কলকাতা: সম্প্রতি কলকাতায় একাধিক হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়ি নজরে এসেছে। দক্ষিণ কলকাতার বাঘাযতীনে একটি চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা দিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। সৌভাগ্যবশত, ওই সময়ে ভবনটিতে কোনও বাসিন্দা না থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
তবে এই ঘটনা শহরের ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। ফ্ল্যাট কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখলে এ ধরনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।
১. জমির মালিকানা ও বৈধতা যাচাই: ফ্ল্যাটটি যে জমিতে নির্মিত, তার মালিকানা ও বৈধতা নিশ্চিত করা জরুরি। জমির সর্বশেষ রেকর্ডে বিক্রেতার নাম রয়েছে কিনা এবং প্রয়োজনীয় খতিয়ান (যেমন সিএস, আরএস) সঠিক আছে কিনা তা যাচাই করুন। এছাড়া, ডেভেলপার কোম্পানির নিবন্ধন ও রিহ্যাব সদস্যপদ রয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন।
২. নির্মাণের গুণমান ও স্থায়িত্ব: ভবনের নির্মাণ মান, ব্যবহৃত সামগ্রীর গুণমান এবং স্থাপত্য নকশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে ভবনের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া ভালো।
৩. ভূমির প্রকার ও ভৌগোলিক অবস্থা: ভবনটি যে জমিতে নির্মিত, সেটি পূর্বে জলাভূমি ছিল কিনা বা মাটি কতটা শক্ত, তা জানা জরুরি। কারণ, দুর্বল মাটিতে নির্মিত ভবন ভবিষ্যতে হেলে পড়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
৪. নির্মাণের অনুমোদন ও নকশা: পুর বা নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত নির্মাণের অনুমোদনপত্র এবং নকশা যাচাই করুন। অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মিত হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করুন।
৫. প্রতিবেশী ভবন ও অবকাঠামো: প্রতিবেশী ভবনগুলোর অবস্থা এবং এলাকার সামগ্রিক অবকাঠামো সম্পর্কে ধারণা নিন। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
৬. আইনি পরামর্শ: ফ্ল্যাট কেনার আগে অভিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন। তিনি জমি ও ফ্ল্যাটের সকল আইনি দিক যাচাই করে আপনাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারবেন।
ফ্ল্যাট কেনা একটি বড় বিনিয়োগ। তাই, উপরের বিষয়গুলো খেয়াল রেখে সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।