ঘরদোর
অন্দরসজ্জা: বাচ্চাদের ঘর
মৈত্রী মজুমদার সে একদিন ছিল যখন পাঠশালা ফাঁকি দিয়ে অপুরা একছুটে চলে যেতে পারত মাঠে বা আমবাগানে আবার সেখান থেকে দুর্গাদিদির হাত ধরে দৌড়তে দৌড়তে মাঠঘাট, বনবাদাড়, কাশফুলের জঙ্গল পার হয়ে যেত রেলগাড়ি দেখার আশায়। আজ আর সেদিন নেই। পাঠশালা পলায়ন তো দূরস্থান, পৃথিবীর আলো দেখার পর আঠারো মাস কাটতে না কাটতেই পিঠে ব্যাগ আর […]
মৈত্রী মজুমদার
সে একদিন ছিল যখন পাঠশালা ফাঁকি দিয়ে অপুরা একছুটে চলে যেতে পারত মাঠে বা আমবাগানে আবার সেখান থেকে দুর্গাদিদির হাত ধরে দৌড়তে দৌড়তে মাঠঘাট, বনবাদাড়, কাশফুলের জঙ্গল পার হয়ে যেত রেলগাড়ি দেখার আশায়।
আজ আর সেদিন নেই। পাঠশালা পলায়ন তো দূরস্থান, পৃথিবীর আলো দেখার পর আঠারো মাস কাটতে না কাটতেই পিঠে ব্যাগ আর জলের বোতল নিয়ে আজকের অপু-দুর্গা দের যেতে হয় প্লে স্কুলে। আর প্রকৃতির অপার রহস্যের সন্ধান এবং সমাধান দুটোই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে বই আর ইন্টারনেট-এর ওপর। সে যাই হোক, ‘যস্মিন কালে যদাচার…’ । এসব কথা বলার আসল কারণ হল, এমতাবস্থায় বাচ্চা মানুষ করার ক্ষেত্রে বাড়িতে বাচ্চাদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা অভিভাবকদের জন্যে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সব চ্যালেঞ্জে পাশে থাকতে না পারলেও, আপনার বাচ্চাদের ঘরদোর সময়োপযোগী করে সাজিয়ে তোলার ক্ষেত্রে খবর অনলাইনের ঘরদোর বিভাগ আপনার পাশে অবশ্যই থাকবে।
বাচ্চাদের জন্য ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে কয়েকটা কথা মনে রাখা জরুরি।
প্রথমত বাচ্চাদের স্বনির্ভর হিসেবে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে তাদের নিজস্ব ঘর থাকা খুবই জরুরি। তাইযত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ঘর আলাদা করে দিন।
খুব ছোটো বাচ্চা হলেও সেই ঘরে তাদের খেলার বা পড়ার ব্যবস্থা রাখুন যাতে সেই ঘরের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বাচ্চাদের প্রয়োজনীয় সব জিনিস যাতে তাদের নিজেদের ঘরেই রাখা যায়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া জরুরি। তাহলেই নিজের জিনিসের দায়িত্ব নিতে নিতে তারা একদিন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে উঠবে।
এবারে আসি বাকি কথায়।
বাচ্চাদের ঘরে প্রাথমিক জরুরি সরঞ্জাম হল, বিছানা, পড়ার টেবিল চেয়ার, আর বইখাতা, জামাকাপড়, খেলাধুলোর সরঞ্জাম রাখার জন্য স্টোরেজ। এগুলো ঠিক থাকলেই বাকি সাজানোর ব্যাপারটা আপনাআপনি হয়ে যাবে।
এবার বাচ্চাদের ঘরের ক্ষেত্রে যে জিনিসটা মনে রাখা দরকার তা হল বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এদের চাহিদা আর পছন্দ কিন্তু বদলাতে থাকে, আর সেই বদল বেশ তাড়াতাড়ি হয়। বাচ্চা বলে হয়তো আপনি খুব রঙচঙে সুন্দর একটি ঘর বানালেন।
কিন্তু অল্প বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার আর এইসব রঙ ভাল লাগলো না, বা তার শারীরিক বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে আসবাবের মাপ দ্রুত ছোটো হয়ে পড়ল। একটি বাচ্চার জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়স হওয়ার মধ্যে হয়তো আপনাকে তিন থেকে চারবার ঘরের সজ্জা বদলাতে হতে পারে। তাই একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করতে হবে।
