চারিদিকে বাড়ছে ঘৃণ্য নৃশংস অপরাধপ্রবণতা। সংবাদমাধ্যম জুড়ে খুন, জখম, রাহাজানি, চুরি, ডাকাতির মতো অপরাধের ঘটনার খবর। আশপাশের মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকতে পারে অপরাধপ্রবণতা।
কে সাইকোপ্যাথ কীভাবে চিনবেন
১) সাইকোপ্যাথদের পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্ব অত্যন্ত চার্মিং বা আকর্ষণীয় হয়। খুব সহজে অপরপক্ষের মন জয় করতে পারে। যে কোনো উপায় কার্যসিদ্ধিতে ওস্তাদ।
২) জীবনকে উপভোগ করতে চায় সাইকোপ্যাথ। ম্যাড়ম্যাড়েভাবে জীবন কাটানো নাপসন্দ। একসাইটমেন্ট চায়। নিয়মশৃঙ্খলা ভাঙতে পছন্দ করে।
৩) সাইকোপ্যাথরা প্যাথোলজিক্যাল লায়ার অর্থাৎ অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে। মিথ্যের জাল বুনতে ওস্তাদ।
৪) নিজেকে নিয়ে বিরাট বড়ো ধারণা। ইগোসর্বস্ব অহংকারী মানুষ। নিজের নিয়ম মেনে চলে।
৫) নিজের আচরণ অন্যের মনে কী প্রভাব ফেলবে, অন্য আঘাত পেতে পারে, এসব নিয়ে চিন্তিত নয়। কোনো অপরাধবোধে ভোগে না।
৫) কোনো আবেগ নেই। গভীর ভাবে কোনো কিছু অনুভব করে না। কারও প্রতি সহমর্মিতাবোধ নেই। অন্যের ওপর নির্ভরশীল। স্বাধীনভাবে জীবন কাটানোর ক্ষমতা নেই।
৬) পার্টনার বা সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে যৌন সংসর্গে ঠকাতে পেরে পৈশাচিক আনন্দ পায়।
৭) অবাস্তববাদী চিন্তাভাবনা। তাড়াহুড়ো করে কাজকর্মে ও চিন্তাভাবনায়। দায়িত্বশীল নয়। অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপায়।
৮) অপরাধমনস্কতা থাকে সাইকোপ্যাথদের মনে।
কেন তৈরি হয় সাইকোপ্যাথ
সাইকোপ্যাথির ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে সাইকোপ্যাথদের সঙ্গে তাদের বাবা-মায়ের কোনো মানসিক সম্পর্কই গড়ে ওঠে না। আবেগের দিক থেকে অভাব থাকে। বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। এ ছাড়াও পারিবারিক ক্ষেত্রে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন সহ্য করে। এসবের কারণেই সাইকোপ্যাথিক মনোভাব গড়ে ওঠে। কাউকেই বিশ্বাস করতে পারে না।
আরও পড়ুন
মানসিক উদ্বেগে ভুগছেন? আপনার শরীরের গন্ধ নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে আপনার পোষ্যর মনেও