জীবনে চলার পথে এমন অনেক মানুষের সংস্পর্শে আমাদের আসতে হয় যাদের দেখলেই মনে হয় এরা বোধহয় আমাদের জীবনে না এলেই ভালো হত। সবাই আপনার জীবনে সুখ, খুশি, আনন্দের বার্তা, অনুভূতি নিয়ে আসবে এমন তো কোনো মানে নেই। এমন অনেক মানুষ থাকে যাদের সংস্পর্শে এলেই আপনি মানসিক ভাবে উদ্বেগে থাকেন, ক্লান্তি অনুভব করেন। প্রাপ্য সম্মান ও মর্যাদাটুকুও পান না আপনি। এই ধরনের টক্সিক বা বিষাক্ত মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা দরকার।
কীভাবে চিনবেন এই সব মানুষকে
১) বহু মানুষ আছে যারা আড়ালে অন্যের সমালোচনা, নিন্দা করে বেড়ায়, অন্যের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে যাদের প্রচুর কৌতূহল থাকে। এরা অনেক সময় প্রচুর মিথ্যা কথা বলে। এ সব লাগাতার শুনতে থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বেই আপনার মনে।
২) অহমিকা আর ইগোসর্বস্ব অহংকারী ব্যক্তি সারাক্ষণ নিজের ঢাক পিটিয়ে বেড়ায়। এদের কাছে নিজের ছাড়া আর কোনো মানুষের গুরুত্ব নেই। এরা ম্যানিপুলেটিভ ও স্বার্থপর হয়।
৩) হিংসুটে ব্যক্তিরা অন্যকে সফল হতে দেখলে মানসিক ভাবে জ্বলে পুড়ে মরে অথচ নিজেরা অলস। নিজেরা কোনো কাজে সফল হতে পারে না।
৪) অনেকেই মিথ্যার জাল বুনতে ওস্তাদ। ছোট্ট জিনিসকেও বড়ো করে দেখায়।
৫) মিথ্যুকদের বিশ্বাস করা যায় না। বানিয়ে গল্প বলে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে।
৬) একবগ্গা মানুষ নিজের চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসতে চায় না। অন্যের মতামতের কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে।
৭) অনেকে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। নিজের মতামত অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। এরা খুব ডমিনেটিং হয়।
৮) অনেকে সারাক্ষণ নেতিবাচক কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা করে।
৯) অনেকে সারাক্ষণ অভিযোগ করে যেতে ভালোবাসে।
১০) আপনার সঙ্গে একমত না হলেও অনেকে শুধু সারাক্ষণ আপনার হ্যাঁ-এ হ্যাঁ মেলায়। নিজস্ব মতামত নেই।
১১) দুমুখো ব্যক্তিদের বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। মিথ্যুক হয়। দায়িত্ব নিতে চায় না। অনেকে আপনার কৃতিত্বকে খাটো করে দেখাতে চায়।
১২) অনেকে শুধু সম্পর্কে নিতে অভ্যস্ত। অন্যের বিপদে পাশে থাকে না। নিজে খালি ভিক্টিম বা সমস্যাগ্রস্ত হওয়ার তাস খেলে।
আরও পড়ুন
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত ‘সেলফ অবসেসড’ কারও সঙ্গে প্রেমজ সম্পর্কে জড়াননি তো? কী করে বুঝবেন? কী করবেন