সব থেকে উপযুক্ত কাজ হল এক্ষেত্রে একটি বেসিক রঙের আসবাবপত্র তৈরি করে বাকি দেওয়ালের রঙ, পর্দার, কুশনের, কার্পেটের রঙ ইত্যাদি বদলে বদলে ঘরের সজ্জা বদল করুন।
ঘরের সমস্ত কিছু নিউট্রাল রঙের মানে সাদা বা বেজ বা ব্রাউন রেখেও শুধুমাত্র ফারনিশিং বদলে আপনি ঘরে বদল আনতে পারেন।
বাচ্চাদের ঘরের ক্ষেত্রে যত বেশি মেঝে খালি রাখা যায় ততই ভাল। তাই বাড়িতে একাধিক বাচ্চা থাকলে তাদের ঘরের জন্য বাঙ্ক বেড একটি যুগোপযোগী ব্যবস্থা। একাধিক বাচ্চা না থাকলেও এ ব্যবস্থা করা যেতে পারে। কারণ বাড়িতে বাচ্চাদের বন্ধুদের নাইট আউটের জন্যই হোক বা আপনার অতিথিদের বাচ্চাদের জন্য এই ব্যবস্থা স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে।
যতটা সম্ভব বাচ্চাদের ঘরের আসবাবপত্র একটি বা খুব বেশি হলে দুটি দেওয়াল লাগোয়া করে বানানো ভাল। তাতে কম জায়গায় কাজ হয়ে যাবে আর মেঝেতেও জায়গা থাকবে খেলার।
বাচ্চাদের ঘরে স্টোরেজ-এর জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যত সম্ভব স্টোরেজ রাখুন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র আলমারি, পড়ার টেবিল এসব ছাড়াও বুদ্ধি খাটিয়ে বসার জায়গা, সিলিং এমনকি বাঙ্ক বেডের সিঁড়িকেও স্টোরেজ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
বাচ্চাদের ঘরে প্লাসটিক বাস্কেট বা টাব ইত্যাদি ব্যবহার করুন খেলনা ইত্যাদি রাখার জন্য, যেগুলি পরবর্তীকালে বদলে যাবে। ঘরের মেঝেতে কার্পেটের ব্যবহার বাচ্চাদের ঘরের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কার্পেট পাতা থাকলে যেকোনো সময় বাচ্চারা মেঝেতে খেলাধুলো, পড়াশোনা করতে পারবে। কখনো পড়ে গেলেও ব্যথা কম পাবে।
বাচ্চাদের ঘরের সজ্জার ক্ষেত্রে থিম ডেকোরেশন কিন্তু খুবই বেশি ব্যবহৃত হয়। এসব ক্ষেত্রে ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সবকিছুই একটি বিশেষ থিমের অনুসরণ বানানো যেতে পারে।
থিম অনুযায়ী বানানো আসবাব খরচ সাপেক্ষ আবার সেগুলি তাড়াতাড়ি বদলানো আরও খরচ সাপেক্ষ। তবে উপায়? কম খরচে করতে চাইলে দেওয়ালের রঙের ব্যবহার এবং সফট ফারনিশিং-এর ব্যবহারেও থিম গড়ে তোলা সম্ভব।
তবে আর একটা মধ্যপন্থী উপায় আছে। থিম মানেই কিন্তু বড়োসড়ো ব্যাপার নয়। বরং একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের বারংবার ব্যবহার। তাই যদি এরকম থিম ভাবা যায় যা অনায়াসসাধ্য এবং একই সঙ্গে যা কিছুদিন পর কম খরচে পালটে ফেলা যায় তাহলে আর থিমসজ্জায় আপত্তি কি।
বাচ্চাদের ঘর বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে সাজান। রঙিন কাগজের মালা, শিকলি ঝোলাতে পারেন। দেওয়ালে রঙিন কাগজের প্যাটার্ন লাগাতে পারেন, বাচ্চাদের আর্ট ক্লাসে নিজের হাতে তৈরি নানা ধরনের বস্তু বা হাতে আঁকা ছবি ফ্রেমে বাঁধিয়ে দেওয়ালে ঝোলাতে পারেন। দেখবেন চোখের সামনে কীভাবে একটা সাদামাটা ঘর উজ্জ্বল আর উৎসবময় হয়ে উঠবে।
ঋত্বিক বলেছিলেন, “ভাবো ভাবো, ভাবা প্র্যাকটিস কর”। সেরকম ভাবে ভাবতে পারলে… আপনার বাচ্চার জন্য তার ঘরের পরিসরেই হয়তো বা ট্রি হাউজ বানিয়ে ফেলতে পারবেন।

