অনেকেই হোম ডেকর বা ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে অ্যাকায়ারিয়ামে নানারকম রঙিন মাছ রাখেন। কিন্তু মাছ রাখলেই তো হল না। সেইসব মাছের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। চর্মরোগ, সংক্রমণের কারণে মাছ মরে যায়। তাই এই যত্নের প্রয়োজন।
প্রতিদিন অ্যাকোয়ারিয়ামের জলের তাপমাত্রা দেখুন। প্রতি সপ্তাহে অ্যাকোয়ারিয়ামের ট্যাঙ্কের আগেকার জলের অন্তত ২৫-৩০% ফেলে পরিষ্কার জল ভরুন। জলের পিএইচ, নাইট্রেট, নাইট্রাইট, কার্বোনেট হার্ডনেসের মাত্রার দিকে নজর দিন।
ফ্রেশওয়াটারে ১০পিপিএমের নীচে থাকতে হবে নাইট্রেট। নাইট্রাইটকে যেন কখনো দেখা না যায়। নাইট্রাইট দেখতে পেলেই অ্যামোনিয়া টেস্ট করুন। ৬.৫ থেকে ৭.৫ হল আদর্শ পিএইচ মাত্রা। সবসময় জলের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। পিএইচ ভারসাম্যর জন্য কার্বোনেড হার্ডনেস (কেএইচ) দেখা হয়। কেএইচ ৮০ পিপিএমের নীচে যেন না নামে।
কীভাবে মাছের যত্ন নেবেন
গোল্ড ফিশ থাকলে নিয়মিত জল পালটান। কেননা এই মাছ জল অপরিষ্কার করে ফেলে খুব।
মাছের যতটা প্রয়োজন ততটাই খাবার দেবেন। বাড়তি খাবার জল দূষিত করে।
প্রচুর মাছ ছাড়বেন না একসঙ্গে। মাছ মলত্যাগ করে, বেশি মাছ একসঙ্গে থাকলে বদ্ধ জলের পরিবেশ দূষিত হয়ে যায়।
সবসময় ট্যাঙ্কের পাম্প চালু রাখবেন।
ফিল্টার নিয়মিত সার্ভিসিং করান। ফিল্টারের ভেতরে ঘষবেন না, সাবান, ব্লিচ, রাসায়নিক ক্লিনার ব্যবহার করবেন না।
আরও পড়ুন
বাড়ির কোনদিকের দেওয়ালে পারিবারিক ছবি রাখবেন, কী বলছে বাস্তুশাস্ত্র