জীবন যেমন
সহজে ওজন কমাবেন? জেনে নিন ৩টি পদ্ধতি

ওয়েবডেস্ক: বাড়তি ওজন ছেঁটে ফেলার জন্য ব্যাপক দৌড়ঝাঁপের পাশাপাশি প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, ওজন কমানোর একাধিক পন্থা রয়েছে, কিন্তু ‘মুখে লাগাম’ না দিলে কিস্যুটি হবে না। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সংক্ষেপে-
শর্করা এবং শ্বেতসারের পরিমাণ হ্রাস
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশটি হল সুগার বা শর্করা এবং স্টার্চ বা শ্বেতসারের পরিমাণ হ্রাস করা। এটা করলে, সে সময় খিদের মাত্রা কমে যায় এবং কম ক্যালোরিতেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা যায়। আসলে ওই সময় শক্তির জন্য স্টার্চ (কার্বস) পোড়ানোর পরিবর্তে আপনার দেহ সঞ্চিত ফ্যাট খাওয়া শুরু করে।

এ ভাবে কার্বস ছেঁটে ফেলার আরেকটি সুবিধা হল এটি ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস করে। অন্য দিকে কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম এবং জল প্রবাহিত করে। এটি ফোলা এবং অপ্রয়োজনীয় জলের ওজন হ্রাস করে। এটা শরীরের ফ্যাট এবং জলের ওজন উভয় হ্রাসেই কাজ করে।
প্রোটিন, ফ্যাট এবং শাকসবজি খান
নিজের প্রতিটি খাবারের মধ্যে একটি প্রোটিন উৎস, চর্বি উৎস এবং কম কার্বযুক্ত শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। একই সঙ্গে মনে রাখা দরকার, মাত্রাতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তেমনটা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এটি প্রতিদিন ৮০ থেকে ১০০ ক্যালোরি বিপাককে উন্নত করার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আমিষ প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন রকমের মাংস। এ ছাড়া মাছ এবং সামুদ্রিক খাবার হিসাবে সালমন, ট্রাউট, চিংড়ি ইত্যাদি। অন্য দিকে কুসুমযুক্ত পুরো ডিমই ভালো। শাকসবজির মধ্যে রয়েছে শসা, ব্রোকলি, ফুলকপি, শাক, টমেটো, বাঁধাকপি, লেটুস ইত্যাদি।

ফ্যাটের উৎসগুলির মধ্যে রয়েছে অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, অ্যাভোকাডো তেল এবং মাখন। ফ্যাট খাওয়ার বিষয়ে ভীত হবেন না, কারণ একই সঙ্গে কম কার্ব ও লো ফ্যাট চিন্তাভাবনা অমূলকই নয়, অসম্ভবও বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন শরীরচর্চা
প্রতিদিন হলে খুবই ভালো। তবে যদি তা সম্ভব না হয়, তা হলে দিনে অন্তত তিন বার শরীরচর্চা করতেই হবে। ওজন কমানোর জন্য শারীরিক কসরতের পরামর্শটি এখন অনেকেই দিয়ে থাকেন। মানে জিমে যাওয়ার পরামর্শও। আসলে একটু ওয়ার্ম-আপ অথবা কিছু ওজন উত্তোলন করলে ক্যালোরি পোড়ানো যায়। যা নিজের বিপাককে ধীরগতিতে আটকানোর পাশাপাশি ওজন হ্রাস করার একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকে।
এ ক্ষেত্রে এমনটাও দেখা যেতে পারে, শরীরের চর্বির পরিমাণ হ্রাস করতে গিয়ে আপনি কিছুটা পেশিবহুল কাঠামোও অর্জন করতে পারেন। সেটা হলে মন্দ কী!

