জীবন যেমন
প্রেমকে রিচার্জ করতে আপনি কি এগুলো কখনও করেছেন? নতুন বছরে করে দেখুন
প্রথমেই ফোন ফোন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। যে টুকু সময় নিজের ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে কাটাবেন চেষ্টা করুন সেই সময়টা শুধু তার হয়েই থাকতে। তাকেই পুরো সময়টা দিন। তিনি এটাই আশা করেন। এতে দেখবেন অনেকটা কাছে আসা যায়। সপ্তাহান্ত সপ্তাহের শেষে কোথাও ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিনের কাজের চাপ, দুঃশ্চিন্তা আর সমস্যা থেকে একটু দূরে কোথাও। দু’ জনে একাকি, নিরিবিলিতে সময় কাটান। একে অপরের সঙ্গে নিজেদের ভালোলাগার কথাগুলি ভাগ করে নিন। ডেটিং ঠিক আগে যে ভাবে ডেটিং করতেন সেই ভাবেই আবার শুরু করুন। মাঝেমধ্যেই সময় বার করে সন্ধ্যে বেলাটা একটু অন্য রকম করে কাটান। বাড়ির বাইরে কোথাও, সেই আগের মতোই ফিটফাট হয়ে সেজেগুজে, ভালোমন্দ খেয়ে, পারলে রাতের খাবারটা খেয়ে ফিরলেন, এমন কিছু করুন। দেখবেন আগের সেই আমেজটা আবার ফিরে আসছে। চিঠি এখন যদিও চিঠির দিন গিয়েছে। দরকার পড়লেই ফোন অথবা টেক্সট ম্যাসেজ। আলাদা করে করে কাগজ কলম নিয়ে বসার আর সময়ই হয় না। তবুও ভালোবাসার মানুষটির জন্য দু’ কলম তো লেখাই যায়। বা আনমনের আঁকিবুকি। সেটাই দিন তাঁকে। দেখবেন তিনি খুশি হবেন। এতে পারলে মনের কথাও দু’ কলম ভরিয়ে দেবেন। ব্যাপারটা মন্দ হবে না। দু’ জনেই করুন এটা। একদম নস্ট্যালজিক। কাছাকাছি সময়ের খুব অভাব। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুলবেন না। সুযোগ পেলেই চেষ্ট করুন একে অপরের কাছাকাছি থাকতে। ধরুন গাড়ি করে পাশাপাশি বসে কোথাও যাচ্ছেন। দু’ জনে হাতটা ধরে বসতেই পারেন। এটা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু এতে ভালোবাসার অনুভূতি জাগায়। সময় পেলে বাড়িতে একে অপরের ‘হেড মাসাজ’ করে দেওয়া যেতে পারে। বা ধরুন অন্তত ৫ সেকেন্ডের জন্য একে অপরকে জড়িয়ে ধরা। এমনটা তো নিয়ম করে চলতেই পারে। শখ যদি দু’ জনেরই শখ এক হয় তা হলে ব্যাপারটা জমে যাবে। এই যেমন – এক সঙ্গে জিমে যাওয়া, ব্যায়াম করা, সকাল বা সন্ধ্যেতে এক সঙ্গে হাঁটতে যাওয়া, টেনিস খেলা, বা কোনো কাজ এক সঙ্গে করা, গাছের পরিচর্যা করা, ঘরগোছানো যে কোনো কিছুই হতে পারে। এক সঙ্গে করুন। তাতে দূরত্ব অনেক কমবে। চমক একে অপরকে চমকে দেওয়াটাও মনকে আনন্দ দেয়। অপরের বিষয়ে ভালো লাগা তৈরি করে। মাঝেমধ্যেই উলটো দিকের মানুষটার জন্য নতুন কোনো কিছু বানিয়ে চমক দেওয়া যেতেই পারে। তা খাবার হতে পারে। হাতে তৈরি অন্য যা কিছুও হতে পারে। বা সাধ্যের মধ্যে কোনো উপহার অথবা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানও হতে পারে। তবে তা সে যাই হোক সবটাই রাখতে হবে টপ সিক্রেট। পুরনো স্মৃতি রোমন্থন সময় পেলেই প্রথম দেখা হওয়ার জায়গাটায় ফিরে যান। সেখানে খানিকটা নাটুকে আমেজ তৈরি করুন। যেন এটাই প্রথম দিন। সেই প্রথম দেখা। ‘এক বৈশাখে দেখা হল দু’ জনায়’। সে দিনের মতো অভিনয় করে, একে অপরকে অচেনা একটা ভাব করে পরিচয় পর্বে আসুন দেখবেন বেশ মজায় কাটবে সময়টা। অভিনয়টা করতে গিয়ে দেখবেন অনেক স্মৃতি হারিয়ে গেছে। কিন্তু তা-ও বেশ ভালো লাগবে। দেখবেন নতুন প্রেমের সেই ভাবটা কেমন ঘিরে ফেলে আপনাদের। নিজেকে সময় দেওয়া