খবরঅনলাইন ডেস্ক: ঘর রঙ করানো খুবই ঝক্কির কাজ। আবার রঙ করালেই হল না, পরে তা নিয়ে মন খুঁত খুঁতও করতে পারে। তাই আগে থেকেই বুঝে পা ফেলুন। রঙ করানোর আগে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখুন।
যদি প্রথম বার রঙ করান তা হলে দেওয়ালে সিমেন্টের আস্তরণ দেওয়ার ৯০ দিন পর রঙের কাজ করান। সিমেন্টের আস্তরণ পুরোপুরি শুকোতে তিন মাস সময় লাগে।
ডিস্টেম্পার
ইট, কংক্রিট ও প্লাস্টারের ওপর ডিসটেম্পার করা হয়। এই ডিসটেম্পার বিভিন্ন ধরনের হয়। যেমন, অ্যাক্রেলিক, সিনথেটিক, ড্রাই ইত্যাদি। অ্যাক্রেলিক ডিসটেম্পার জল দিয়ে ধোয়া যায়। অন্যগুলি যায় না।
প্লাস্টিক পেন্ট
প্লাস্টিক ইমালশন নামেই বেশি পরিচিত। এটি জলভিত্তিক রঙ, দীর্ঘস্থায়ী ও ধোয়াও যায়। প্লাস্টিক পেন্ট তিন ধরনের। রেগুলার, ইকোনমিক ও প্রিমিয়ার ইমালশন।
নানা পরামর্শ
ঘর ফাঁকা
ঘর ফাঁকা করে রঙ করা ভালো। ঘরের বড়ো আসবাবগুলোকে ঘরের মাঝখানে নিয়ে এসে সেগুলি পুরোনো কাপড়, কাগজ, প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা দেওয়া দরকার।
মেঝে ঢাকা
রঙ করার আগে মেঝেও ঢাকতে হবে। কাপড়, খবরের কাগজ বা প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে নিন।
খুঁত ভরাট
রঙ করার আগে দেওয়ালের খুঁতগুলি ভরাট করতে হবে। না হলে কালচে লাগবে।
পুরোনো রঙ
পুরনো রঙ ভালো করে ঘষে তুলে নিতে হবে।
দেখে নিন –
আপনার পছন্দের শেড পেতে হলে আগে পরীক্ষা করে নিন। ঘরে কোনটা মানাবে তা নির্ভর করে ঘরের আকৃতি, আলো ইত্যাদির ওপর। তাই প্রথমে অল্প জায়গা রঙ করে দিনরাতের প্রেক্ষিতে সেটি দেখে তার পর গোটাটা রঙ করান।
ছোটো ঘরের রঙ –
ঠিক রঙে ছোটো ঘর বড়ো দেখানোর জন্য আগে পরিকল্পনা করে তার পর কাজ করান। একাধিক রঙও বাছতে পারেন। খুব ছোটো ঘরে কমলা বা বেগুনি রঙ না করাই ভালো।
প্রাইমার
প্রাইমার দিলে দেয়ালের খুঁত ভরাট হয়। রঙও কম লাগে। রঙ ধরেও ভালো। প্রাইমার করার পরে রঙ এক কোট দিলেও চলে। রঙের খরচও বাঁচে।
রোলার ও ব্রাশ ব্যবহার
প্রথমে ব্রাশ ব্যবহার করে তার পর রোলার ব্যবহার করুন। তাতে রঙ ভালো হয়। মেঝে, ছাদ, দেয়ালের কোণগুলিতে রোলার পৌঁছোয় না। সেখানে ব্রাশের কাজ নিখুঁত হয়।
নিজের জন্য
চোখে সেফটি গ্লাস ব্যবহার করা ভালো। হাতে গ্লাভস। এতে রঙ থেকে কোনো ক্ষতি হবে না।
পড়ুন – ফ্রিজ কেনার আগে অবশ্যই এগুলি দেখে নিন
আরও – খরুচে মানুষের জন্য কয়েকটি মজার পরামর্শ
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।