তবে যদি ওজন তোলা আপনার পক্ষে সম্ভব না হয়, তা হলে বিকল্প হিসাবে কিছু কার্ডিও ওয়ার্কআউট যেমন হাঁটাচলা, জগিং, দৌড়, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটলেই যথেষ্ট।
বিভিন্ন সূত্র থেকে সংকলিত তথ্য। অনুশীলনের আগে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে নিন।

খবর অনলাইন ডেস্ক : কমবেশি অনেক বাড়িতেই ল্যাপটপ, কম্পিউটারের জনপ্রিয় তো ছিলই এখন ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ও অনলাইনে পড়াশোনা শুরু হওয়ার সুবাদে বাড়িতে এই সদস্যের জায়গাটা আরও পাকা হয়ে গিয়েছে। কেউ এগুলি বহুদিন ব্যবহার করতে করতে পক্ত হয়ে গিয়েছেন। কারোর বা হাতেখড়ি হয়েছে।
যাই হোক না কেন এর বাড়তি কিছু যত্নও পাওনা। কারণ কম্পিউটার ল্যাপটপের আয়ু বাড়াতে দরকার সঠিক পরিচর্যা। যা হোক তা হোক করে ব্যবহার করলে এগুলির ক্ষতি হয়।
ল্যাপটপের পরিচর্যার ১০টি কৌশল
১। প্রথম কথাই হল ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে খুব সাবধানে ধৈর্য্য ধরে। কারণ জিনিসটি খুবই পলকা ও সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি।
২। জল হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করা চলবে না। তাতে ডিভাইসটি নষ্ট হয়ে যাবে।

৩। খেতে খেতে বা নোংরা হাতে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। ল্যাপটপের কি-প্যাড ও টাচ প্যাডে সেই নোংরা জমা হবে। তাই হাত পরিষ্কার করে এটি ব্যবহার করুন।
৪। বন্ধ ল্যাপটপের ওপর ভারি বস্তু রাখবেন না। তাতে মনিটরের পর্দার ওপর কি প্যাডের চাপ পড়ে ক্ষতি হয়। সঙ্গে সিডির জায়গাটাও বেঁকে যেতে পারে।
৫। ল্যাপটপটি বন্ধ করার সময় একবার পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোনো ছোটো কণা থেকে গেলেও তা এলসিডি স্ক্রিনের ক্ষতি করবে, দাগ সৃষ্টি করবে।
৬। অনেকেই খেতে খেতে ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করেন। এতে অনেক সময়ই কি প্যাডের মধ্যে খাবারের ছোট্টো কণা ঢুকে যায়। তাতে জিনিসটি নোংরা যেমন হয়, নষ্টও হতে পারে।

৬। তরল পদার্থ চা, কফি, সফট ড্রিংস, জল, দুধ ইত্যাদি ল্যাপটপ থেকে দূরে রাখুন। ভুল বশত উলটে গেলে তা ডিভাইসটি নষ্ট করে দিতে পারে।
৭। নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। কি প্যাডের জন্য নরম ব্রাশ ব্যবহার করুন।
৮। বন্ধ করার ও খোলার সময় মাথার মাঝখান ধরে বন্ধ করুন। শুধু দু’ পাশ ধরে বন্ধ করবেন না। বেঁকে যেতে পারে।
৯। আরাম করে বিছানায় বসে বা শুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। এই পদ্ধতিটি ঠিক নয়। এতে শরীর ও ল্যাপটপ দু’য়েরই ক্ষতি হয়।
১০। নজর রাখুন চার্জ আছে কি না। উপযুক্ত সময়ে চার্জ দিন না হলে অল্প দিনের মধ্যেই এর ক্ষতি অবশ্যম্ভাবী।
আরও – হেয়ার ড্রায়ার কেনার আগে দেখে নিন এই বিষয়গুলি
ঘরদোর
শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার ৬টি উপায়