সবার শেষে বলি যে কোনো সম্পর্ককে ভালো রাখতে গেলেই অন্যতম একটা শর্ত হল নিজেকে ভালো রাখা। খুশি করা। তাই নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করুন। একা একা সময় কাটান। এতে মানসিক শান্তি বাড়ে। আর ফেরার পর ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে একটা মধুর ভাব তৈরি হয়। এ ছাড়াও ধরাবাঁধা জীবনের বাইরে বেরিয়ে নিজেদের ভালো রাখার জন্য অনেক কিছুই মাথায় আসতে পারে আপনার। সেগুলোও চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। মনের ইচ্ছা আর বল থাকলে সবটাই হয়। তাই নতুন বছরে পুরনো প্রেম রি-চার্জ করুন। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।]]>
জীবন যেমন
সরস্বতী পুজোয় নিজেকে চকচকে বানাতে রইল ঘরোয়া পরামর্শ

খবর অনলাইন ডেস্ক : বিভিন্ন ঋতুতে চুল, ত্বকের যত্ন আলাদা হয়। গ্রীষ্মে যে সমস্যা ও যত্ন, শীতে তা নয়। আবার বর্ষা অন্য আবহাওয়ায় ত্বক চুলের সমস্যা ও যত্ন আলাদা হয়। এই কথা মোটামুটি অনেকেই জানেন। তাই শীতকাল ভর রূপটানে যে টোটকা ছিল তা আসন্ন ঋতুতে বদলাবেই।
যদিও হাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী শীতের ব্যাটিং আরও কিছুদিন কম বেশি চলবে। তবে, ঋতুরাজের আগমনের বার্তাও মাঝে মাঝে গায়ে লাগছে। তাই এবার সরস্বতী পুজোর প্রাক্কালে শুরু করতে হবে বসন্তের রূপচর্চা। বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোয় ত্বকের জেল্লায় তাক লাগিয়ে দিন সকলকে।
তেমনই কয়েকটি ঘরোয়া পরামর্শ রইল আজ।
ঠোঁটের যত্ন
ঠোঁট ফাটা সকল আবহাওয়াতেই কমবেশি হয়েই থাকে। ফলে সুন্দর দেখানোর পথে প্রথম বাধাই এটি। খুব দ্রুত ঠোঁট ফাটে। এটি মনের মধ্যে একটি আলাদা অস্থিরতা তৈরি করে। তাই ঠোঁটকে সুস্থ সতেজ রাখতে, রইল একটি স্ক্রাবারের টোটকা।
আধ চামচ মধু, আধ চামচ নারকেল তেল ও আধ চামচ ব্রাউন সুগার ( বা সাধারণ চিনি) এক টেবিল চামচের চার ভাগের এক ভাগ ঈষদুষ্ণ গরম জল এক সঙ্গে মিশিয়ে হালকা হাতে ঠোঁটে চক্রাকারে মালিশ করুন। চার পাঁচবার করার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর ঠোঁটে লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন।
ঘরোয়া ফেশিয়াল
ত্বকের জন্য খুবই উপকারী কমলালেবু, শশা, মধু, গোলাপজল, টক দই। এগুলি দিয়ে চটজলদি ঘরোয়া ফেস মাস্ক বানান।
একটা কমলালেবুর খোসা বাটা, চার ভাগের এক ভাগ শশা থেঁতো করা, এক চা চামচ মধু, আধ টেবিল চামচ গোলাপ জল, এক টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করে মুখে লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। পছন্দের ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
চুলের দীপ্তি
রুক্ষ ও বিবর্ণ চুলে ব্যবহার করুন নারকেল ও আমন্ড তেল। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন যে কোনো একটি তেল ব্যবহার করলেও হবে।
পাশাপশি একটি প্যাক বানান – ডিম, মধু, টকদই, পাকাকলা দিয়ে। এটি শ্যাম্পু করা মাথায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে হালকা ধরনের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
খাওয়া ঘুম
এই সব কিছু বাইরের ব্যবস্থার সঙ্গে দরকার ভেতরের পরিচর্যাও। তা সম্ভব সঠিক খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমে। টাটকা সবুজ শাকসবজি ফল খাওয়ার সঙ্গে খেতে হবে পর্যাপ্ত জল। ঘুমোতে হবে কম করে সাত থেকে আট ঘণ্টা। ঘুমের অভাব ঘটলে তার প্রভাব ত্বকের ওপরেও পড়বেই।
