায় আগাছা হলে পরিষ্কার করুন। বৃষ্টির দিনে বেশি জল না দেওয়াই ভালো। সব সময় খেয়াল রাখুন গোড়ায় যেন জল না দাঁড়ায়।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
জীবন যেমন
মোজা পরা পায়ের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে হলে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মোজার দুর্গন্ধে প্রায় বমি উঠে আসার অভিজ্ঞতা অনেকেরই আছে। কিন্তু এটা একটা বিড়ম্বনা বই আর কিছুই না। এ দিকে মোজা পরলে পায়ে গন্ধ হয় অন্য দিকে শীতকালে বা বিশেষ ক্ষেত্রে মোজা না পরলেই নয়।
তা হলে উপায়? যাদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাদের জন্য রইল কয়েকটি পরামর্শ।
১। বাড়ি ফেরার পর নিয়মিত গরম জলে শ্যাম্পু দিয়ে পা পরিষ্কার করুন।
২। গরম জলে নুন দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। ১৫ মিনিট পর ব্রাশ বা পিউমিস পাথর দিয়ে পা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
৩। নুনের পরিবর্তে গরম জলের খাবার সোডাও দিতে পারেন। কিছুক্ষণ পরে পা ঘষে ধুয়ে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন। তার পর ফুট ক্রিম ময়শ্চারাইজার লাগান।
৪। রাতে ঘুমোনোর আগে পা ভালো করে পরিষ্কার করে পাতিলেবু ও গ্লিসারিন অ্যালোভেরা জেল পায়ের তলায় ভালো করে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন। পা ফাটা যেমন কমবে, পায়ের দুর্গন্ধও আর হবে না।
৫। মোজা সব সময় কাচা পরুন। মোজা পরার আগে পায়ে ভালো করে পাউডার লাগিয়ে নিন। তা হলে আর পায়ে গন্ধ থাকবে না।
৬। এ বার যে পরামর্শটি দেওয়া হচ্ছে, তা অনেক সময়েই আমরা মানি না। কিন্তু এটিই সব থেকে জরুরি বিষয়। শরীরের যে কোনো অঙ্গে দুর্গন্ধ হওয়ার প্রাথমিক কারণ হল জল কম খাওয়া। তাই সব ঋতুতেই নিয়ম করে অন্তত ৩ লিটার জল খান।
৭। সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করতে হবে খাদ্যাভাসও। বাইরের খাবার, তেলমশলাদার খাবার, পেঁয়াজ, রসুন দেওয়া খাবার অতিরিক্ত খাবেন না। পেট ঠান্ডা রাখুন। টমেটো, পাতিলেবু, টক দই, ধনে পাতা, পুদিনা পাতা ইত্যাদি খান।
৮। পোশাক সম্পর্কে সচেতন হন। সুতির পোশাক, সুতির মোজা পরার চেষ্টা করুন। প্রতি দিন কাচা পোশাক ও মোজা পরুন। তা হলে আর দুর্গন্ধে চারিপাশ মেতে উঠবে না।
আরও পা ফাটায় জেরবার? মুক্তি পেতে মেনে চলুন পরামর্শগুলি
জীবন যেমন
চুল কালো করবেন? ব্যবহার করে দেখুন এর মধ্যে একটি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: চুল কালো করার অসাধারণ ৩টি উপায় এখানে রইল। প্রাকৃতিক ভাবে এবার বাড়িতে বসেই চুল কালো করুন অনায়াসে। উপকরণগুলিও খুবই পরিচিত ও ঘরোয়া।
১। কারিপাতার তেল
কারিপাতা কেবল রান্নায় নয়, ব্যবহার করা যায় চুলের যত্নেও। এতে আছে প্রোটিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, বিটা ক্যারোটিন-সহ অনেক রকমের ভিটামিন। এই উপাদানগুলি চুলকে সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করে পাশাপাশি চুল কালো করতে পারে। নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হয়।
উপকরণ
১ মুঠো পরিষ্কার কারিপাতা, ১ টেবিল চামচ নারকেল তেল।
পদ্ধতি
নারকেল তেলের মধ্যে কারিপাতা দিয়ে জ্বাল দিন। তেল নামিয়ে ঠান্ডা করে চুলে ও গোড়ায় মালিশ করুন। ৪৫ মিনিট রেখে তার পর শ্যাম্পু করুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত দু’ বার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
২। মেথির প্যাক
মেথিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি এবং স্যাপোনিনস আছে। এগুলি চুল পড়া রোধ করে, খুশকি দূর করে ও চুল পাকা রোধ করে।
উপকরণ
৪ টেবিল চামচ মেথি, ১/২ কাপ জল
পদ্ধতি
মেথিটা কাপের জল নিয়ে তাতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ভেজানো মেথি বেটে পেস্ট তৈরি করুন। পেস্টটি মাথার তালু থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ব্যবহার করুন। ৫০ মিনিট পেস্টটি রেখে তার পর শ্যাম্পু করে নিন। এই প্যাকটি সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্যবহার করুন।
৩। পাতিলেবুর তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেলের তুলনা হয় না। চুলে ময়েশ্চার ধরে রাখা থেকে চুলের বৃদ্ধি, এবং পুষ্টি সবই হয় এতে। পাতিলেবুতে ভিটামিন-সি। দু’য়ে মিলে চুল পাকা কম করে।
উপকরণ
৪ চা চামচ লেবুর রস, নারকেল তেল চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী
পদ্ধতি
নারকেল তেলের সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি মাথার তালু ও গোটা চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। এর পর দুই ঘণ্টা রাখুন। তার পর শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে এক বার এটি ব্যবহার করুন, ভালো ফল পাবেন।
আরও – দাঁত হলুদ হয়ে যাচ্ছে? ঝকঝকে করতে লেবু
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
কলকাতা3 days ago
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
-
রাজ্য3 days ago
মাস্টারস্ট্রোক! নন্দীগ্রামে তিনি নিজেই প্রার্থী, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
-
দেশ3 days ago
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট