ওয়েবডেস্ক: পছন্দের মানে ভালোবাসার মানুষটির অভিভাবকের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করতে যাচ্ছেন? কী বলবেন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? একটু ভেবে দেখুন। উত্তরটা কিন্তু খুবই সহজ। সমাধানও। যে বিষয়গুলো খুব সাধারণ কিন্তু প্রত্যেক মানুষের আলাদা। এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা শুরু করলে সময়টাও যেমন কাটে, তেমন একে অপরকে জানার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়েও যাওয়া যায়।
১) এমনই একটা সাধারণের মধ্যে অসাধারণ ব্যাপার শুরু হয় রসনা দিয়ে। মানে বলা যায়, খাবার দাবার দিয়েই। কারণ প্রত্যেক মানুষের খাবারের রুচি পছন্দ আলাদা আলাদা হয়। তা ছাড়া জীবনে কোনো না কোনো অভিজ্ঞতা খাবার নিয়ে কম বেশি সকলেরই হয়। তাই এই বিষয় নিয়ে কথা শুরু করে অনেকটা সময় গল্প চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তাতে নতুন পরিবারের খাদ্যাভ্যাস সম্বন্ধে যেমন জানা যায়, তেমনই নিজের পছন্দ বা অপছন্দ সম্পর্কেও বলা যায়।
২) এর পর আর একটা এমন বিষয় হতে পারে ছোটোবেলার গল্প। এই গল্পের মাধ্যমেও দূরত্ব অনেকটা কমে আসে। সম্পর্কে একটা ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। অর্থাৎ মন খুলে এই বিষয়ে কম বেশি কথা বলাই যায়। এতে একে অপরের অভ্যাস আচরণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। তা ছাড়া এর মাধ্যমেও পারিবারিক ভিত, বড়ো হয়ে ওঠার ধরন ইত্যাদি বোঝা যায়। এই কথা শুরু করা যায় বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড তাদের ছোটোবেলার যে গল্প আগে করেছে সেই গল্পের সূত্র ধরেও।
৩) আরও একটা বিষয় নিয়েও কথা বলা যেতে পারে। বাবা-মায়েদের পছন্দ। যেমন দু’ জনের বাবা বা মায়ের পছন্দের মধ্যে কোনো মিল থাকলে তা নিয়ে গল্প শুরু করা যেতে পারে। আবার অপছন্দের বিষয়েও কথা বলা যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে অবশ্য আগে থেকে একটু কিছু বিষয়ে জেনে রাখতে হবে। মানে তাঁদের ভালোলাগা মন্দ লাগার ব্যাপারে। তা না হলে পরিস্থিতি বিপরীত হতে পারে। বা অস্তত্বিতে পড়তে হতে পারে।
সুতরাং লজ্জা বা সংকোচ কাটিয়ে নিন। আর বুকের ভেতরের ধুকপুকুনিটা একটু কমিয়ে নিন। আর আসন্ন সেই দিনটার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত হয়ে নিন। সঙ্গে এক বার ঝালিয়ে নিন, ভালোবাসার মানুষের বাবামায়ের সঙ্গে প্রথমবার দেখা করে এর মধ্যে থেকে কোন কোন গল্প করবেন। ব্যাস তা হলেই হল।