ঘুম ভালো হওয়ার জন্য ব্যবহার করা যায় সুবাস। তার জন্য বালিশে চন্দন তেল বা ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যদি এসবে কোনো রকম অ্যালার্জির সমস্যা না থাকে।
এই পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করে দেখুন, সরস্বতী পুজোর আগে চেহারার হারানো জেল্লা ফিরে আসবেই।
জীবন যেমন
বলিরেখার সমস্যা লজ্জায় ফেলছে? প্রয়োগ করুন এই টোটকা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শীতকালে বলিরেখার সমস্যা বেশি করে লজ্জায় ফেলছে? সহজ সমাধান রয়েছে আজকের টোটোকায়। সময় ও উপকরণ দু’টোই সাধ্যের মধ্যে।
১। কলা-মধু
তাড়াতাড়ি বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন কলা-মধু। এতে আছে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফাইন লাইনস সহজেই দূর করে।
১টি কলা, ২ চামচ মধু ভালো করে মাখুন। মুখ পরিষ্কার করে মিশ্রণটি ভালো করে মালিশ করে মাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে কম করে ২ দিন করুন। এক মাসে মুখের ত্বক টানটান হয়ে উঠবে।
২। অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও ম্যালিক অ্যাসিড থাকে। ত্বকের বলিরেখা কমাতে ও টানটান রাখতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরার পাতা থেকে টাটকা রস বের করে গোটা মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। প্রতি দিন করতে পারলে উপকার তাড়াতাড়ি হবে।
আরও – কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে
জীবন যেমন
কম বয়সে মুখে বলিরেখা? রান্না ঘরেই আছে এর সমাধান, একমাসে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মাত্র এক মাস নিয়ম করে ব্যবহার করলে অবাঞ্ছিত বলিরেখা থেকে মুক্তি দেবে এমনই প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে আজকের ঘরোয়া পরামর্শে।
উপকরণ রান্না ঘরেই আছে।
১। মেথির জল

মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ, ত্বকের মধ্যে সহজে ঢুকে পড়ে। বলিরেখা, ফাইন লাইনসকে দূর করে।
২ চামচ মেথি, ১ কাপ জল নিন। মেথি জলে ফুটিয়ে নিন। এ বার জল ছেঁকে তা ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করুন। দিনে দু’ বার এই জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তা ছাড়া মেথির তেলও মুখে লাগাতে পারেন।
২। কাঠবাদাম

মুখের কুঁচকানো ভাব দূর করতে কাঠবাদাম।
৫-৬টা কাঠবাদাম, ৪ চামচ কাঁচা দুধে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে তা বেঁটে পেস্ট করে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। কালো দাগ বলিরেখা সবই চলে যাবে। রোজ নিয়ম মেনে এটি করুন। বাদামতেলও মুখে মাখতে পারেন। নিয়মিত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে মুখের যত্ন নিয়ে দেখুন এক মাসে ত্বক টানটান ও উজ্জ্বল হবে। কালো দাগও চলে যাবে।
আরও মুহূর্তে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফেরানোর ৬ উপায়
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা3 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ2 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন