সামনেই বিয়ে? প্রত্যেকের জীবনের বিশেষ একটা দিন। এই বিশেষ দিনটাতে প্রত্যেকেই চায় নিজেকে একটু সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে।
তবে সবচেয়ে বেশী চিন্তিত দেখায় কনেকে। নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষ সবকিছুর মাঝে নিজেকে হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণবন্ত রাখা খুব বেশী সহজ নয়।
কিন্তু বিয়ের আগে নিজের ত্বক থেকে চুলের জেল্লা বাড়াতে কয়েকটা দিন নিজের পরিচর্যা করতে হবে রুটিনমাফিক। ত্বক ও চুলের যত্ন কীভাবে করবেন বরং জেনে নিন।
প্রি-ব্রাইডাল রুটিন-
সবসময় ত্বক পরিচর্যা করার সময়ে তিনটি পদ্ধতি অবশ্যই মনে রাখতে হবে। ক্লিন্সিং, টোনিং ও মশ্চারাইজিং। তবে এইগুলি যদি ঘরোয়া উপায়ে করা যায় তাহলে মন্দ হয় না।
১। ওটসের ক্লিনজার-
২ চামচ ওটস কিংবা যবের গুড়োর সাথে ১ চামচ জল মিশিয়ে একটা নরম পেস্ট বানিয়ে নিন। পুরো মুখে ২-৩ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
২। বেসন-
২ চামচ বেসন এর সাথে পরিমাণ মতো জল মিশিয়ে ক্লিনজারটি বানিয়ে নিন। বিশেষ করে টি জোন এরিয়াতে ম্যাসাজ করুন। ত্বক হবে ঝকঝকে পরিষ্কার এবং উজ্জ্বল। যাদের শুষ্ক ত্বক তারা জলের বদলে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
স্কিন টোনিং হিসেবে কী কী টোনার ব্যবহার করবেন রূপচর্চার জন্য।
১। গোলাপ জল-
গোলাপজল ব্যবহার করুন। ত্বকের ধরন যেমনই হোক না কেন চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে পারেন অসাধারণ এই টোনার।
২। পুদিনা-
এক কাপ গরম জলে আধ কাপ পুদিনা পাতা চুবিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। ঠান্ডা হলে মিশ্রণটিকে ছেকে নিন। এরপরে তুলো দিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন।
সর্বশেষ ধাপ হল ময়েশ্চারাইজিং করা। বিয়ের আগে ত্ব্কের নরম ও কোমলতা বজায় রাখতে ঘরোয়া কী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
১। গ্লিসারিন, মধু-
রাতে ঘুমানোর আগে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে নিন। এরপরে ২ ফোঁটা গ্লিসারিন এবং ২ ফোঁটা মধুর সাথে ১ চামচ জল মিশিয়ে আলতো করে মুখে ম্যাসাজ করুন, সকালে জল দিয়ে মুখে ধুয়ে নিন।
২। অলিভ অয়েল-
১ চামচ কিংবা আধ চামচ অলিভ অয়েল নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে মুখে ম্যাসাজ করুন। এতে দারুণ কাজ দেবে।
৩। অ্যালোভেরা ও গোলাপজল-
অ্যালোভেরা কেটে এর ভেতরের জেলি বের করে নিয়ে ২ চামচ গোলাপজল মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে রাতে শুয়ে পড়ুন। সকালে হালকা ঈষদউষ্ণ জলে মুখ ধুয়ে নিন।
শুধু তো ত্বকের পরিচর্যা করলে হবে না। সঙ্গে করতে হবে চুলের যত্ন।
১। নিয়মিত চুলে তেল মাখুন-
চুল বা স্ক্যাল্পের জন্য তেল খুব উপকারী। নিয়মিত ম্যাসাজে চুল খুব ভালো থাকে। তেলে কিছু বাড়তি প্রাকৃতিক উপাদান মেশালে চুল ঘন আর ঝলমলে হবে। এসেনশিয়াল অয়েল, নিম, মেথি, মধু মিশিয়ে চুলে অয়েল ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। আমলকী, ভৃঙ্গরাজ ও তিসির তেলে চুলের গোড়া মজবুত করে। চুলে পুষ্টি জোগায় ও চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
২। বেশি শ্যাম্পু করবেন না-
স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য বজায় রাখা জরুরি, তবে তার জন্য চুলে ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। সপ্তাহে ২ বার শ্যাম্পু করলেই যথেষ্ট।
৩। ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট-
রান্নাঘরের কিছু সাধারণ উপকরণ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট। বাড়িতে কলা, অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েলের মতো কিছু সামগ্রী থাকলেই যথেষ্ট। ১ টি পাকা কলা, অ্যাভোকাডো, ১ চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে হেয়ার মাস্কটি বানিয়ে ফেলুন।
১০-১৫ মিনিট এই হেয়ার মাস্কটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। সময় হয়ে গেলে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
৪। এমন খাবার খান যা চুল ঝলমলে রাখে-
বাইরে থেকে চুলের যত্ন করার পাশাপাশি ভেতর থেকে পরিচর্যারও প্রয়োজন আছে। এমন খাবার খেতে হবে যা চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করবে। প্রোটিন, বায়োটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড এই সবই চুলের বৃদ্ধি আর চকচকেভাব ধরে রাখার জন্য দরকার। ডিম, মাছ, বাদাম, সবুজ শাকসবজি চুলের বিবর্ণভাব কমিয়ে বাড়তি চমক এনে দেবে।
রূপচর্চা সংক্রান্ত খবর পড়তে নজর রাখুন খবর অনলাইনে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।