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
ঘরদোর
শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার ৬টি উপায়

খবর অনলাইন ডেস্ক : সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা, লেপ, কম্বল, কাঁথা- শীতের এ সব জিনিসপত্র যত্ন নিতে হয় বিশেষ ভাবে। না হলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ সাধারণ কাপড়ের থেকে এদের ফেব্রিক বা কাপড়ের উপাদান আলাদা হয়। ফলে বেশি ঘষাঘষি চাপাচাপি বা কড়া ডিটারজেন্ট চলে না। রইল এগুলির দেখভাল করার উপায় –
১। সোয়েটার

উলের বা পশমের সোয়েটার সাবান বা ডিটারজেন্টে নয়, ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু বা হালকা ধরনের বিশেষ তরল সাবান দিয়েই ধুতে হবে। সঙ্গে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সাদা পোশাক হলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন উপকার পাবেন। সোয়েটার যতই ময়লা হোক বা দাগ লাগুক কখনই ব্রাশ দিয়ে ঘষা বা হাত দিয়ে জোরে ঘষবেন না। নরম কাপড় দিয়ে হালকা হাতে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনেও না কাচাই ভালো। জল ঝরানোর জন্য চেপে নিংড়ে হালকা ভাবে জল ঝরিয়ে দুই দিকে সমান ভাবে রোদে ঝুলিয়ে দিন।
২। ফ্লানেলের পোশাক চাদর
এ সব কাপড়ের ক্ষেত্রেও সাবান, ডিটারজেন্ট নয় শ্যাম্পু দিয়ে ধোওয়াই উচিত। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে হালকা কাচুন, ময়লা চলে যাবে। বেশি ময়লার ক্ষেত্রে হালকা গরম জলে ভেজান।
৩। লেদারের পোশাক, কোট

লেদারের পোশাক ও কোট লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করান। তবে এ সব ব্যবহারও করতে হয় খুব যত্নে। এক বার ব্যবহারের পর নরম ব্রাশ বা নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে ধুলো ঝেড়ে রাখুন, ময়লা কম হবে।
৪। মোজা, মাফলার, টুপি

সব থেকে বেশি ময়লা হয় মোজা। তার পরই টুপি ও মাফলার। কাজেই দু’-তিন দিন ছাড়া ছাড়াই টুপি, মাফলার তরল সাবানে ও মোজা ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘষে কাচুন।
৫। কাঁথা

কাঁথা অনেকেই সাবানে ধুয়ে নেন। আবার অনেকেই রোদে দিয়ে তুলে দেন। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ হল কাঁথার যদি সুতির ওয়ার বানানো যায় তা হলে কাঁথা সাবানে না কেচে ওয়াড়টি খালি কাচলেই হয়। তাতে ময়লা ও পরিশ্রম দুই-ই কম হয় এবং পরিষ্কারও থাকে।
৬। লেপ, কম্বল