খবর অনলাইন ডেস্ক : সোয়েটার, জ্যাকেট, টুপি, মোজা, লেপ, কম্বল, কাঁথা- শীতের এ সব জিনিসপত্র যত্ন নিতে হয় বিশেষ ভাবে। না হলেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। কারণ সাধারণ কাপড়ের থেকে এদের ফেব্রিক বা কাপড়ের উপাদান আলাদা হয়। ফলে বেশি ঘষাঘষি চাপাচাপি বা কড়া ডিটারজেন্ট চলে না। রইল এগুলির দেখভাল করার উপায় –
১। সোয়েটার

উলের বা পশমের সোয়েটার সাবান বা ডিটারজেন্টে নয়, ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু বা হালকা ধরনের বিশেষ তরল সাবান দিয়েই ধুতে হবে। সঙ্গে অল্প ভিনিগার মিশিয়ে নিন কাপড়ের উজ্জ্বলতা বাড়ে। সাদা পোশাক হলে লেবুর রস মিশিয়ে নিন উপকার পাবেন। সোয়েটার যতই ময়লা হোক বা দাগ লাগুক কখনই ব্রাশ দিয়ে ঘষা বা হাত দিয়ে জোরে ঘষবেন না। নরম কাপড় দিয়ে হালকা হাতে পরিষ্কার করুন। ওয়াশিং মেশিনেও না কাচাই ভালো। জল ঝরানোর জন্য চেপে নিংড়ে হালকা ভাবে জল ঝরিয়ে দুই দিকে সমান ভাবে রোদে ঝুলিয়ে দিন।
২। ফ্লানেলের পোশাক চাদর
এ সব কাপড়ের ক্ষেত্রেও সাবান, ডিটারজেন্ট নয় শ্যাম্পু দিয়ে ধোওয়াই উচিত। উজ্জ্বলতা ঠিক থাকে। এক ঘন্টা ভিজিয়ে হালকা কাচুন, ময়লা চলে যাবে। বেশি ময়লার ক্ষেত্রে হালকা গরম জলে ভেজান।
৩। লেদারের পোশাক, কোট

লেদারের পোশাক ও কোট লন্ড্রি থেকে ড্রাই ক্লিন করান। তবে এ সব ব্যবহারও করতে হয় খুব যত্নে। এক বার ব্যবহারের পর নরম ব্রাশ বা নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা ভাবে ধুলো ঝেড়ে রাখুন, ময়লা কম হবে।
৪। মোজা, মাফলার, টুপি

সব থেকে বেশি ময়লা হয় মোজা। তার পরই টুপি ও মাফলার। কাজেই দু’-তিন দিন ছাড়া ছাড়াই টুপি, মাফলার তরল সাবানে ও মোজা ডিটারজেন্ট দিয়ে ঘষে কাচুন।
৫। কাঁথা

কাঁথা অনেকেই সাবানে ধুয়ে নেন। আবার অনেকেই রোদে দিয়ে তুলে দেন। সে ক্ষেত্রে পরামর্শ হল কাঁথার যদি সুতির ওয়ার বানানো যায় তা হলে কাঁথা সাবানে না কেচে ওয়াড়টি খালি কাচলেই হয়। তাতে ময়লা ও পরিশ্রম দুই-ই কম হয় এবং পরিষ্কারও থাকে।
৬। লেপ, কম্বল

কম্বল ধোওয়া গেলেও লেপ, সম্ভব নয়। তাই এ সবে সুতির ওয়াড় লাগিয়ে ব্যবহার করুন, ময়লা হয় না। তবে খুব দরকার হলে কম্বল ড্রাই ক্লিন করান।
*সমস্ত ছবি গুগল থেকে নেওয়া।
আরও – ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি
ঘরদোর
ঘরের বায়ুদূষণ আটকাতে লাগান এই গাছগুলি

