লিভ  ইন সম্পর্কে আছেন? মাথায় রাখুন এই ৫ টি  বিষয়

0

শক্ত করে ধরেছিল হাত। মনের মানুষের সাথে ঘর বাঁধার আশায় ছেড়েছিল বাড়ি। ছোট ছোট কিছু আবদার ছিল তার প্রিয় মানুষটির কাছে। কিন্তু সেই আবদার যে এতটা ভয়ঙ্কর আকার নেবে। হয়ত সে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি। শেষমেষ সেই সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটল ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন দেহের ৩৫ টা টুকরোয়।

দিল্লির লিভ ইন সম্পর্কের হাড়হিম করা ঘটনায় কেঁপে উঠেছে পুরো দেশ। দিল্লির আফতাব আমীন পুনাওয়ালা ও শ্রদ্ধা ওয়াকার লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু সেই মনের মানুষের হাতে যে বেঘোরে তার প্রাণ যাবে। এইকথা তারও হয়ত অজানাই ছিল।

বিবাহিত জীবনের ঝুটঝামেলায় এখন প্রায় অনেকেই যেতে চান না। বরংএখন প্রায় অনেকেই বেছে নিচ্ছেন লিভ ইন সম্পর্ককে।

পুরো দিন কাজের পর খেটেখুটে অফিস থেকে ফিরে আসার পর যদি সঙ্গীর সঙ্গে চা খেতে খেতে দুটো গল্প করা যায় তাহলে দূর হয় একাকিত্ব। কিন্তু অন্যদিকে থাকে না দাম্পত্য জীবনের নানা অসুবিধা। রাতে একসঙ্গে ডিনার করা, উইকেন্ডে পছন্দের জায়গায় সঙ্গীর সাথে গিয়ে সময় কাটানো।

এককথায় একেবারে খোলা আকাশে উড়ে বেড়ানো মুক্ত পাখির জীবন। দাম্পত্যের জটিলতা কাটাতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন লিভ ইন সম্পর্ককে।

কিন্তু লিভ ইন সম্পর্কে থাকলে কোন কোন বিষয়গুলিতে নজর রাখবেন জেনে নিন।

১। স্বভাবের খেয়াল

প্রত্যেক মানুষেরই কিছু কিছু অভ্যাস থাকে৷ বিয়ের পর অনেক ক্ষেত্রেই দু’জনকে দু’জনের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়। কারণ স্বামী বা স্ত্রী সেই স্বভাবটি পছন্দ নাও করতে পারে। কিছু অভ্যাস আবার মানিয়ে নিতে হয় অনিচ্ছাকৃতভাবেই৷ অনেকেই ভাবতে পারেন লিভ ইনের ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। লিভ ইনের ক্ষেত্রেও অনেক নিয়ম থাকে যা মেনে নিতে হয়৷ একসঙ্গে থাকতে গেলে একটু মানিয়ে নিতে হবে বৈ কি!

২। মন ও ইচ্ছা-অনিচ্ছায় নজর  

লিভ ইন মানেই হল দু’জনের পছন্দ এবং অপছন্দ মেনে চলা৷ অলিখিত এই নিয়মের কথা আগেই থেকেই মাথায় ঢুকিয়ে নিন। আপনারা দু’জনই দু’জনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বরং লিভ ইনের ক্ষেত্রে উভয়েরই দায়িত্ব বেড়ে যায়৷ তাই মনোবিদদের পরামর্শ, লিভ ইনের সময় সঙ্গীর পছন্দ-অপছন্দ, ভালো ও মন্দ লাগার ব্যাপারে ও ইচ্ছা অনিচ্ছার দিকে নজর দিন৷

৩। সতর্কতা টাকা-পয়সায়

লিভ ইনে থাকার সময় অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের দিকে নজর দিন। কারণ আবেগের তাড়নায় অনেকেরই সেভিংসের দিকে খেয়াল থাকে না। তা করবেন না একেবারেই। আর্থিক দিকটি খেয়াল রাখুন৷ আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখুন। কে কোন দিকে খরচ করবে, কে কী সামলাবেন সেটা আগে থেকেই বুঝেশুনে নিন।

৪। আয়ত্তে থাকুক নেগেটিভিটি

যারা লিভ ইন করেন, তারা বেশিরভাগই খুব স্বাধীনচেতা হন৷ ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্পর্ক টালমাটাল হয়ে যায়। তা যেন না হয়, সেই দিকে নজরে রাখুন। যদি সম্পর্ক নিয়ে নেগেটিভ হন, তবে লিভ ইনে না যাওয়াই ভাল। তাহলে সমস্যা আরও বাড়ে।

৫। ইগো দূরে থাক

লিভ ইনের ক্ষেত্রে যা সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, তা হল ইগো বর্জন৷ এই বস্তুটি আঁকড়ে ধরে থাকলে কখনওই লিভ ইন সম্পর্কে তিনি থাকতে পারবেন না। তাই সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতে হলে ইগো ঝেড়ে ফেলুন।

সম্পর্কে সমস্যা? সমাধানে পড়ুন আমাদের সম্পর্ক বিভাগের লেখাগুলি

বিজ্ঞাপন