কম্বল ধোওয়া গেলেও লেপ, সম্ভব নয়। তাই এ সবে সুতির ওয়াড় লাগিয়ে ব্যবহার করুন, ময়লা হয় না। তবে খুব দরকার হলে কম্বল ড্রাই ক্লিন করান।
*সমস্ত ছবি গুগল থেকে নেওয়া।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
ঘরদোর
ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি

খবর অনলাইন ডেস্ক : ক্রমশ চারপাশের বায়ুদূষণ বাড়ছে। শুধু বাইরে নয় নানা কারণে ঘরের বায়ুও দূষিত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাই এখন সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। সে ক্ষেত্রে ঘরের বারান্দা বা জানলায় রাখা যায় কিছু গাছ। যেগুলি অক্সিজেন তো দেবেই, পাশাপশি ঘরের দূষিত বায়ু শোষণ করবে। অবশ্যই ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে।
তেমনই ৫টি গাছের খবর রইল এখানে
১। স্পাইডার প্ল্যান্ট

দু’পাশ সাদা, মাঝখানে সবুজ পাতা, ঘাসের মতো দেখতে। খুব ছোটো ছোটো সাদা ফুল। সরাসরি সূর্যের আলো লাগে না, খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিতে হয়। টব বা ঝুড়িতে লাগিয়ে মেঝেতে, বা ঝুলিয়ে রাখা যায়। ওয়াল কার্পেটিংও করা যায়। কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন-সহ বেশ কিছু ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে। বায়ুদূষণ মুক্ত করে গাছটি।
২। চন্দ্রমল্লিকা

শীতের গাছ। বিভিন্ন রঙের চমৎকার ফুল হয়। জায়গা, দেওয়াল ও মেঝের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফুলের রং বাছাই করা যায়। চন্দ্রমল্লিকা গাছের যত্ন একটু বেশি নিতে হয়। জল বেরোনোর ভালো ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত রোদের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে সারাদিন সূর্যের আলো ক্ষতি করে। গাছটি রাতের বেলাও অক্সিজেন দেয়, কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। গুঁড়ো সাবান, আঠা, রং বা প্লাস্টিক থেকে বেরোনো দূষিত গ্যাস শুষে নেয়।
৩। গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট

যে কোনো পরিবেশে বেঁচে থাকে গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট। আলো ছাড়াই বাঁচতে পারে, বেশি যত্নও লাগে না। ঝুড়ি বা ছোটো টবে লাগানো যায়, ঝুলিয়ে রাখা যায়। মাটি ছাড়া জলের মধ্যেও রাখা যায়। ঘরের ভেতরও রাখা যায়। লতানো গাছটি বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন প্রভৃতি দূষিত গ্যাস শোষণ করে, ঘরকে দূষণ মুক্ত করে।
৪। মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা

সারা বছরই সুন্দর ফুল দেয় মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা। অনেকগুলো রঙের ফুল হয়। ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখাই ভালো। জল বেরোনোর ব্যবস্থা ভালো দরকার। ঘরের শোভা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই, ফলে ঘরের কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তা ছাড়া ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ওষুধ বানাতে কাজে লাগে নয়নতারা।
৫। পিস লিলি

বায়ু পরিশোধক আরও একটি গাছ পিস লিলি। সুন্দর সাদা ফুল হয়। অল্প আলোতে ভালো হয়। গাছের পাতায় হলুদ রং ধরলেই বুঝতে হবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রোদ পাচ্ছে। নিয়মিত জল দিলেই হবে। পিস লিলি ঘরের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তবে গাছটি শিশু ও পোষ্য কুকুর, বিড়ালের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা উচিত। কারণ কচুগাছের মতো এটি গলায় বা পেটে গেলে চুলকায়।
আরও – বাড়ির টবে শীতের ফুল গাছ? দেখে নিন কার কী যত্ন
-
রাজ্য6 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়