নার্সিসিস্টিক পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার হল এমন এক মানসিক রোগ যেখানে আক্রান্ত ব্যক্তি সারাক্ষণ নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। সারাক্ষণ আত্মপ্রচারে মগ্ন থাকেন এমন ব্যক্তি। এমন ব্যক্তিদের অন্যদের প্রতি নেই কোনো সহমর্মিতাবোধ। সারাক্ষণ নিজের সম্পর্কে প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। অফিসের বস সারাক্ষণ আত্মপ্রচারে মগ্ন থাকলে তিনি হয়ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তুষ্ট করে নিজের প্রোমোশন বাগিয়ে নেন। কিন্তু অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
কীভাবে বুঝবেন আপনার বস আত্মপ্রচারে মগ্ন নার্সিসিস্ট কি না
১) বেশিরভাগ সময় নিজের কৃতিত্ব জাহির করতে ব্যস্ত। সারাক্ষণ নিজের কথা বলতে ভালোবাসেন। নিজেকে কেমন দেখতে লাগছে, নিজের সম্পত্তি, দক্ষতা ও কৃতিত্বকে বহু গুণে বাড়িয়ে জাহির করতে ভালোবাসেন।
২) নিজের ক্ষমতা, সাফল্য, সৌন্দর্য, সঙ্গী বা সঙ্গিনী সম্পর্কে ফ্যান্টাসি থাকে মনে। স্ট্যাটাসের ওপর গুরুত্ব দেন। মনে করেন সব কিছু সেরা চাই। নিজের মনের খালিভাব ভরাতে এসবের ওপর গুরুত্ব দেন। এসব পেলে নিজেকে বিশেষ মনে করেন। মনের মতো নিজের পছন্দসই জিনিস না পেলে রাগ হয়।
৩) সারাক্ষণ অন্যদের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন। প্রচণ্ড ইগো। আতম্ভরিতা বেশি থাকে।
৪) বিশেষ সুবিধা পেতে ভালোবাসেন। না পেলেই ক্রোধে ফেটে পড়ে।
৫) অন্যদের পাশে না দাঁড়ালেও অন্যদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা পেতে ভালোবাসেন।
৬) অন্যদের সাফল্যে, সুসংবাদ শুনে হিংসা করেন। মনে ঈর্ষা প্রচুর।
৭) কারও প্রতি মনে কোনো সহমর্মিতাবোধ নেই। অন্যদের কষ্ট, দুঃখ, লড়াই বুঝতে পারেন না।
৮) মনে প্রচণ্ড অ্যাম্বিশন। অন্যদের ওপর খবরদারি চালাতে ভালোবাসেন।
৯) আত্মবিশ্বাস প্রচুর। চার্মিং ব্যক্তিত্ব হয়। প্রচণ্ড রকম প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী। সারাক্ষণ তাড়ায় থাকেন। ধৈর্য কম।
১০) মনে দীর্ঘ সময় ধরে রাগ পুষে রাখেন। পছন্দসই কোনো কিছু না হলেই সেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসাবে নেন।
আরও পড়ুন
মনের জোর পাচ্ছেন না? আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর চাবিকাঠি আপনারই হাতে