খবর অনলাইন ডেস্ক : ক্রমশ চারপাশের বায়ুদূষণ বাড়ছে। শুধু বাইরে নয় নানা কারণে ঘরের বায়ুও দূষিত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। তাই এখন সময় এসেছে সচেতন হওয়ার। সে ক্ষেত্রে ঘরের বারান্দা বা জানলায় রাখা যায় কিছু গাছ। যেগুলি অক্সিজেন তো দেবেই, পাশাপশি ঘরের দূষিত বায়ু শোষণ করবে। অবশ্যই ঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে।
তেমনই ৫টি গাছের খবর রইল এখানে
১। স্পাইডার প্ল্যান্ট

দু’পাশ সাদা, মাঝখানে সবুজ পাতা, ঘাসের মতো দেখতে। খুব ছোটো ছোটো সাদা ফুল। সরাসরি সূর্যের আলো লাগে না, খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। মাটি শুকিয়ে গেলে তবেই জল দিতে হয়। টব বা ঝুড়িতে লাগিয়ে মেঝেতে, বা ঝুলিয়ে রাখা যায়। ওয়াল কার্পেটিংও করা যায়। কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন-সহ বেশ কিছু ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে। বায়ুদূষণ মুক্ত করে গাছটি।
২। চন্দ্রমল্লিকা

শীতের গাছ। বিভিন্ন রঙের চমৎকার ফুল হয়। জায়গা, দেওয়াল ও মেঝের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফুলের রং বাছাই করা যায়। চন্দ্রমল্লিকা গাছের যত্ন একটু বেশি নিতে হয়। জল বেরোনোর ভালো ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত রোদের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে সারাদিন সূর্যের আলো ক্ষতি করে। গাছটি রাতের বেলাও অক্সিজেন দেয়, কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়। গুঁড়ো সাবান, আঠা, রং বা প্লাস্টিক থেকে বেরোনো দূষিত গ্যাস শুষে নেয়।
৩। গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট

যে কোনো পরিবেশে বেঁচে থাকে গোল্ডেন পথোস বা মানিপ্ল্যান্ট। আলো ছাড়াই বাঁচতে পারে, বেশি যত্নও লাগে না। ঝুড়ি বা ছোটো টবে লাগানো যায়, ঝুলিয়ে রাখা যায়। মাটি ছাড়া জলের মধ্যেও রাখা যায়। ঘরের ভেতরও রাখা যায়। লতানো গাছটি বাতাস থেকে ট্রাইক্লোরোইথিলিন, ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন প্রভৃতি দূষিত গ্যাস শোষণ করে, ঘরকে দূষণ মুক্ত করে।
৪। মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা

সারা বছরই সুন্দর ফুল দেয় মাদাগাস্কার পেরি উইংকেল বা নয়নতারা। অনেকগুলো রঙের ফুল হয়। ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখাই ভালো। জল বেরোনোর ব্যবস্থা ভালো দরকার। ঘরের শোভা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেন সরবরাহ তো করেই, ফলে ঘরের কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তা ছাড়া ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ওষুধ বানাতে কাজে লাগে নয়নতারা।
৫। পিস লিলি

বায়ু পরিশোধক আরও একটি গাছ পিস লিলি। সুন্দর সাদা ফুল হয়। অল্প আলোতে ভালো হয়। গাছের পাতায় হলুদ রং ধরলেই বুঝতে হবে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রোদ পাচ্ছে। নিয়মিত জল দিলেই হবে। পিস লিলি ঘরের বাতাস থেকে ফর্মালডিহাইড, বেনজিন, জায়লিন, ট্রাইক্লোরোইথিলিন, কার্বন ডাই অক্সাইড শুষে নেয়। তবে গাছটি শিশু ও পোষ্য কুকুর, বিড়ালের থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা উচিত। কারণ কচুগাছের মতো এটি গলায় বা পেটে গেলে চুলকায়।
আরও – বাড়ির টবে শীতের ফুল গাছ? দেখে নিন কার কী যত্ন
-
রাজ্য6 hours ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ1 day ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
কলকাতা2 days ago
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়