লকডাউনে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অবনতি? দেখুন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

0

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনার জেরে আজ সকলেই ঘরবন্দি। এই সময়ে পালটে যাচ্ছেআমাদের সম্পর্কগুলোও। কখনও মানসিক চাপের কারণে খিটখিটে মেজাজ আর সহনশীলতা কমে যাওয়ায় পারিবারিক দ্বন্দ্ব–সংঘাত বাড়ছে, আবার কখনও উলটোও হচ্ছে। আগেকার ফাটল ধরা সম্পর্কগুলো ঝালাই হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই কোভিড-১৯ অতিমারি নিয়ে আশঙ্কা এবং লকডাউনে ঘরে থাকা, দুয়ে মিলে মানসিক চাপ বাড়ছে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, আতংক বা প্যানিক, মানিয়ে চলার সমস্যা, বিষণ্নতা, অ্যাকিউট স্ট্রেস-সহ নানা রকম মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন অনেকেই। মানসিক স্বাস্থ্যসমস্যাগুলোর কারণে মানুষের আচরণ পরিবর্তিত হচ্ছে। কখনও মেজাজ হচ্ছে খিটখিটে। সহ্যক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এরই প্রভাব পড়ছে  আমাদের সম্পর্কের ওপরযার জেরে সম্পর্কের গভীরতা কমে যায়, দূরত্বের সৃষ্টি হয়এর জেরে বাড়ছে পারিবারিক সহিংসতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মন যেমন আনন্দিত হয়, তেমনি কখনও কখনওখারাপও হতে পারে। কিন্তু মন খারাপ বা বিষণ্নতা ভাব যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে তখন মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে নজর দিতে হবে।

সম্পর্ক সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে কী করবেন

নিজেদের অনুভূতিগুলি শেয়ার করুন

যখন রেগে যান বা কোনো অশান্তি হয়, তখন অনুভূতিগুলি দমন হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই কথা বলা বন্ধ করে দেন। এটি একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত।  সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলে সমাধান করার প্রয়োজন। আপনি একে অপরের সঙ্গে যত বেশি কথা বলবেন করবেন তত বেশি একে অপরকে বুঝতে পারবেন এবং আপনাদের মধ্যে সম্পর্কের তত উন্নতি। আপনি আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতিগুলি যত বেশি শেয়ার করবেন ততই ভুলবোঝাবুঝি কমতে থাকবে। যোগাযোগ একটি সুখী সম্পর্কের মূল চাবিকাঠি।

সঙ্গীর সিদ্ধান্তকে সম্মান করুন

একটি স্বাস্থ্যকর এবং সুখী সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য অবশ্যই সঙ্গীর নেওয়া মতামত এবং সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে জানতে হবে। আপনার সিদ্ধান্তই সঠিক আর তারটা ভুল এটা ভাবলে কোনো সম্পর্কই টিকবে না।

আত্মমর্যাদাবোধ, থাকুক ইগো নয়

যে মানুষ নিজেকে ভালবাসতে জানে না, সে কখনোই অপরকেও ভালবাসতে পারবে না। আর পাশাপাশি প্রয়োজন আত্মমর্যাদাবোধ। তবে একে অনেকেই ইগোর সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন। সম্পর্কে এই ইগোর বিষয়টি না থাকাই শ্রেয়। মনের মধ্যে থাকা ছোটোখাটো দ্বন্দ্ব ও জিজ্ঞাসা বা চাহিদার থেকেই সমস্যাগুলি শুরু হয়। তাই আত্মমর্যাদাবোধ থাকাটা খুবই প্রয়োজনীয়।

মিলেমিশে সিদ্ধান্ত নিন

আপনার সঙ্গীর মতামত গুরুত্ব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার মতামতটিও সঙ্গীকে বোঝান, এ ভাবেই একটি বিষয়ে মিলেমিশে দু’ জনে জীবনের কঠিন সিদ্ধান্তগুলি নেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে সম্পর্কও ভালো থাকবে, দু’ জনের গুরুত্ব দুজনের কাছে সমান থাকবে। 

বিজ্ঞাপন